চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভায় আল্লাই-ওখাড়ার উত্তর পাড়া এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন কয়েকশত নারী পুরুষ পারাপার হচ্ছে।
বাঁশের সাঁকোটি কয়েকবছর ধরে স্থানীয়রা অর্থভাবে মেরামত না হওয়ায় সাঁকো পারাপর করতে গিয়ে প্রতিনিয়তে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। দুর্ঘটনায় পড়ে নারী পুরুষ অনেকে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা বর্তমান পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা হয়নি বলে জানান।
সাঁকোটি দ্রুত সংস্কার অথবা পাকা সেতু নির্মাণ করার জন্য জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার এমপি সামশুল হক চৌধুরীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, পটিয়া পৌরসভায় ১নং ওয়ার্ডের ওখাড়া উত্তর পাড়া এলাকার নাইখাইন খাল পার হয়ে ওপাড়ে ১০-১৫টি পরিবার বসবাস করে আসছে। বসবাসতরা অধিকাংশ পটিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হন। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার হয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে হযরত মালেক শাহ (রা) এর আস্তানা জিয়ারত করতে ভক্তরা আসছে তারা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
২০১০ সালের দিকে পটিয়া পৌরসভার তৎকালীন মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদ ও স্থানীয় কাউন্সিলরের সহযোগিতায় বাঁশের সাঁকো ও কিছু অংশ পাকা সেতু নির্মাণ হয়। এরপর অদৃশ্য কারণে সেতুর বাকি অংশ কাজ শেষ না করে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পড়ে আছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ বিষয়ে মাসুদ নামের এক ব্যক্তি জানান, এক সময়ে এটি রাস্তা থাকলেও খালের পানির ধাক্কায় ভাঙনে সকটি বিলীন হয়ে খালে পরিণত হয়েছে। যদি দ্রুত সংস্কার না হলে খালের ভাঙন আরও দিনদিন বাড়বে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে পটিয়া পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নাছির জানান, বিষয়টি আমি জানার পর মেয়র মহোদয়ের সাথে আলাপ হয়েছে, আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সাঁকোটি সংস্কার অথবা সেতুর বাকি অংশ কাজ শেষ করা হবে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে পটিয়া পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল বলেন, শুনেছি এলাকাটি পৌরসভার মধ্যে পড়েনি, এলাকাবাসী যদি বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার সহযোগিতা চান আমি চেষ্টা করব সাঁকোটি সংস্কার অথবা সেতুর বাকি কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে পৌরসভার পক্ষ থেকে সহযোগিতা করবেন বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার, ০১ জুলাই ২০২১ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৮ ১৯ জিলক্বদ ১৪৪২
প্রতিনিধি, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভায় আল্লাই-ওখাড়ার উত্তর পাড়া এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন কয়েকশত নারী পুরুষ পারাপার হচ্ছে।
বাঁশের সাঁকোটি কয়েকবছর ধরে স্থানীয়রা অর্থভাবে মেরামত না হওয়ায় সাঁকো পারাপর করতে গিয়ে প্রতিনিয়তে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। দুর্ঘটনায় পড়ে নারী পুরুষ অনেকে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা বর্তমান পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা হয়নি বলে জানান।
সাঁকোটি দ্রুত সংস্কার অথবা পাকা সেতু নির্মাণ করার জন্য জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার এমপি সামশুল হক চৌধুরীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, পটিয়া পৌরসভায় ১নং ওয়ার্ডের ওখাড়া উত্তর পাড়া এলাকার নাইখাইন খাল পার হয়ে ওপাড়ে ১০-১৫টি পরিবার বসবাস করে আসছে। বসবাসতরা অধিকাংশ পটিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হন। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার হয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে হযরত মালেক শাহ (রা) এর আস্তানা জিয়ারত করতে ভক্তরা আসছে তারা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
২০১০ সালের দিকে পটিয়া পৌরসভার তৎকালীন মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদ ও স্থানীয় কাউন্সিলরের সহযোগিতায় বাঁশের সাঁকো ও কিছু অংশ পাকা সেতু নির্মাণ হয়। এরপর অদৃশ্য কারণে সেতুর বাকি অংশ কাজ শেষ না করে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পড়ে আছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ বিষয়ে মাসুদ নামের এক ব্যক্তি জানান, এক সময়ে এটি রাস্তা থাকলেও খালের পানির ধাক্কায় ভাঙনে সকটি বিলীন হয়ে খালে পরিণত হয়েছে। যদি দ্রুত সংস্কার না হলে খালের ভাঙন আরও দিনদিন বাড়বে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে পটিয়া পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নাছির জানান, বিষয়টি আমি জানার পর মেয়র মহোদয়ের সাথে আলাপ হয়েছে, আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সাঁকোটি সংস্কার অথবা সেতুর বাকি অংশ কাজ শেষ করা হবে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে পটিয়া পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল বলেন, শুনেছি এলাকাটি পৌরসভার মধ্যে পড়েনি, এলাকাবাসী যদি বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার সহযোগিতা চান আমি চেষ্টা করব সাঁকোটি সংস্কার অথবা সেতুর বাকি কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে পৌরসভার পক্ষ থেকে সহযোগিতা করবেন বলে তিনি জানান।