করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনেণ থাকলেও হার্ট, কিডনি ও লিভারের সমস্যা আগের মতই বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। এখন তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। টানা ৫৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ১৯ জুন রাতে বাসভবন ফিরোজায় আনা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
গতকাল খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজা একটা মিনি হাসপাতালের মতোই। সেখানে অক্সিজেন সাপোর্টসহ মোটামুটি প্রাথমিকভাবে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কারণ প্রায় প্রতিদিনই তার কোন না কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হচ্ছে। যাতে তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা কি তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের অবস্থা আগের মতোই আছে। অর্থাৎ তিনি হাসপাতাল থেকে যেমন এসেছেন, তেমনই আছেন। কোন পরিবর্তন নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, আমরা প্রতিদিনই ম্যাডামকে দেখতে তার বাসায় যাই। তাকে বাসায় রেখে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো যায়, তার সবগুলোই করানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ম্যাডামকে হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়নি। সেরকম কিছু হলে আপনারা জানতে পারবেন।
তার চিকিৎসকরা বলেছেন, আগের তুলনায় তার অবস্থার উন্নতি বা অবনতি কোনটাই হয়নি। বর্তমানে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হার্ট, কিডনি ও লিভারের সমস্যা আগের মতোই আছে।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, চিকিৎসকদের নিষেধ থাকার কারণে আমরা কেউ তাকে (খালেদা জিয়াকে) দেখতে যাইনি। যতটুকু জানি, বাসায় তার চিকিৎসা চলছে। ডাক্তাররা নিয়মিত তাকে দেখতে যান।
তিনি বলেন, আমরা বারবার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে সরকারকে অনুমতি দিতে অনুরোধ করেছি কিন্তু সরকার তা দেয়নি।
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে খালেদা জিয়া ক্ষমা চাইবেন কিনা জানতে চাইলে সেলিমা ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে তার সঙ্গে কোন আলোচনা হয়নি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের একটি সূত্র জানান, চিকিৎসকদের বাইরে খালেদা জিয়াকে দেখতে তার বাসভবন ফিরোজায় মাঝেমধ্যে যান ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী।
বিএনপির নেতারা বলছেন, সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তার পুরাতন রোগ ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস আছে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর এখন তার হার্ট, কিডনি ও লিভারের অবস্থা ভালো নয়। যে কোন সময় যে কোন কিছুই ঘটে যাওয়ার মতো শঙ্কা রয়েছে। তবে বর্তমানে তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। মোটামুটি খাওয়া-দাওয়া করতে পারছেন।
তারা আরও বলছেন, সরকারের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শীঘ্রই বিদেশ নেয়া সম্ভব হবে না। সংসদে সর্বশেষ আইনমন্ত্রী বলেছেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে খালেদা জিয়াকে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে। যা কোনদিনই সম্ভব বলে মনে হয় না। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে রাজি হবেন বলে মনে হয় না। তার পরিবারও এ রকম প্রক্রিয়ায় তাকে বিদেশ নেয়ার জন্য রাজি নন।
শনিবার, ০৩ জুলাই ২০২১ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৮ ২১ জিলক্বদ ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনেণ থাকলেও হার্ট, কিডনি ও লিভারের সমস্যা আগের মতই বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। এখন তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। টানা ৫৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ১৯ জুন রাতে বাসভবন ফিরোজায় আনা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
গতকাল খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজা একটা মিনি হাসপাতালের মতোই। সেখানে অক্সিজেন সাপোর্টসহ মোটামুটি প্রাথমিকভাবে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কারণ প্রায় প্রতিদিনই তার কোন না কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হচ্ছে। যাতে তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা কি তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের অবস্থা আগের মতোই আছে। অর্থাৎ তিনি হাসপাতাল থেকে যেমন এসেছেন, তেমনই আছেন। কোন পরিবর্তন নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, আমরা প্রতিদিনই ম্যাডামকে দেখতে তার বাসায় যাই। তাকে বাসায় রেখে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো যায়, তার সবগুলোই করানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ম্যাডামকে হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়নি। সেরকম কিছু হলে আপনারা জানতে পারবেন।
তার চিকিৎসকরা বলেছেন, আগের তুলনায় তার অবস্থার উন্নতি বা অবনতি কোনটাই হয়নি। বর্তমানে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হার্ট, কিডনি ও লিভারের সমস্যা আগের মতোই আছে।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, চিকিৎসকদের নিষেধ থাকার কারণে আমরা কেউ তাকে (খালেদা জিয়াকে) দেখতে যাইনি। যতটুকু জানি, বাসায় তার চিকিৎসা চলছে। ডাক্তাররা নিয়মিত তাকে দেখতে যান।
তিনি বলেন, আমরা বারবার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে সরকারকে অনুমতি দিতে অনুরোধ করেছি কিন্তু সরকার তা দেয়নি।
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে খালেদা জিয়া ক্ষমা চাইবেন কিনা জানতে চাইলে সেলিমা ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে তার সঙ্গে কোন আলোচনা হয়নি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের একটি সূত্র জানান, চিকিৎসকদের বাইরে খালেদা জিয়াকে দেখতে তার বাসভবন ফিরোজায় মাঝেমধ্যে যান ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী।
বিএনপির নেতারা বলছেন, সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তার পুরাতন রোগ ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস আছে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর এখন তার হার্ট, কিডনি ও লিভারের অবস্থা ভালো নয়। যে কোন সময় যে কোন কিছুই ঘটে যাওয়ার মতো শঙ্কা রয়েছে। তবে বর্তমানে তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। মোটামুটি খাওয়া-দাওয়া করতে পারছেন।
তারা আরও বলছেন, সরকারের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শীঘ্রই বিদেশ নেয়া সম্ভব হবে না। সংসদে সর্বশেষ আইনমন্ত্রী বলেছেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে খালেদা জিয়াকে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে। যা কোনদিনই সম্ভব বলে মনে হয় না। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে রাজি হবেন বলে মনে হয় না। তার পরিবারও এ রকম প্রক্রিয়ায় তাকে বিদেশ নেয়ার জন্য রাজি নন।