ভোগান্তির শেষ কোথায়

দেশের উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে উন্নত ও নির্ভরযোগ্য চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (রামেক)। কিন্তু বর্তমানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘিরে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যে রোগীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। হাসপাতালের গেট থেকে শুরু করে প্রতি ধাপে দালালদের টাকা না দিলে রোগী ভর্তি করানো প্রায় অসম্ভব। এই চক্রের অপতৎপরতা ওপেন সিক্রেট হলেও তাদের দৌরাত্ম্য থামাতে কর্তৃপক্ষের কোন কার্যকরী ব্যবস্থা চোখে পড়ে না।

এক শ্রেণীর চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স, ওয়ার্ড মাস্টারসহ প্রশাসনের সবার সঙ্গেই রয়েছে তাদের ভালো সখ্যতা। চিকিৎসা নিতে আসা নিরীহ, দরিদ্র ও অসহায় যাদের বেশিরভাগ গ্রাম থেকে আসেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে কিছুই জানেন না তাদের টার্গেট করে করে কম খরচে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অস্ত্রোপচার করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বেসরকারি কোন ক্লিনিকে বা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ভর্তি করায়। ফলে হাসপাতালে স্বল্প মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় ভুক্তভোগীরা। ফলে আতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয় তাদের।

অনেক সময় ভুল চিকিৎসায় প্রাণহানিও হয়ে থাকে। এমনকি হাসপাতাল থেকে মৃতের ছাড়পত্র পেতেও গুণতে হয় টাকা। এছাড়া সিন্ডিকেট করে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা এবং ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যে তো আছেই। তাই সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন থেকে যায় রাজশাহী বিভাগের জনসাধারণের এ ভোগান্তির শেষ কোথায়! এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের যথাযথ দৃষ্টি ও তদারকি কামনা করছি।

মো. আব্দুল হাকিম জুবাইর

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

শুক্রবার, ০২ জুলাই ২০২১ , ১৮ আষাঢ় ১৪২৮ ২০ জিলক্বদ ১৪৪২

ভোগান্তির শেষ কোথায়

দেশের উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে উন্নত ও নির্ভরযোগ্য চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (রামেক)। কিন্তু বর্তমানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘিরে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যে রোগীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। হাসপাতালের গেট থেকে শুরু করে প্রতি ধাপে দালালদের টাকা না দিলে রোগী ভর্তি করানো প্রায় অসম্ভব। এই চক্রের অপতৎপরতা ওপেন সিক্রেট হলেও তাদের দৌরাত্ম্য থামাতে কর্তৃপক্ষের কোন কার্যকরী ব্যবস্থা চোখে পড়ে না।

এক শ্রেণীর চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স, ওয়ার্ড মাস্টারসহ প্রশাসনের সবার সঙ্গেই রয়েছে তাদের ভালো সখ্যতা। চিকিৎসা নিতে আসা নিরীহ, দরিদ্র ও অসহায় যাদের বেশিরভাগ গ্রাম থেকে আসেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে কিছুই জানেন না তাদের টার্গেট করে করে কম খরচে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অস্ত্রোপচার করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বেসরকারি কোন ক্লিনিকে বা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ভর্তি করায়। ফলে হাসপাতালে স্বল্প মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় ভুক্তভোগীরা। ফলে আতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয় তাদের।

অনেক সময় ভুল চিকিৎসায় প্রাণহানিও হয়ে থাকে। এমনকি হাসপাতাল থেকে মৃতের ছাড়পত্র পেতেও গুণতে হয় টাকা। এছাড়া সিন্ডিকেট করে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা এবং ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যে তো আছেই। তাই সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন থেকে যায় রাজশাহী বিভাগের জনসাধারণের এ ভোগান্তির শেষ কোথায়! এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের যথাযথ দৃষ্টি ও তদারকি কামনা করছি।

মো. আব্দুল হাকিম জুবাইর

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়