৬৪ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ
সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। ঢাকায় গত একদিনে শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৩৬০ জনের করোনা সংক্রমণ। এছাড়া আরও ২০ জেলায় গত একদিনে একশ’ থেকে সাড়ে পাঁচশ’ মানুষের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
করোনা সংক্রমণে গত একদিনে দেশে রেকর্ড ১৪৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে টানা পঞ্চম দিন শতাধিক করে মানুষের মৃত্যু হলো। টানা দ্বিতীয় দিনে শনাক্তও আট হাজারের বেশি হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হারও প্রায় ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় গত একদিনে শুধুমাত্র খুলনা বিভাগেই ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হারে শীর্ষে রয়েছে রংপুর ও খুলনা বিভাগ।
গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আট হাজার ৩০১ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন একদিনে রেকর্ড আট হাজার ৮২২ জনের করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সর্বশেষ শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে মোট করোনা সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো নয় লাখ ২১ হাজার ৫৫৯ জন।
গত একদিনে মারা যাওয়া ১৪৩ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন ১৪ হাজার ৬৪৬ জন। এর আগে ৩০ জুন ১১৫ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, ২৮ জুন ১০৪ জন এবং ২৭ জুন ১১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত একদিনে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৬৬৩ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়ালো আট লাখ ২০ হাজার ৯১৩ জনে।
৬৪ জেলাই সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে
গত একদিনে একশ’ থেকে সাড়ে পাঁচশ’ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ জেলায়। এর মধ্যে ফরিদপুরে ১৬১ জন, টাঙ্গাইলে ২৫৭ জন, নারায়ণগঞ্জে ১০০ জন, ময়মনসিংহে ১২৯ জন, নোয়াখালীতে ১২৭ জন, কুমিল্লায় ১২৫ জন ও চট্টগ্রামে ৫৫২ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
অন্য জেলার মধ্যে রাজশাহীতে ৩৭৭ জন, নাটোরে ২২৫ জন, নওগাঁয় ১১০ জন, পাবনায় ১৯২ জন, সিরাজগঞ্জে ১১৯ জন, বগুড়ায় ১৩৪ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১০৮ জন, দিনাজপুরে ১৫১ জন, বাগেরহাটে ১২৩ জন, যশোরে ১৪২ জন, খুলনায় ২৪২ জন, কুষ্টিয়ায় ৩২৪ জন এবং সিলেটে ১৪৭ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
শরীয়তপুর ও ভোলায় গত একদিনে আটজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন ভোলায় পাঁচজন ও শরীয়তপুরে ১৯ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। বাকি ৪১টি জেলায় গতকাল দশজন থেকে ৯৭ জন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে নরসিংদী, বান্দরবান, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী ও বরগুনাসহ কয়েকটি জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা উঠা-নামা করছে।
সংক্রমণের হারে শীর্ষে রংপুর ও খুলনা বিভাগ, সংখ্যায় ঢাকা বিভাগ
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মানুষের করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায়। এই বিভাগে ১৪ হাজার ৭৭৪টি নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ৩৭৬ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
এই বিভাগের মধ্যে ঢাকা মহানগরসহ ঢাকা জেলায় ১১ হাজার ৬৬০টি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ৩৬০ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ঢাকায় সংক্রমণের হার ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হারে শীর্ষে রয়েছে রংপুর ও খুলনা বিভাগ। এর মধ্যে খুলনা বিভাগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দৈনিক শনাক্তের হার ৪০ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে।
গত একদিনে রংপুর বিভাগের আট জেলায় এক হাজার ১৪০টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৬৫ জনের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
খুলনা বিভাগের দশ জেলায় এদিন তিন হাজার ৩০৮টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ২৪৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ৩৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৩৪টি নমুনা পরীক্ষায় ২৮০ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ২৭ দশমিক ০৭ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় চার হাজার ৭৯৫টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ১৭১ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।
রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় গত একদিনে পাঁচ হাজার ৩১৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এসব পরীক্ষায় এক হাজার ২৭৯ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া যায়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।
বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৭টি নমুনা পরীক্ষায় ২৮৬ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
সিলেট বিভাগের চার জেলায় ৬৮৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১৯৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সিলেটে সংক্রমণের হার ২৯ দশমিক ০৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার প্রায় ২৬ শতাংশ
গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৫৬৬টি ল্যাবরেটরিতে ৩২ হাজার ৫৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এখন পর্যন্ত দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৬ লাখ ৪০ হাজার ৯৮২টি।
গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৪৩ জনের মধ্যে পুরুষ ৯০ জন এবং নারী ৫৩ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১০৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৩ জন এবং বাসায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে ৭০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৪২ জনের বয়স ছিল ৫০ বছরের বেশি, ১৮ জনের বয়স ছিল ৪০ বছরের বেশি, ১১ জনের বয়স ছিল ৩০ বছরের বেশি, একজনের বয়স ছিল ১০ বছরের বেশি এবং আরেকজনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৫ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন, রাজশাহীতে ১৯ জন, খুলনায় ৪৬ জন, বরিশালে আটজন, সিলেট বিভাগে সাতজন, রংপুরে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার, ০২ জুলাই ২০২১ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৮ ২০ জিলক্বদ ১৪৪২
