মুঠোফোনের বৈধতা যাচাই শুরু, তিন মাস পর ব্যবস্থা

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রারের (এনইআইআর) মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। এনইআইআর প্রযুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপরাধ দমন আরও সহজ হবে এবং অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধের মাধ্যমে রাজস্ব খাতেও সহায়তা হবে। কোন হ্যান্ডসেট চালু থাকবে আর কোনটা বন্ধ হবে তা তিনমাস পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

গতকাল এনইআইআর’র পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধনী ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন। অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ, স্থানীয় উৎপাদন ও রাজস্ব আদায় বাড়ানোর লক্ষ্যে গতকাল থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রারের (এনইআইআর) কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। কারিগরি বাস্তবায়ন করছে সিনেসিস আইটি।

এনইআইআর সিস্টেম চালু দেশের জন্য একটি মাইলফলক উল্লেখ করে বলেন, যারা ব্যক্তি, সমাজ, দেশকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করেন তাদের জন্য এটি একটি হাতিয়ার। তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে দেশে অপরাধের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তারমধ্যে অনলাইনও আছে। এটার ক্ষেত্র সীমাহীন। ফলে এই বিষয়টিতে আমাদের সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।

বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্টদের এই বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্ত্রী বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে দেশে গ্রাহকের হাতে থাকা সব চালু হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন না হয়ে থাকলে তা অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে। গ্রাহকের কাছ থেকে যেন কোন অভিযোগ না পাই যে তার সেট নিবন্ধন হয়নি। আজ সকাল থেকে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। গ্রাহকরা যাতে কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে বিটিআরসিকে সতর্ক থাকতে হবে। কোন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী যেন তাকে (মন্ত্রী) মেসেজ দিয়ে, ফোন করে মোবাইল সেট নিবন্ধন নিয়ে হয়রানির কথা না জানান সে বিষয়েও সবাই সতর্ক থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্পেক্ট্রাম বিভাগের কমিশনার একেএম শাহীদুজ্জামান। এনইআইআর সিস্টেম নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন একই বিভাগের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. শহিদুল আলম। তিনি বলেন, কোন সেট বন্ধ হবে না। ১ জুলাই থেকে সেট চালু করলে তা নেটওয়ার্কে সচল থাকবে। গ্রাহককে মেসেজ দিয়ে জানানো হবে সেটটি বৈধ না অবৈধ। তারপর সেটটি বৈধ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। অবৈধ হলেও সেট তিন মাস চালু থাকবে। তারপর সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তিনি জানান, ৩০ জুনের মধ্যে দেশের সব মোবাইলের ডাটা মাইগ্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। ফলে ৩০ জুনের মধ্যে নেটওয়ার্কে চালু থাকা সব মোবাইল ফোনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, অবৈধ সেট বন্ধের প্রক্রিয়া ১ অক্টোবর থেকে পুরোপুরি শুরু হবে। এ প্রক্রিয়ায় গ্রাহকরা যাতে কোন ধরনের সমস্যায় না পড়েন, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, এ প্রক্রিয়ায় হ্যান্ডসেট চুরি বা হারিয়ে গেলে খুব সহজেই তা উদ্ধার করা যাবে। চুরি বা হারিয়ে গেলে হ্যান্ডসেটটি কোথায় আছে বা কে ব্যবহার করছে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে।

মোবাইল কেনার আগে যা করতে হবে

১ জুলাই থেকে যেকোন মাধ্যম থেকে (বিক্রয় কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয় কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মোবাইল ফোন সেট কেনার আগে অবশ্যই হ্যান্ডসেটটির বৈধতা কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করে যাচাই করতে হবে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি জানিয়েছে, হ্যান্ডসেট কেনার রসিদ সংরক্ষণ করতে হবে। মোবাইল ফোনটি বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।

মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে কেওয়াইডি লিখে স্পেস দিয়ে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বরটি লিখতে হবে। তার পর আইএমইআই নম্বরটি লেখার পরে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানা যাবে।

বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া ফোন নিবন্ধন করা যাবে যেভাবে

বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল ফোন সেট দেশে এনে চালু করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে। তবে ফোন সচল হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করলে সেটটি বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করা না হলে সেটি বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে না। এ বিষয়ে গ্রাহককে এসএমএস’র মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে এবং পরীক্ষাকালের জন্য নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রাখা হবে। পরীক্ষামূলক সময় (৩ মাস) শেষ হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোবাইল ফোন সেট নিবন্ধন করা যাবে এভাবে

হবরৎ.নঃৎপ.মড়া.নফ লিংকে গিয়ে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে। পোর্টালের স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন সেকশনে গিয়ে মোবাইল সেটের আইএমইআই নম্বরটি দিতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট’র ছবি বা স্ক্যান কপি (যেমন : ভিসা, ইমিগ্রেশন তথ্যাদি, কেনার রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করতে হবে এবং সাবমিট বাটনটি প্রেস করতে হবে। সেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। মোবাইল ফোনসেটটি বৈধ না হলে এসএমএস’র মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে পরীক্ষাকালে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রাখা হবে। পরীক্ষামূলক সময় পার হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়েও এই সেবা গ্রহণ করা যাবে।

হাতে থাকা মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই

যে কেউ চাইলে তার হাতে থাকা মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা জেনে নিতে পারেন। মোবাইল হ্যান্ডসেটে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করতে হবে। স্ক্রিনে অপশন এলে Status Check সিলেক্ট করতে হবে। তখন একটি অটোমেটিক বক্স আসবে, সেখানে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের ওগঊও নম্বরটি লিখে পাঠাতে হবে। গ্রাহকের মোবাইলে তখন হ্যাঁ/না অপশন সম্বলিত একটি অটোমেটিক বক্স আসবে। তাতে হ্যাঁ Select করে নিশ্চিত করতে হবে। ফিরতি মেসেজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের/হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে। এছাড়া neir.btrc.gov.bd ওয়েব লিংকে গিয়ে বিদ্যমান সিটিজেন পোর্টাল এবং মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারেও এ সেবা মিলবে।

শুক্রবার, ০২ জুলাই ২০২১ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৮ ২০ জিলক্বদ ১৪৪২

মুঠোফোনের বৈধতা যাচাই শুরু, তিন মাস পর ব্যবস্থা

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রারের (এনইআইআর) মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। এনইআইআর প্রযুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপরাধ দমন আরও সহজ হবে এবং অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধের মাধ্যমে রাজস্ব খাতেও সহায়তা হবে। কোন হ্যান্ডসেট চালু থাকবে আর কোনটা বন্ধ হবে তা তিনমাস পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

গতকাল এনইআইআর’র পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধনী ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন। অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ, স্থানীয় উৎপাদন ও রাজস্ব আদায় বাড়ানোর লক্ষ্যে গতকাল থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রারের (এনইআইআর) কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। কারিগরি বাস্তবায়ন করছে সিনেসিস আইটি।

এনইআইআর সিস্টেম চালু দেশের জন্য একটি মাইলফলক উল্লেখ করে বলেন, যারা ব্যক্তি, সমাজ, দেশকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করেন তাদের জন্য এটি একটি হাতিয়ার। তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে দেশে অপরাধের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তারমধ্যে অনলাইনও আছে। এটার ক্ষেত্র সীমাহীন। ফলে এই বিষয়টিতে আমাদের সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।

বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্টদের এই বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্ত্রী বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে দেশে গ্রাহকের হাতে থাকা সব চালু হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন না হয়ে থাকলে তা অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে। গ্রাহকের কাছ থেকে যেন কোন অভিযোগ না পাই যে তার সেট নিবন্ধন হয়নি। আজ সকাল থেকে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। গ্রাহকরা যাতে কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে বিটিআরসিকে সতর্ক থাকতে হবে। কোন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী যেন তাকে (মন্ত্রী) মেসেজ দিয়ে, ফোন করে মোবাইল সেট নিবন্ধন নিয়ে হয়রানির কথা না জানান সে বিষয়েও সবাই সতর্ক থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্পেক্ট্রাম বিভাগের কমিশনার একেএম শাহীদুজ্জামান। এনইআইআর সিস্টেম নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন একই বিভাগের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. শহিদুল আলম। তিনি বলেন, কোন সেট বন্ধ হবে না। ১ জুলাই থেকে সেট চালু করলে তা নেটওয়ার্কে সচল থাকবে। গ্রাহককে মেসেজ দিয়ে জানানো হবে সেটটি বৈধ না অবৈধ। তারপর সেটটি বৈধ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। অবৈধ হলেও সেট তিন মাস চালু থাকবে। তারপর সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তিনি জানান, ৩০ জুনের মধ্যে দেশের সব মোবাইলের ডাটা মাইগ্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। ফলে ৩০ জুনের মধ্যে নেটওয়ার্কে চালু থাকা সব মোবাইল ফোনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, অবৈধ সেট বন্ধের প্রক্রিয়া ১ অক্টোবর থেকে পুরোপুরি শুরু হবে। এ প্রক্রিয়ায় গ্রাহকরা যাতে কোন ধরনের সমস্যায় না পড়েন, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, এ প্রক্রিয়ায় হ্যান্ডসেট চুরি বা হারিয়ে গেলে খুব সহজেই তা উদ্ধার করা যাবে। চুরি বা হারিয়ে গেলে হ্যান্ডসেটটি কোথায় আছে বা কে ব্যবহার করছে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে।

মোবাইল কেনার আগে যা করতে হবে

১ জুলাই থেকে যেকোন মাধ্যম থেকে (বিক্রয় কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয় কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মোবাইল ফোন সেট কেনার আগে অবশ্যই হ্যান্ডসেটটির বৈধতা কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করে যাচাই করতে হবে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি জানিয়েছে, হ্যান্ডসেট কেনার রসিদ সংরক্ষণ করতে হবে। মোবাইল ফোনটি বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।

মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে কেওয়াইডি লিখে স্পেস দিয়ে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বরটি লিখতে হবে। তার পর আইএমইআই নম্বরটি লেখার পরে ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা সম্পর্কে জানা যাবে।

বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া ফোন নিবন্ধন করা যাবে যেভাবে

বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার পাওয়া মোবাইল ফোন সেট দেশে এনে চালু করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে। তবে ফোন সচল হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করলে সেটটি বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করা না হলে সেটি বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে না। এ বিষয়ে গ্রাহককে এসএমএস’র মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে এবং পরীক্ষাকালের জন্য নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রাখা হবে। পরীক্ষামূলক সময় (৩ মাস) শেষ হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোবাইল ফোন সেট নিবন্ধন করা যাবে এভাবে

হবরৎ.নঃৎপ.মড়া.নফ লিংকে গিয়ে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে। পোর্টালের স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন সেকশনে গিয়ে মোবাইল সেটের আইএমইআই নম্বরটি দিতে হবে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট’র ছবি বা স্ক্যান কপি (যেমন : ভিসা, ইমিগ্রেশন তথ্যাদি, কেনার রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করতে হবে এবং সাবমিট বাটনটি প্রেস করতে হবে। সেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। মোবাইল ফোনসেটটি বৈধ না হলে এসএমএস’র মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে পরীক্ষাকালে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রাখা হবে। পরীক্ষামূলক সময় পার হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়েও এই সেবা গ্রহণ করা যাবে।

হাতে থাকা মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই

যে কেউ চাইলে তার হাতে থাকা মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা জেনে নিতে পারেন। মোবাইল হ্যান্ডসেটে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করতে হবে। স্ক্রিনে অপশন এলে Status Check সিলেক্ট করতে হবে। তখন একটি অটোমেটিক বক্স আসবে, সেখানে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের ওগঊও নম্বরটি লিখে পাঠাতে হবে। গ্রাহকের মোবাইলে তখন হ্যাঁ/না অপশন সম্বলিত একটি অটোমেটিক বক্স আসবে। তাতে হ্যাঁ Select করে নিশ্চিত করতে হবে। ফিরতি মেসেজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের/হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে। এছাড়া neir.btrc.gov.bd ওয়েব লিংকে গিয়ে বিদ্যমান সিটিজেন পোর্টাল এবং মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারেও এ সেবা মিলবে।