যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সামরিক উসকানি দিচ্ছে : পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে সামরিক উসকানির অভিযোগ এনেছেন। নিজ দেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে এমন অভিযোগ করেন তিনি। বিবিসি

২০২১ সালের ২৩ জুন কৃষ্ণ সাগরে যুক্তরাজ্যের একটি যুদ্ধজাহাজকে তাড়া করার দাবি করে রাশিয়া। মস্কোর প্রতিরক্ষা বিভাগ জানায়, তাদের টহল জাহাজ থেকে ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ার শ্রেণীর জাহাজ এইচএমএস ডিফেন্ডারকে সতর্ক করে দুটি গোলা ছোড়া হয়। জাহাজের পথের সামনে জঙ্গিবিমান থেকে একটি বোমাও নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে মস্কোর এমন দাবি অস্বীকার করেছে ব্রিটিশ সরকার। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে কূটনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়। সেই ঘটনার সূত্র ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে সামরিক উসকানির অভিযোগ তোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে পুতিন বলেন, ইউক্রেনের ভেতরে কিংবা দেশটির কাছাকাছি কোন স্থানে সামরিক ঘাঁটি তৈরির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই সেদিন ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজটি রাশিয়ার পানিসীমায় প্রবেশ করেছিল। ওই অপারেশনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা বিমানও যুক্ত ছিল। কৃষ্ণ সাগরে সেদিন রুশ বাহিনীর ভূমিকা কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরির উসকানি ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, এ মুহূর্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার মতো কোন ঝুঁকি নেই। এমনকি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজটি ডুবিয়ে দিলেও এ ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতো না।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা জানে, এই সংঘাতে তারা জিততে পারবে না। আমরা আমাদের নিজেদের এলাকার জন্য লড়াই করব। তাদের সীমান্তে যেতে আমরা কয়েক হাজার মাইল ভ্রমণ করিনি।

পুতিন ভাষণে এটা পরিষ্কার যে, কৃষ্ণ সাগরের ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাশিয়া তার অবস্থানে অনড় রয়েছে। এ নিয়ে কোনভাবেই আপসের পথে হাঁটতে রাজি নয় মস্কো।

শুক্রবার, ০২ জুলাই ২০২১ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৮ ২০ জিলক্বদ ১৪৪২

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সামরিক উসকানি দিচ্ছে : পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে সামরিক উসকানির অভিযোগ এনেছেন। নিজ দেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে এমন অভিযোগ করেন তিনি। বিবিসি

২০২১ সালের ২৩ জুন কৃষ্ণ সাগরে যুক্তরাজ্যের একটি যুদ্ধজাহাজকে তাড়া করার দাবি করে রাশিয়া। মস্কোর প্রতিরক্ষা বিভাগ জানায়, তাদের টহল জাহাজ থেকে ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ার শ্রেণীর জাহাজ এইচএমএস ডিফেন্ডারকে সতর্ক করে দুটি গোলা ছোড়া হয়। জাহাজের পথের সামনে জঙ্গিবিমান থেকে একটি বোমাও নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে মস্কোর এমন দাবি অস্বীকার করেছে ব্রিটিশ সরকার। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে কূটনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়। সেই ঘটনার সূত্র ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে সামরিক উসকানির অভিযোগ তোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে পুতিন বলেন, ইউক্রেনের ভেতরে কিংবা দেশটির কাছাকাছি কোন স্থানে সামরিক ঘাঁটি তৈরির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই সেদিন ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজটি রাশিয়ার পানিসীমায় প্রবেশ করেছিল। ওই অপারেশনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা বিমানও যুক্ত ছিল। কৃষ্ণ সাগরে সেদিন রুশ বাহিনীর ভূমিকা কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরির উসকানি ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, এ মুহূর্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার মতো কোন ঝুঁকি নেই। এমনকি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজটি ডুবিয়ে দিলেও এ ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতো না।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা জানে, এই সংঘাতে তারা জিততে পারবে না। আমরা আমাদের নিজেদের এলাকার জন্য লড়াই করব। তাদের সীমান্তে যেতে আমরা কয়েক হাজার মাইল ভ্রমণ করিনি।

পুতিন ভাষণে এটা পরিষ্কার যে, কৃষ্ণ সাগরের ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাশিয়া তার অবস্থানে অনড় রয়েছে। এ নিয়ে কোনভাবেই আপসের পথে হাঁটতে রাজি নয় মস্কো।