যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে হঠাৎ সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ধস ঠেকানোর জন্য বালুভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে। ভাঙনের খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শহরবাসী।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে শহররক্ষা বাঁধের পুরাতন জেলখানা ঘাট এলাকায় এ ধস শুরু হয়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বাঁধের ১১০ মিটার নদীতে বিলীন।
ভাঙনের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. ফারুক আহাম্মেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার পারভেজসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট হোসেন আলী হাসানসহ নেতারা ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে হঠাৎ করেই শহররক্ষা বাঁধের পুরাতন জেলখানা ঘাট অংশে ধস দেখা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে প্রায় একশ’ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, টানা বর্ষণ ও নদীর পানির তীব্র স্রোতে ঘূর্ণাবতের সৃষ্টি হয়ে বাঁধের নিচ থেকে মাটি সরে সিসি ব্লকগুলো দেবে গেছে। দুদিন আগেও আমরা এখানে ভালো অবস্থা দেখেছি। আজ আকস্মিকভাবে হঠাৎ করেই ধস দেখা দিয়েছে। ধস ঠেকাতে বালিভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করা হয়েছে।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ শহরকে যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় ২০০১ সালে ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধটি নির্মাণ করা হয়।
বুধবার, ৩০ জুন ২০২১ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৮ ১৮ জিলক্বদ ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ
যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে হঠাৎ সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ধস ঠেকানোর জন্য বালুভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে। ভাঙনের খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শহরবাসী।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে শহররক্ষা বাঁধের পুরাতন জেলখানা ঘাট এলাকায় এ ধস শুরু হয়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বাঁধের ১১০ মিটার নদীতে বিলীন।
ভাঙনের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. ফারুক আহাম্মেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার পারভেজসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট হোসেন আলী হাসানসহ নেতারা ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে হঠাৎ করেই শহররক্ষা বাঁধের পুরাতন জেলখানা ঘাট অংশে ধস দেখা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে প্রায় একশ’ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, টানা বর্ষণ ও নদীর পানির তীব্র স্রোতে ঘূর্ণাবতের সৃষ্টি হয়ে বাঁধের নিচ থেকে মাটি সরে সিসি ব্লকগুলো দেবে গেছে। দুদিন আগেও আমরা এখানে ভালো অবস্থা দেখেছি। আজ আকস্মিকভাবে হঠাৎ করেই ধস দেখা দিয়েছে। ধস ঠেকাতে বালিভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করা হয়েছে।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ শহরকে যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় ২০০১ সালে ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধটি নির্মাণ করা হয়।