৬৪ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। ঢাকায় গত একদিনে শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৩৬০ জনের করোনা সংক্রমণ। এছাড়া আরও ২০ জেলায় গত একদিনে একশ’ থেকে সাড়ে পাঁচশ’ মানুষের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
করোনা সংক্রমণে গত একদিনে দেশে রেকর্ড ১৪৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে টানা পঞ্চম দিন শতাধিক করে মানুষের মৃত্যু হলো। টানা দ্বিতীয় দিনে শনাক্তও আট হাজারের বেশি হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হারও প্রায় ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় গত একদিনে শুধুমাত্র খুলনা বিভাগেই ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হারে শীর্ষে রয়েছে রংপুর ও খুলনা বিভাগ।
গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আট হাজার ৩০১ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন একদিনে রেকর্ড আট হাজার ৮২২ জনের করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সর্বশেষ শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে মোট করোনা সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো নয় লাখ ২১ হাজার ৫৫৯ জন।
গত একদিনে মারা যাওয়া ১৪৩ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন ১৪ হাজার ৬৪৬ জন। এর আগে ৩০ জুন ১১৫ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, ২৮ জুন ১০৪ জন এবং ২৭ জুন ১১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত একদিনে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৬৬৩ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়ালো আট লাখ ২০ হাজার ৯১৩ জনে।
৬৪ জেলাই সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে
গত একদিনে একশ’ থেকে সাড়ে পাঁচশ’ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ জেলায়। এর মধ্যে ফরিদপুরে ১৬১ জন, টাঙ্গাইলে ২৫৭ জন, নারায়ণগঞ্জে ১০০ জন, ময়মনসিংহে ১২৯ জন, নোয়াখালীতে ১২৭ জন, কুমিল্লায় ১২৫ জন ও চট্টগ্রামে ৫৫২ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
অন্য জেলার মধ্যে রাজশাহীতে ৩৭৭ জন, নাটোরে ২২৫ জন, নওগাঁয় ১১০ জন, পাবনায় ১৯২ জন, সিরাজগঞ্জে ১১৯ জন, বগুড়ায় ১৩৪ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১০৮ জন, দিনাজপুরে ১৫১ জন, বাগেরহাটে ১২৩ জন, যশোরে ১৪২ জন, খুলনায় ২৪২ জন, কুষ্টিয়ায় ৩২৪ জন এবং সিলেটে ১৪৭ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
শরীয়তপুর ও ভোলায় গত একদিনে আটজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন ভোলায় পাঁচজন ও শরীয়তপুরে ১৯ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। বাকি ৪১টি জেলায় গতকাল দশজন থেকে ৯৭ জন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে নরসিংদী, বান্দরবান, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী ও বরগুনাসহ কয়েকটি জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা উঠা-নামা করছে।
সংক্রমণের হারে শীর্ষে রংপুর ও খুলনা বিভাগ, সংখ্যায় ঢাকা বিভাগ
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মানুষের করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায়। এই বিভাগে ১৪ হাজার ৭৭৪টি নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ৩৭৬ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
এই বিভাগের মধ্যে ঢাকা মহানগরসহ ঢাকা জেলায় ১১ হাজার ৬৬০টি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ৩৬০ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ঢাকায় সংক্রমণের হার ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হারে শীর্ষে রয়েছে রংপুর ও খুলনা বিভাগ। এর মধ্যে খুলনা বিভাগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দৈনিক শনাক্তের হার ৪০ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে।
গত একদিনে রংপুর বিভাগের আট জেলায় এক হাজার ১৪০টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৬৫ জনের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
খুলনা বিভাগের দশ জেলায় এদিন তিন হাজার ৩০৮টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ২৪৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ৩৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৩৪টি নমুনা পরীক্ষায় ২৮০ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ২৭ দশমিক ০৭ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় চার হাজার ৭৯৫টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ১৭১ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।
রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় গত একদিনে পাঁচ হাজার ৩১৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এসব পরীক্ষায় এক হাজার ২৭৯ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া যায়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।
বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৭টি নমুনা পরীক্ষায় ২৮৬ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
সিলেট বিভাগের চার জেলায় ৬৮৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১৯৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সিলেটে সংক্রমণের হার ২৯ দশমিক ০৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার প্রায় ২৬ শতাংশ
গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৫৬৬টি ল্যাবরেটরিতে ৩২ হাজার ৫৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এখন পর্যন্ত দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৬ লাখ ৪০ হাজার ৯৮২টি।
গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৪৩ জনের মধ্যে পুরুষ ৯০ জন এবং নারী ৫৩ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১০৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৩ জন এবং বাসায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে ৭০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৪২ জনের বয়স ছিল ৫০ বছরের বেশি, ১৮ জনের বয়স ছিল ৪০ বছরের বেশি, ১১ জনের বয়স ছিল ৩০ বছরের বেশি, একজনের বয়স ছিল ১০ বছরের বেশি এবং আরেকজনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৫ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন, রাজশাহীতে ১৯ জন, খুলনায় ৪৬ জন, বরিশালে আটজন, সিলেট বিভাগে সাতজন, রংপুরে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।