হলি আর্টিজানে হামলার গতকাল ছিল ৫ বছর। এবার দিনটিকে স্মরণ করা হয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে। প্রতিবারের ন্যায় নিহতের স্বজন ও বিদেশি নাগরিকরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এলেও গতকাল তারা আসেনি। তবে র‌্যাবের প্রধান, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ও চার দেশের রাষ্ট্রদূত শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

লকডাউনের কারণে সারা দিন নীরব হলি আর্টিজান। হলি আর্টিজানের প্রধান গেটে সকাল থেকে দুই নিরাপত্তা কর্মী পাহারায় ছিলেন। আর্টিজান ভবনের সামনে থাকা একটি টেবিলে তিনটি ফুলের তোড়ায় শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গেছে। এই তিনটি ফুলের তোড়া ছিল র‌্যাব, পুলিশ ও বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তার পক্ষ থেকে দেয়া। তারা শ্রদ্ধা জানিয়ে বাহির থেকেই ঘুরে গেছেন বলে জানা গেছে। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পঞ্চম বার্ষিকীর সব অনুষ্ঠান আগে থেকে বাতিল করা হয়েছিল। তবে সকালের দিকে এ ঘটনায় জঙ্গিদের হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন খান ও মো. রবিউল করিমের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন র্যাবের মহাপরিচালক ও ডিএমপি কমিশনার।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, জঙ্গি দমনে র?্যাবের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে জঙ্গিরা এখন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। র?্যাবের নিয়মিত অভিযান ও নজরদারি কারণে তারা তৎপরতা দেখাতে পারছে না।

এদিকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, সারাবিশ্বের জঙ্গিরা এখন অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। দেশেও অনলাইনে জঙ্গি কার্যক্রম দেখা যায়। অনলাইনে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। জঙ্গিরা দেশে বিভিন্ন সময় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তারা এখন কৌশল বদলে অনলাইনে নিজেদের সংঘটিত করার চেষ্টা করছে। তবে র?্যাব ও পুলিশের নজরদারি কারণে জঙ্গিরা সক্রিয় হয়ে ওঠতে পারছে না।

এছাড়াও নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চার দেশের রাষ্ট্রদূতরা। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নিহতদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদনে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা ও ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী যোগ দেন।