আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ : নিহত ২ আহত ১৫

রাজশাহীতে গতকাল জমি নিয়ে বিরোধে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই নেতার সমর্থকদের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন। আহতদের ১০ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। একজনকে আইসিইউতে নেয়া হয়।

এলাকাবাসী জানায়, মহানগরীর দাসপুকুর এলাকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাতাব হোসেন ও নগর বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপি নেতা শফিকুল নিহত হন। তিনি দাশপুকর এলাকার সাজদার আলীর ছেলে। নিহত অন্যজন হলেন গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জয়নাল (৪৫)। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা মাহাতাবও (৫০) আহত হয়েছেন।

রাজপাড়া থানার ওসি মাঝাহারুল ইসলাম জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের একজন করে মারা যান। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের বেশিরভাগের আঘাত মাথায়।

উল্লেখ্য, মাহাতাব হোসেনের ছেলে সেলিম মুর্শেদ পিস্তল হাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে গত ২৮ জুন তিন সহযোগিসহ গ্রেপ্তার হন।

বৃহস্পতিবার, ০১ জুলাই ২০২১ , ১৭ আষাঢ় ১৪২৮ ১৯ জিলক্বদ ১৪৪২

রাজশাহীতে

আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ : নিহত ২ আহত ১৫

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহীতে গতকাল জমি নিয়ে বিরোধে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই নেতার সমর্থকদের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন। আহতদের ১০ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। একজনকে আইসিইউতে নেয়া হয়।

এলাকাবাসী জানায়, মহানগরীর দাসপুকুর এলাকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাতাব হোসেন ও নগর বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপি নেতা শফিকুল নিহত হন। তিনি দাশপুকর এলাকার সাজদার আলীর ছেলে। নিহত অন্যজন হলেন গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জয়নাল (৪৫)। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা মাহাতাবও (৫০) আহত হয়েছেন।

রাজপাড়া থানার ওসি মাঝাহারুল ইসলাম জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের একজন করে মারা যান। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের বেশিরভাগের আঘাত মাথায়।

উল্লেখ্য, মাহাতাব হোসেনের ছেলে সেলিম মুর্শেদ পিস্তল হাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে গত ২৮ জুন তিন সহযোগিসহ গ্রেপ্তার হন।