সখীপুর আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে টেন্ডার ছিনতাইয়ের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নারী ইউপি সদস্যের হাত থেকে টেন্ডার ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও তার ছেলে ওই ইউপি সদস্যর হাত থেকে জোরপূর্বক টেন্ডার ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে ওই ইউপি সদস্য বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা ও তার ছেলেকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় খেয়াঘাটের ইজারা দেয়ার টেন্ডার স্থগিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিত্রা শিকারী।

মামলার বাদী ওই ইউপি সদস্যের নাম রেনু আক্তার। তিনি উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত (৭, ৮, ৯) ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য। মামলার আসামিরা হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম ওরফে নবু (৫০) তার ছেলে লিঙ্কন মিয়া (২৫)।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার বহেড়াতৈল বাজার খেয়াঘাটের এক বছরের জন্য ইজারা দেয়ার লক্ষ্যে গত ২১ জুন দরপত্র আহ্বান করা হয়। সিডিউল কেনার সর্বশেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৮ জুন। ৫০০ টাকা করে জমা দিয়ে ১০ জনে সিডিউল কেনেন। গতকাল বেলা ১টা পর্যন্ত টেন্ডার জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়। গতকাল সকাল ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম ওরফে নবু প্রথম সিডিউল জমা দেন। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নারী ইউপি সদস্য রেনু বেগম টেন্ডার জমা দেয়ার জন্য ইউএনও কার্যালয়ের সামনে এলে আসামিরা তার হাতে থাকা দরপত্র ছিনিয়ে নেন। এ সময় রেনু বেগম কান্নাকাটি করে ইউএনওকে বিষয়টি ফোনে জানান।

রেনু বেগম বলেন, ওই নেতা ও তার ছেলে আমার হাত থেকে জোরপূর্বক টেন্ডার ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আমি ওই দুইজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছি।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম নবু বলেন, অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, ওই নারী ইউপি সদস্য দুইজনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। মামলাটি রেকর্ডের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিত্রা শিকারী বলেন, এ বিষয়ে ওই নারী বাদী হয়ে সখীপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। খেয়াঘাটের ইজারার দরপত্র স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার, ৩০ জুন ২০২১ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৮ ১৮ জিলক্বদ ১৪৪২

সখীপুর আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে টেন্ডার ছিনতাইয়ের অভিযোগ

প্রতিনিধি, সখীপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নারী ইউপি সদস্যের হাত থেকে টেন্ডার ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও তার ছেলে ওই ইউপি সদস্যর হাত থেকে জোরপূর্বক টেন্ডার ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে ওই ইউপি সদস্য বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা ও তার ছেলেকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় খেয়াঘাটের ইজারা দেয়ার টেন্ডার স্থগিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিত্রা শিকারী।

মামলার বাদী ওই ইউপি সদস্যের নাম রেনু আক্তার। তিনি উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত (৭, ৮, ৯) ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য। মামলার আসামিরা হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম ওরফে নবু (৫০) তার ছেলে লিঙ্কন মিয়া (২৫)।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার বহেড়াতৈল বাজার খেয়াঘাটের এক বছরের জন্য ইজারা দেয়ার লক্ষ্যে গত ২১ জুন দরপত্র আহ্বান করা হয়। সিডিউল কেনার সর্বশেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৮ জুন। ৫০০ টাকা করে জমা দিয়ে ১০ জনে সিডিউল কেনেন। গতকাল বেলা ১টা পর্যন্ত টেন্ডার জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়। গতকাল সকাল ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম ওরফে নবু প্রথম সিডিউল জমা দেন। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নারী ইউপি সদস্য রেনু বেগম টেন্ডার জমা দেয়ার জন্য ইউএনও কার্যালয়ের সামনে এলে আসামিরা তার হাতে থাকা দরপত্র ছিনিয়ে নেন। এ সময় রেনু বেগম কান্নাকাটি করে ইউএনওকে বিষয়টি ফোনে জানান।

রেনু বেগম বলেন, ওই নেতা ও তার ছেলে আমার হাত থেকে জোরপূর্বক টেন্ডার ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আমি ওই দুইজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছি।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম নবু বলেন, অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, ওই নারী ইউপি সদস্য দুইজনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। মামলাটি রেকর্ডের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিত্রা শিকারী বলেন, এ বিষয়ে ওই নারী বাদী হয়ে সখীপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। খেয়াঘাটের ইজারার দরপত্র স্থগিত করা হয়েছে।