রংপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের বিপুল বিজয়

রংপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা ও সরকারি পদে থাকা বেশ কয়েকজন আওয়ামী আইনজীবীর বিরুদ্ধে বিএনপি ও জামায়াত জোট সমর্থিত আইনজীবী প্যানেলকে ভোট দেবার জন্য প্রকাশ্যই ভোট প্রার্থনা, টাকা বিতরণ ও প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫টি পদে জয় লাভ করেছে। দুটি সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছে বিএনপি জামায়াত সমর্থিত প্যানেল। এ ঘটনায় আদালত পাড়ায় এবং আইনজীবীদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

৩০ জুন মধ্যরাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রউফ অ্যাডভোকেট। রংপুর আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্ময় পরিষদ সমর্থিত সভাপতি পদে পরপর দু’বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল মালেক অ্যাডভোকেট, এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বিশিষ্ট আইনজিবী আবদুল হক প্রামানিক অ্যাডভোকেট নির্বাচিত হয়। এছাড়াও সহ-সভাপতি পদে মো. জহিরুল ইসলাম অ্যাডভোকেট, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জিয়াউল হাসান জিয়া অ্যাডভোকেট, কোষাধাক্ষ্য পদে আকতার হোসেন জুয়েল অ্যাডভোকেট, বার ভবন সম্পাদক পদে মোস্তফা জামান দোলন অ্যাডভোকেট, লাইব্রেরিবিষয়ক সম্পাদক পদে রুহুল আমিন তালুকদার অ্যাডভোকেট, ধর্ম ও সমাজ কল্যান সম্পাদক পদে আবু সুফিয়ান হিরু অ্যাডভোকেট, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে প্রশান্ত কুমার রায় অ্যাডভোকেট। কার্যকরী সদস্য পদে আহসানুল হাবিব মিলন অ্যাডভোকেট, মীর আশরাফুল ইসলাম লানজু অ্যাডভোকেট, গোলাম মাওলা চৌধুরী অ্যাডভোকেট, রাশেদুল ইসলাম রাসেল অ্যাডভোকেট, মাহমুদুল ইসলাম রানা অ্যাডভোকেট এবং ফজলুল হক ফাহিম অ্যাডভোকেট।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা ১৭টি পদের মধ্যে ১৫টিতে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াত জোট সমর্থিত প্যানেল থেকে সদস্য পদে মাহমুদুল ইসলাম সেলিম অ্যাডভোকেট ও ফাতেমা আখতার কনা অ্যাডভোকেট জয়ী হয়েছেন।

এদিকে আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের একাধিক সদস্য নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এ প্রতিনিধিকে জানান নির্বাচনে পুরো প্যানেল দিতে না পারায় কয়েকজন আওয়ামী আইনজীবী যারা সরকারি পদে আছেন এমনকি দলীয় পদে আছেন এমন বেশ কয়েকজন আইনজীবী আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী প্যানেলকে পরাজিত করতে হেন কাজ করেননি।

বিএনপি জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী প্যানেলকে জয়ী করার জন্য প্রকাশ্য ভোট প্রার্থনা অর্থ বিতরণ করেছে। তাদের এত বিরোধীতা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী প্যানেলের বিজয় যাত্রা ঠেকাতে পারেনি তারা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের বিরোধিতাকারী বিএনপি জামায়াত প্যানেলের পক্ষ নেয়াদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়া নব নির্বাচিত সভাপতি আওয়ামী আইনজীবীদের নেতা আবদুল মালেক অ্যাডভোকেট জানান আওয়মী লীগের প্যানেলকে যে কোন মূল্যে পরাজিত করার জন্য কয়েকজন আইনজীবী যারা বিভিন্ন সরকারি পদে আছেন এমনকি দলীয় পদে আছেন তারা ভোটের আগ থেকে বিএনপি ও জামায়াত জোটের সঙ্গে প্রকাশ্যই আঁতাত করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলকে ভোট না দেয়ার জন্য একাধিক বৈঠক করেছে ভোটারদের ভোট আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলকে না দিয়ে বিএনপি জামায়াত জোটের প্যানেলকে ভোট দেয়ার প্রকাশ্যই ক্যাম্পেইন করেছে।

শুধু তাই নয় ভোটের দিন ৩০ জুন তারা প্রকাশ্যই অর্থ বিতরণ আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলকে ভোট না দেয়ার জন্য তৎপরতা চালিয়েছে। যা শত শত আইনজীবী সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা প্রত্যক্ষ করেছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও আওয়ামী লীগের বিজয় ঠেকাতে পারেনি। তিনি বলেন তাদের এই গোপন আঁতাত না করলে ভোটে বিএনপি জামায়াত প্যানেলের চরম ভরাডুবি হতো। আমরা আরও বেশি ভোটে জয়ী হতে পারতাম। তিনি পুরো ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার, ০৩ জুলাই ২০২১ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৮ ২১ জিলক্বদ ১৪৪২

