লকডাউন ও জীবিকা

বৃহস্পতিবার থেকে ‘শাটডাউনের’ কঠোরতা জাড়ি করেছে সরকার। বর্তমান বহুল প্রচলিত শব্দ ‘শাটডাউন’ বলতে যা বোঝানো হয়েছে- সবকিছু বন্ধ থাকবে, শুধু জরুরি সেবা ছাড়া।

তবে লকডাউনের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর দিলে দেখা যায় এখানে জীবীকার তাগিদের কাছে মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের উদ্বেগ বেশি। চাকরি হারাবার ভয়, বাড়ি ভাড়া, ছেলেমেয়েদের টিউশন ফি এবং সকল খরচ মিটাতে অহরহই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে তারা। কঠোর লকডাউনে তাদের বাড়িতে অবস্থানের কারণে আয় রোজগার বন্ধ থাকবে। তাদের জন্য জন্য লকডাউন যথাযথই একটি অভিশাপের নাম। সংক্রামণ থেকেও জীবন বাঁচাতে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে তারা, বাইরে বের হয় খাবারের অন্বেষণে। তাই তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ ও সহায়তার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে।

আমরা প্রত্যেকে যদি সচেতনত হই ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করি তাহলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব। তাহলে আমরা পূর্বের মতো সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পারবো বলে আশা রাখি।

আনিকা তাহিসন অর্না

শিক্ষার্থী-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

শনিবার, ০৩ জুলাই ২০২১ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৮ ২১ জিলক্বদ ১৪৪২

লকডাউন ও জীবিকা

বৃহস্পতিবার থেকে ‘শাটডাউনের’ কঠোরতা জাড়ি করেছে সরকার। বর্তমান বহুল প্রচলিত শব্দ ‘শাটডাউন’ বলতে যা বোঝানো হয়েছে- সবকিছু বন্ধ থাকবে, শুধু জরুরি সেবা ছাড়া।

তবে লকডাউনের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর দিলে দেখা যায় এখানে জীবীকার তাগিদের কাছে মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের উদ্বেগ বেশি। চাকরি হারাবার ভয়, বাড়ি ভাড়া, ছেলেমেয়েদের টিউশন ফি এবং সকল খরচ মিটাতে অহরহই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে তারা। কঠোর লকডাউনে তাদের বাড়িতে অবস্থানের কারণে আয় রোজগার বন্ধ থাকবে। তাদের জন্য জন্য লকডাউন যথাযথই একটি অভিশাপের নাম। সংক্রামণ থেকেও জীবন বাঁচাতে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে তারা, বাইরে বের হয় খাবারের অন্বেষণে। তাই তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ ও সহায়তার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে।

আমরা প্রত্যেকে যদি সচেতনত হই ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করি তাহলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব। তাহলে আমরা পূর্বের মতো সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পারবো বলে আশা রাখি।

আনিকা তাহিসন অর্না

শিক্ষার্থী-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়