শ্রেষ্ঠ সম্পদ বই

বই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যার সঙ্গে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না। সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছিলেন, বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না। বই পড়লে মনের দেউলিয়াত্ব ঘোচে। জীবন জগৎ সম্পর্কে জানাশোনা বাড়ে। রবীন্দ্রনাথ লাইব্রেরিকে সভ্যতার সেতু হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

মহামারিতে সবাইকে ঘরবন্দি থাকতে হচ্ছে। ঘরবন্দি একঘেঁয়েমি সময়টাতে নিজেকে বিকশিত করতে বই হতে পারে সময়ের সেরা সঙ্গী। বই পাঠের অনেক উপকারিতা রয়েছে। বই পড়ার মাধ্যমে আমাদের জ্ঞানের পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করে। মানসিক উদ্দীপনা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ দূরীভূত করে এবং মনোযোগ বৃদ্ধিতে যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

বই কখনো হাসায়, কখনো বাস্তবতা উপলব্ধি করিয়ে কাঁদায়, কখনো কল্পনার রাজ্যে নিয়ে যায়। মানবজীবন সমস্যার ঊর্ধ্বে নয়। মানুষের চারপাশ সর্বদা অনুকূলে থাকে না। কিন্তু গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, সায়েন্স ফিকশন, মুক্তিযুদ্ধ ও বিভিন্ন জীবনীগ্রন্থ পড়ে প্রাপ্ত জ্ঞান স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী করে তুলে। মস্তিষ্ককে শাণিত করে তুলে। ফলে শাণিত মস্তিষ্ক দিয়ে জটিল ও কঠিন সমস্যাবলিকে সমাধান করে জীবনকে সহজ ও সুন্দর করা সম্ভবপর হয়।

তাই সমাজকে কুসংস্কারের প্রভাবমুক্ত রাখতে, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে, মনকে প্রাণবন্ত ও সতেজ রাখতে বই পড়ার বিকল্প নেই। মহামারি-লগ্নে কিংবা মহামারি-উত্তর গোটা জাতিকে বই পারে সঠিক পথ দেখাতে। নিজে বই পড়ুন; পাশাপাশি বন্ধুকে বই পড়ায় উৎসাহী করে তুলুন।

হাছিবুল বাসার

বুধবার, ৩০ জুন ২০২১ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৮ ১৮ জিলক্বদ ১৪৪২

শ্রেষ্ঠ সম্পদ বই

বই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যার সঙ্গে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না। সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছিলেন, বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না। বই পড়লে মনের দেউলিয়াত্ব ঘোচে। জীবন জগৎ সম্পর্কে জানাশোনা বাড়ে। রবীন্দ্রনাথ লাইব্রেরিকে সভ্যতার সেতু হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

মহামারিতে সবাইকে ঘরবন্দি থাকতে হচ্ছে। ঘরবন্দি একঘেঁয়েমি সময়টাতে নিজেকে বিকশিত করতে বই হতে পারে সময়ের সেরা সঙ্গী। বই পাঠের অনেক উপকারিতা রয়েছে। বই পড়ার মাধ্যমে আমাদের জ্ঞানের পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করে। মানসিক উদ্দীপনা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ দূরীভূত করে এবং মনোযোগ বৃদ্ধিতে যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

বই কখনো হাসায়, কখনো বাস্তবতা উপলব্ধি করিয়ে কাঁদায়, কখনো কল্পনার রাজ্যে নিয়ে যায়। মানবজীবন সমস্যার ঊর্ধ্বে নয়। মানুষের চারপাশ সর্বদা অনুকূলে থাকে না। কিন্তু গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, সায়েন্স ফিকশন, মুক্তিযুদ্ধ ও বিভিন্ন জীবনীগ্রন্থ পড়ে প্রাপ্ত জ্ঞান স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী করে তুলে। মস্তিষ্ককে শাণিত করে তুলে। ফলে শাণিত মস্তিষ্ক দিয়ে জটিল ও কঠিন সমস্যাবলিকে সমাধান করে জীবনকে সহজ ও সুন্দর করা সম্ভবপর হয়।

তাই সমাজকে কুসংস্কারের প্রভাবমুক্ত রাখতে, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে, মনকে প্রাণবন্ত ও সতেজ রাখতে বই পড়ার বিকল্প নেই। মহামারি-লগ্নে কিংবা মহামারি-উত্তর গোটা জাতিকে বই পারে সঠিক পথ দেখাতে। নিজে বই পড়ুন; পাশাপাশি বন্ধুকে বই পড়ায় উৎসাহী করে তুলুন।

হাছিবুল বাসার