দলীয় নোংরামির মধ্যে

রংপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের বিপুল বিজয়

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা ও সরকারি পদে থাকা বেশ কয়েকজন আওয়ামী আইনজীবীর বিরুদ্ধে বিএনপি ও জামায়াত জোট সমর্থিত আইনজীবী প্যানেলকে ভোট দেবার জন্য প্রকাশ্যই ভোট প্রার্থনা, টাকা বিতরণ ও প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫টি পদে জয় লাভ করেছে। দুটি সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছে বিএনপি জামায়াত সমর্থিত প্যানেল। এ ঘটনায় আদালত পাড়ায় এবং আইনজীবীদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

৩০ জুন মধ্যরাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রউফ অ্যাডভোকেট। রংপুর আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্ময় পরিষদ সমর্থিত সভাপতি পদে পরপর দু’বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল মালেক অ্যাডভোকেট, এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বিশিষ্ট আইনজিবী আবদুল হক প্রামানিক অ্যাডভোকেট নির্বাচিত হয়। এছাড়াও সহ-সভাপতি পদে মো. জহিরুল ইসলাম অ্যাডভোকেট, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জিয়াউল হাসান জিয়া অ্যাডভোকেট, কোষাধাক্ষ্য পদে আকতার হোসেন জুয়েল অ্যাডভোকেট, বার ভবন সম্পাদক পদে মোস্তফা জামান দোলন অ্যাডভোকেট, লাইব্রেরিবিষয়ক সম্পাদক পদে রুহুল আমিন তালুকদার অ্যাডভোকেট, ধর্ম ও সমাজ কল্যান সম্পাদক পদে আবু সুফিয়ান হিরু অ্যাডভোকেট, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে প্রশান্ত কুমার রায় অ্যাডভোকেট। কার্যকরী সদস্য পদে আহসানুল হাবিব মিলন অ্যাডভোকেট, মীর আশরাফুল ইসলাম লানজু অ্যাডভোকেট, গোলাম মাওলা চৌধুরী অ্যাডভোকেট, রাশেদুল ইসলাম রাসেল অ্যাডভোকেট, মাহমুদুল ইসলাম রানা অ্যাডভোকেট এবং ফজলুল হক ফাহিম অ্যাডভোকেট।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা ১৭টি পদের মধ্যে ১৫টিতে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াত জোট সমর্থিত প্যানেল থেকে সদস্য পদে মাহমুদুল ইসলাম সেলিম অ্যাডভোকেট ও ফাতেমা আখতার কনা অ্যাডভোকেট জয়ী হয়েছেন।

এদিকে আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের একাধিক সদস্য নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এ প্রতিনিধিকে জানান নির্বাচনে পুরো প্যানেল দিতে না পারায় কয়েকজন আওয়ামী আইনজীবী যারা সরকারি পদে আছেন এমনকি দলীয় পদে আছেন এমন বেশ কয়েকজন আইনজীবী আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী প্যানেলকে পরাজিত করতে হেন কাজ করেননি।

বিএনপি জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী প্যানেলকে জয়ী করার জন্য প্রকাশ্য ভোট প্রার্থনা অর্থ বিতরণ করেছে। তাদের এত বিরোধীতা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী প্যানেলের বিজয় যাত্রা ঠেকাতে পারেনি তারা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের বিরোধিতাকারী বিএনপি জামায়াত প্যানেলের পক্ষ নেয়াদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়া নব নির্বাচিত সভাপতি আওয়ামী আইনজীবীদের নেতা আবদুল মালেক অ্যাডভোকেট জানান আওয়মী লীগের প্যানেলকে যে কোন মূল্যে পরাজিত করার জন্য কয়েকজন আইনজীবী যারা বিভিন্ন সরকারি পদে আছেন এমনকি দলীয় পদে আছেন তারা ভোটের আগ থেকে বিএনপি ও জামায়াত জোটের সঙ্গে প্রকাশ্যই আঁতাত করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলকে ভোট না দেয়ার জন্য একাধিক বৈঠক করেছে ভোটারদের ভোট আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলকে না দিয়ে বিএনপি জামায়াত জোটের প্যানেলকে ভোট দেয়ার প্রকাশ্যই ক্যাম্পেইন করেছে।

শুধু তাই নয় ভোটের দিন ৩০ জুন তারা প্রকাশ্যই অর্থ বিতরণ আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলকে ভোট না দেয়ার জন্য তৎপরতা চালিয়েছে। যা শত শত আইনজীবী সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা প্রত্যক্ষ করেছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও আওয়ামী লীগের বিজয় ঠেকাতে পারেনি। তিনি বলেন তাদের এই গোপন আঁতাত না করলে ভোটে বিএনপি জামায়াত প্যানেলের চরম ভরাডুবি হতো। আমরা আরও বেশি ভোটে জয়ী হতে পারতাম। তিনি পুরো ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন।