চট্টগ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সড়কের ভেতর ১১ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইনের বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করায় ঝুঁকিতে রয়েছে সড়কে চলাচলরত ২৫০ পরিবারের প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। যার ফলে ওই সড়কে প্রতিনিয়ত চলাচলকারী এসব আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে স্থানীয় বাসিন্দারা এ প্রতিবেদকের কাছে তাদের এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে জেলার আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জিএম ও ডিজিএম আনোয়ারা বরাবরে গত ৩০ জুন স্থানীয়রা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে পাশের মো. রেহান উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে অবৈধ টাকার বিনিময়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা এ কাজটি করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের পীরখাইন গ্রামের পূর্বপাড়ায় প্রায় তিন যুগ আগে স্থাপনকৃত ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচে প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করেই সরকারি রাস্তা দখল করেই ঘর নির্মাণ করেন জনৈক রেহান উদ্দিন। নির্মাণকালে স্থানীয়রা বাধা দিলেও কিছুই হয়নি। বর্তমানে ঘরটি দোতলা করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্থানীয় কর্মকর্তাদের অবৈধ সুযোগ দিয়ে সড়কের ওপরই বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। এতে আশপাশের ২৫০ পরিবারের প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান ফোনে বলেন, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরকারিভাবে রাস্তা পরিমাপ করে খুঁটি স্থাপন করলে কোন সমস্যা নেই। এখানে বিশেষ একজন ব্যক্তির স্বার্থে কাজটি করা হচ্ছে। ওই খুঁটির কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জানতে চাইলে আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানাজার মুনিরুল হক জানান, এ বিষয়ে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, রাস্তা পরিমাপ করার একটি আবেদন পেয়েছি। জনগণকে ঝুঁকিতে রেখে কোন ধরনের বৈদ্যুতিক কাজ করতে দেয়া হবে না। বিষয়টি যথাযথ তদন্ত করে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার, ০৩ জুলাই ২০২১ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৮ ২১ জিলক্বদ ১৪৪২
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সড়কের ভেতর ১১ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইনের বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করায় ঝুঁকিতে রয়েছে সড়কে চলাচলরত ২৫০ পরিবারের প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। যার ফলে ওই সড়কে প্রতিনিয়ত চলাচলকারী এসব আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে স্থানীয় বাসিন্দারা এ প্রতিবেদকের কাছে তাদের এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে জেলার আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জিএম ও ডিজিএম আনোয়ারা বরাবরে গত ৩০ জুন স্থানীয়রা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে পাশের মো. রেহান উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে অবৈধ টাকার বিনিময়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা এ কাজটি করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের পীরখাইন গ্রামের পূর্বপাড়ায় প্রায় তিন যুগ আগে স্থাপনকৃত ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচে প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করেই সরকারি রাস্তা দখল করেই ঘর নির্মাণ করেন জনৈক রেহান উদ্দিন। নির্মাণকালে স্থানীয়রা বাধা দিলেও কিছুই হয়নি। বর্তমানে ঘরটি দোতলা করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্থানীয় কর্মকর্তাদের অবৈধ সুযোগ দিয়ে সড়কের ওপরই বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। এতে আশপাশের ২৫০ পরিবারের প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান ফোনে বলেন, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরকারিভাবে রাস্তা পরিমাপ করে খুঁটি স্থাপন করলে কোন সমস্যা নেই। এখানে বিশেষ একজন ব্যক্তির স্বার্থে কাজটি করা হচ্ছে। ওই খুঁটির কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জানতে চাইলে আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানাজার মুনিরুল হক জানান, এ বিষয়ে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, রাস্তা পরিমাপ করার একটি আবেদন পেয়েছি। জনগণকে ঝুঁকিতে রেখে কোন ধরনের বৈদ্যুতিক কাজ করতে দেয়া হবে না। বিষয়টি যথাযথ তদন্ত করে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।