ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না : বাইডেন

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রেউভিন রিভলিনের সঙ্গে বৈঠক করেন জো বাইডেন

পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ইরানকে কার্যত হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, তিনি যতদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পদে থাকবেন, ততদিন ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন বাইডেন।

এর পাশাপাশি সিরিয়ায় বিমান হামলার সমর্থনেও যুক্তি দিয়েছেন বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, তার নির্দেশেই ওই বিমান হামলা হয়েছে। সোমবার সিরিয়া-ইরাক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের ওই বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হন।

হোয়াইট হাউজে বৈঠকে বসেছিলেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রেউভিন রিভলিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইরান প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় তাদের। ইরান নিয়ে বরাবরই কড়া মনোভাব ইসরায়েলের। সেখানে একাধিক হামলা চালিয়েছে তারা। ডয়চে ভেলে

এছাড়া ইরানের মদতপুষ্ট একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর ওপরেও আক্রমণ চালিয়েছে তারা। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় উঠে আসে পরমাণু চুক্তির বিষয়টি। ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তারপর থেকেই একের পর এক হুমকি দিতে শুরু করে ইরান। দেশের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে ইউরেনিয়ামের মজুদও বহুগুণ বাড়িয়েছে দেশটি।

বাইডেন বলেছেন, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ফিরতে চায়।

তার জন্য আলোচনাও চলছে। কিন্তু ইরান যা করছে, যুক্তরাষ্ট্র তা বরদাশত করবে না। বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ইরান ততদিন অন্তত পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না। ওয়াশিংটন কড়া নজর রেখেছে। প্রয়োজনে কঠিনতম পদক্ষেপ নেবে তার দেশ।

বৈঠক শেষে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের জানান, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ইরান নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মনোভাব তিনি সমর্থন করেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটাই শেষ যুক্তরাষ্ট্র সফর রিভলিনের। আগামী মাসেই ইসরায়েলে নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেবে। এছাড়া ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাইডেন।

বুধবার, ৩০ জুন ২০২১ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৮ ১৮ জিলক্বদ ১৪৪২

ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না : বাইডেন

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রেউভিন রিভলিনের সঙ্গে বৈঠক করেন জো বাইডেন

পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ইরানকে কার্যত হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, তিনি যতদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পদে থাকবেন, ততদিন ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন বাইডেন।

এর পাশাপাশি সিরিয়ায় বিমান হামলার সমর্থনেও যুক্তি দিয়েছেন বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, তার নির্দেশেই ওই বিমান হামলা হয়েছে। সোমবার সিরিয়া-ইরাক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের ওই বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হন।

হোয়াইট হাউজে বৈঠকে বসেছিলেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রেউভিন রিভলিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইরান প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় তাদের। ইরান নিয়ে বরাবরই কড়া মনোভাব ইসরায়েলের। সেখানে একাধিক হামলা চালিয়েছে তারা। ডয়চে ভেলে

এছাড়া ইরানের মদতপুষ্ট একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর ওপরেও আক্রমণ চালিয়েছে তারা। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় উঠে আসে পরমাণু চুক্তির বিষয়টি। ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তারপর থেকেই একের পর এক হুমকি দিতে শুরু করে ইরান। দেশের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে ইউরেনিয়ামের মজুদও বহুগুণ বাড়িয়েছে দেশটি।

বাইডেন বলেছেন, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ফিরতে চায়।

তার জন্য আলোচনাও চলছে। কিন্তু ইরান যা করছে, যুক্তরাষ্ট্র তা বরদাশত করবে না। বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ইরান ততদিন অন্তত পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না। ওয়াশিংটন কড়া নজর রেখেছে। প্রয়োজনে কঠিনতম পদক্ষেপ নেবে তার দেশ।

বৈঠক শেষে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের জানান, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ইরান নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মনোভাব তিনি সমর্থন করেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটাই শেষ যুক্তরাষ্ট্র সফর রিভলিনের। আগামী মাসেই ইসরায়েলে নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেবে। এছাড়া ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাইডেন।