মহামারীকালীন বাজেট পাস

করোনা মহামারী বিবেচনায় নতুন অর্থবছরের (২০২১-২২) জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট গতকাল জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৩ জুন জাতীয় সংসদে এ বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। করোনা সংক্রমণের কারণে গতবারের মতো এবারও সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সীমিত আলোচনা হয়। গতকাল ৫৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যের ছাঁটাই প্রস্তাব নিষ্পত্তির পর কণ্ঠভোটে ‘নির্দিষ্টকরণ বিল ২০২১’ পাসের মধ্য দিয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস হয়। রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে নতুন বাজেট আজ থেকেই কার্যকর হবে।

নতুন অর্থবছরের বাজেট মোট জিডিপির ১৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ। বাজেটে প্রাধিকার পেয়েছে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে। বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যখাতকে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজসমূহের বাস্তবায়ন, কৃষিখাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আগের বাজেটগুলোতে উন্নয়ন খাত বরাবরই বেশি গুরুত্ব পেয়ে আসছিল। কিন্তু মহামারীর ধাক্কায় গত বছর থেকে সেই ধারায় কিছুটা ছেদ পড়েছে।

এবার বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। পরিচালন (অনুন্নয়ন) ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৯ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধেই যাবে, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ১৯ শতাংশের বেশি।

বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ঘাটতি মোকাবিলায় বৈদেশিক অর্থায়ন থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে নেয়া হবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে নেয়া হবে ৩৭ হাজার ১ কোটি টাকা।

বিদায়ী (২০২০-২১) অর্থবছরের বাজেটে ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। পরে করোনা মহামারীর কারণে তা দুই দফা সংশোধন করে ৬ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক গতি না থাকায় রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে এনবিআর। অর্থমন্ত্রীর আশা করছেন, নতুন অর্থবছরের সম্ভাব্য ব্যয়ের ৬৪ শতাংশ তিনি রাজস্ব খাত থেকে পাবেন। তার মতে নতুন বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে মূল্যস্ফীতি ৫.৩ শতাংশের মধ্যে আটকে রেখেই ৭.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব হবে।

নির্দিষ্টকরণ বিল পাস

আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট সাত লাখ ৯২ হাজার ৯১২ কোটি ৯৫ লাখ নয় হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল গতকাল জাতীয় সংসদে পাস হয়।

এর মধ্যে, সংসদ সদস্যদের ভোটে গৃহীত অর্থের পরিমাণ পাঁচ লাখ ৫৪ হাজার ৩২ কোটি ৭১ লাখ নয় হাজার টাকা এবং সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায় দুই লাখ ৩৮ হাজার ৮৮০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সংযুক্ত তহবিলের দায়ের মধ্যে ট্রেজারি বিলের দায় পরিশোধ, হাইকোর্টের বিচারপতি ও মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বেতনও অন্তর্ভুক্ত।

মন্ত্রীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের ব্যয় নির্বাহের জন্য মোট ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি সংসদে উত্থাপন করেন। এই মঞ্জুরি দাবির প্রস্তাবগুলো সংসদে কণ্ঠভোটে অনুমোদিত হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবি সংসদে তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ছাঁটাই প্রস্তাব

নতুন অর্থবছরের বাজেটের ওপর সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৯টি মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে জাতীয় পার্টি (জাপা) বিএনপির ১২ জন সসংদ সদস্য ৬২৫টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। এর মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। বিরোধী দলের আলোচনার পর সবগুলো প্রস্তাব কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়। ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো দেন, জাপার কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লিয়াকত হোসেন খোকা, রুস্তম আলী ফরাজী, রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ, রুমিন ফারহানা, মোশাররফ হোসেন, গণফোরামের মোকাব্বির খান।

কালো টাকা সাদা

এদিকে উচ্চ হারে কর আরোপ করে ‘কালো টাকা সাদা’ করার বিশেষ সুযোগ রেখে জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার অর্থ বিল-২০২১ পাস হয়। ‘কালো টাকা সাদা’ করার বিষয়টি অর্থ বিলে প্রস্তাব আকারে না থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিল পাসের সময় সংশোধনী যোগ করা হয়। অর্থ বিলে শিল্পের কাঁচামাল কেনায় ক্রসচেকে লেনদেনের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। কমানো হয়েছে রেস্তোরাঁয় খাবারের ভ্যাট। এছাড়া করপোরেট কর কমানোসহ বিলে ছোটখাট কিছু পরিবর্তন আনা হয়।

বৃহস্পতিবার, ০১ জুলাই ২০২১ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৮ ১৯ জিলক্বদ ১৪৪২

মহামারীকালীন বাজেট পাস

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

করোনা মহামারী বিবেচনায় নতুন অর্থবছরের (২০২১-২২) জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট গতকাল জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৩ জুন জাতীয় সংসদে এ বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। করোনা সংক্রমণের কারণে গতবারের মতো এবারও সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সীমিত আলোচনা হয়। গতকাল ৫৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যের ছাঁটাই প্রস্তাব নিষ্পত্তির পর কণ্ঠভোটে ‘নির্দিষ্টকরণ বিল ২০২১’ পাসের মধ্য দিয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস হয়। রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে নতুন বাজেট আজ থেকেই কার্যকর হবে।

নতুন অর্থবছরের বাজেট মোট জিডিপির ১৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ। বাজেটে প্রাধিকার পেয়েছে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে। বাজেটে সঙ্গত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যখাতকে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজসমূহের বাস্তবায়ন, কৃষিখাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আগের বাজেটগুলোতে উন্নয়ন খাত বরাবরই বেশি গুরুত্ব পেয়ে আসছিল। কিন্তু মহামারীর ধাক্কায় গত বছর থেকে সেই ধারায় কিছুটা ছেদ পড়েছে।

এবার বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। পরিচালন (অনুন্নয়ন) ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৯ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধেই যাবে, যা মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রায় ১৯ শতাংশের বেশি।

বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ঘাটতি মোকাবিলায় বৈদেশিক অর্থায়ন থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে নেয়া হবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে নেয়া হবে ৩৭ হাজার ১ কোটি টাকা।

বিদায়ী (২০২০-২১) অর্থবছরের বাজেটে ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। পরে করোনা মহামারীর কারণে তা দুই দফা সংশোধন করে ৬ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক গতি না থাকায় রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে এনবিআর। অর্থমন্ত্রীর আশা করছেন, নতুন অর্থবছরের সম্ভাব্য ব্যয়ের ৬৪ শতাংশ তিনি রাজস্ব খাত থেকে পাবেন। তার মতে নতুন বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে মূল্যস্ফীতি ৫.৩ শতাংশের মধ্যে আটকে রেখেই ৭.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব হবে।

নির্দিষ্টকরণ বিল পাস

আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট সাত লাখ ৯২ হাজার ৯১২ কোটি ৯৫ লাখ নয় হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল গতকাল জাতীয় সংসদে পাস হয়।

এর মধ্যে, সংসদ সদস্যদের ভোটে গৃহীত অর্থের পরিমাণ পাঁচ লাখ ৫৪ হাজার ৩২ কোটি ৭১ লাখ নয় হাজার টাকা এবং সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায় দুই লাখ ৩৮ হাজার ৮৮০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সংযুক্ত তহবিলের দায়ের মধ্যে ট্রেজারি বিলের দায় পরিশোধ, হাইকোর্টের বিচারপতি ও মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বেতনও অন্তর্ভুক্ত।

মন্ত্রীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের ব্যয় নির্বাহের জন্য মোট ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি সংসদে উত্থাপন করেন। এই মঞ্জুরি দাবির প্রস্তাবগুলো সংসদে কণ্ঠভোটে অনুমোদিত হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবি সংসদে তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ছাঁটাই প্রস্তাব

নতুন অর্থবছরের বাজেটের ওপর সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৯টি মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে জাতীয় পার্টি (জাপা) বিএনপির ১২ জন সসংদ সদস্য ৬২৫টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। এর মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। বিরোধী দলের আলোচনার পর সবগুলো প্রস্তাব কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়। ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো দেন, জাপার কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লিয়াকত হোসেন খোকা, রুস্তম আলী ফরাজী, রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ, রুমিন ফারহানা, মোশাররফ হোসেন, গণফোরামের মোকাব্বির খান।

কালো টাকা সাদা

এদিকে উচ্চ হারে কর আরোপ করে ‘কালো টাকা সাদা’ করার বিশেষ সুযোগ রেখে জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার অর্থ বিল-২০২১ পাস হয়। ‘কালো টাকা সাদা’ করার বিষয়টি অর্থ বিলে প্রস্তাব আকারে না থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিল পাসের সময় সংশোধনী যোগ করা হয়। অর্থ বিলে শিল্পের কাঁচামাল কেনায় ক্রসচেকে লেনদেনের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। কমানো হয়েছে রেস্তোরাঁয় খাবারের ভ্যাট। এছাড়া করপোরেট কর কমানোসহ বিলে ছোটখাট কিছু পরিবর্তন আনা হয়।