ধোবাউড়ায় পাহাড়ি ঢলে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত

ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, এক কিশোরের মৃত্যু

টানা বর্ষণে ময়মনসিংহের ধেবাউড়ায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্রবল স্র্রোতে পানি প্রবেশ করছে। এতে ঢলের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে সম্পূর্ণ উপজেলা।

পানিবন্দী হয়ে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। এতে পানিবন্দী অবস্থায় দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। অনেকের ঘরে পানি থাকায় রান্নাবান্না করতে পারছেনা। শুকনো খাবার খেয়ে দিন কটছে তাদের। এদিকে ঘোষগাও ইউনিয়নে ঢলের পানিতে লাখড়ি খোঁজতে গিয়ে নিখোঁজ আ. হাকিম নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন । গত বুধবার বেলা ১২টায় নিখোঁজ হয় ওই কিশোর। পরে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতায় ৬ ঘণ্টা চেষ্টা করে লাশ উদ্ধার করা হয়।

সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বুধবার গামারীতলা ইউনিয়নের কলসিন্দুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল হোসেনের বাড়ির পাশ দিয়ে নেতাই নদীর বেড়িবাঁধ, দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে রহমতের বাজারের পাশের নেতাই নদীর বাঁধ, ঘোঁষগাও ইউনিয়নের রায়পুর এবং ভালুকাপাড়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে প্রবল স্র্রোতে পানি প্রবেশ করছে। বুধবার রাতে হু হু করে পানি বেড়ে সম্পূর্ণ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। গবাদি পশু নিয়ে পড়েছে বেকায়দায়। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে। ঢলের পানিতে তলিয়ে ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ।

এ ব্যাপারে গামারীতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান বলেন, আমি ইতোমধ্যে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি, চেষ্টা করছি মানুষকে নিরাপদে রাখতে। এদিকে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জামান।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। পানিবন্দী মানুষের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার, ০২ জুলাই ২০২১ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৮ ২০ জিলক্বদ ১৪৪২

ধোবাউড়ায় পাহাড়ি ঢলে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত

ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, এক কিশোরের মৃত্যু

প্রতিনিধি, ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ)

image

ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) : ভারি বর্ষণ-পাহাড়ি ঢলে ডুবে যাওয়া গ্রাম -সংবাদ

টানা বর্ষণে ময়মনসিংহের ধেবাউড়ায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্রবল স্র্রোতে পানি প্রবেশ করছে। এতে ঢলের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে সম্পূর্ণ উপজেলা।

পানিবন্দী হয়ে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। এতে পানিবন্দী অবস্থায় দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। অনেকের ঘরে পানি থাকায় রান্নাবান্না করতে পারছেনা। শুকনো খাবার খেয়ে দিন কটছে তাদের। এদিকে ঘোষগাও ইউনিয়নে ঢলের পানিতে লাখড়ি খোঁজতে গিয়ে নিখোঁজ আ. হাকিম নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন । গত বুধবার বেলা ১২টায় নিখোঁজ হয় ওই কিশোর। পরে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতায় ৬ ঘণ্টা চেষ্টা করে লাশ উদ্ধার করা হয়।

সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, বুধবার গামারীতলা ইউনিয়নের কলসিন্দুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল হোসেনের বাড়ির পাশ দিয়ে নেতাই নদীর বেড়িবাঁধ, দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে রহমতের বাজারের পাশের নেতাই নদীর বাঁধ, ঘোঁষগাও ইউনিয়নের রায়পুর এবং ভালুকাপাড়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে প্রবল স্র্রোতে পানি প্রবেশ করছে। বুধবার রাতে হু হু করে পানি বেড়ে সম্পূর্ণ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। গবাদি পশু নিয়ে পড়েছে বেকায়দায়। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে। ঢলের পানিতে তলিয়ে ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ।

এ ব্যাপারে গামারীতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান বলেন, আমি ইতোমধ্যে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি, চেষ্টা করছি মানুষকে নিরাপদে রাখতে। এদিকে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জামান।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। পানিবন্দী মানুষের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।