বিরামপুরের ইউএনও-ভাইস চেয়ারম্যানের লালিত সন্ত্রাসীরা ৩ লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করেছে

দিনাজপুরের বিরামপুরে ২ লাখ টাকার চাঁদা দাবি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পুকুরের সাড়ে ৩ লাখ টাকার মাছ হরিলুট করে নিল সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের হুমকি, আইন আদালতের আশ্রয় নিলেই হত্যা কিংবা লাশ গুম করবে তারা। জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বুলবুল আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা।

গত সোমবার দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপরিউক্ত অভিযোগ করেন করমজি গোপালপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. বিরামপুরের সভাপতি মো. বুলবুল আহম্মেদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল সরকারের ইঙ্গিতে ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল মন্ডলের ছত্রছায়ায় লালিত সন্ত্রাসীদের দাবিকৃত ২ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ২৪/৬/২১ তারিখে প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী অধির চন্দ্র ঘোষ, সুদেব চন্দ্র ঘোষ, মো. চন্দন হোসেন, মো. মেহেদী হাসান, বুলবুল হোসেন, মোনোয়ার হোসেন ও সুজনসহ আরও ১০/১৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী পুকুরে চাষ করা ৩ লক্ষাধিক টাকার মাছ হরিলুট করে নিয়ে যায়।

এ সময় তারা হুমকি দিয়ে বলে, যদি মাছ লুটের ঘটনায় থানা কিংবা আদালতে মামলা করি তাহলে একাকী পেলে জানে মেরে ফেরবে এবং বিরামপুরে বসবাস করতে দেবে না। উল্লিখিত সন্ত্রাসীদের মধ্যে অধির কুমার ঘোষ ও সুদেব চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় মাদক, সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে।

তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, এই পুকুরের লিজ সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল সরকার গত ১৬/৩/২১ তারিখে আবারও পুনরায় নতুন লিজ বন্দোবস্তের প্রক্রিয়া শুরু করলে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য আমি দিনাজপুর বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে মামলা করি, যার নং মিস আপিল ২৩/২০২১। এ বিষয়ে আদালত বিবাদী/ রেসপন্সডেন্টকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

নোটিশ পাওয়ার পর ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে উল্লিখিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা ও লুটপাট ও হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, বিরামপুরের দেশমা মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৫৩৫নং দাগের ৪.৪৬ একর পুকুরটি গত ৩০/০৪/২০১৮ তারিখে তিন বছর মেয়াদে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে লিজ নেয়া হয়, তবে পুকুরটি লিজ নেয়ার এক বছর পর অর্থাৎ ২৬/০৭/২০১৯ তারিখে বুঝিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে প্রাপ্ত লিজের দ্বিতীয় বছর চলছে অথচ ইউএনও এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল পরস্পর যোগসাজশে এক বছর আগেই আমাকে বিভিন্ন কায়দায় উচ্ছেদের অপচেষ্টা শুরু করেছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা ও নেতার শাস্তিসহ এবং নিজের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা চেয়েছেন বিরামপুর মতসজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. বুলবুল আহম্মেদ।

বুধবার, ৩০ জুন ২০২১ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৮ ১৮ জিলক্বদ ১৪৪২

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

বিরামপুরের ইউএনও-ভাইস চেয়ারম্যানের লালিত সন্ত্রাসীরা ৩ লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করেছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, দিনাজপুর

দিনাজপুরের বিরামপুরে ২ লাখ টাকার চাঁদা দাবি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পুকুরের সাড়ে ৩ লাখ টাকার মাছ হরিলুট করে নিল সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের হুমকি, আইন আদালতের আশ্রয় নিলেই হত্যা কিংবা লাশ গুম করবে তারা। জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বুলবুল আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা।

গত সোমবার দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপরিউক্ত অভিযোগ করেন করমজি গোপালপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি. বিরামপুরের সভাপতি মো. বুলবুল আহম্মেদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল সরকারের ইঙ্গিতে ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল মন্ডলের ছত্রছায়ায় লালিত সন্ত্রাসীদের দাবিকৃত ২ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ২৪/৬/২১ তারিখে প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী অধির চন্দ্র ঘোষ, সুদেব চন্দ্র ঘোষ, মো. চন্দন হোসেন, মো. মেহেদী হাসান, বুলবুল হোসেন, মোনোয়ার হোসেন ও সুজনসহ আরও ১০/১৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী পুকুরে চাষ করা ৩ লক্ষাধিক টাকার মাছ হরিলুট করে নিয়ে যায়।

এ সময় তারা হুমকি দিয়ে বলে, যদি মাছ লুটের ঘটনায় থানা কিংবা আদালতে মামলা করি তাহলে একাকী পেলে জানে মেরে ফেরবে এবং বিরামপুরে বসবাস করতে দেবে না। উল্লিখিত সন্ত্রাসীদের মধ্যে অধির কুমার ঘোষ ও সুদেব চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় মাদক, সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে।

তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, এই পুকুরের লিজ সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল সরকার গত ১৬/৩/২১ তারিখে আবারও পুনরায় নতুন লিজ বন্দোবস্তের প্রক্রিয়া শুরু করলে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য আমি দিনাজপুর বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে মামলা করি, যার নং মিস আপিল ২৩/২০২১। এ বিষয়ে আদালত বিবাদী/ রেসপন্সডেন্টকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

নোটিশ পাওয়ার পর ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে উল্লিখিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা ও লুটপাট ও হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, বিরামপুরের দেশমা মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৫৩৫নং দাগের ৪.৪৬ একর পুকুরটি গত ৩০/০৪/২০১৮ তারিখে তিন বছর মেয়াদে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে লিজ নেয়া হয়, তবে পুকুরটি লিজ নেয়ার এক বছর পর অর্থাৎ ২৬/০৭/২০১৯ তারিখে বুঝিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে প্রাপ্ত লিজের দ্বিতীয় বছর চলছে অথচ ইউএনও এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল পরস্পর যোগসাজশে এক বছর আগেই আমাকে বিভিন্ন কায়দায় উচ্ছেদের অপচেষ্টা শুরু করেছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা ও নেতার শাস্তিসহ এবং নিজের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা চেয়েছেন বিরামপুর মতসজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. বুলবুল আহম্মেদ।