চট্টগ্রামের খুলশীতে শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার

চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায় বখাটেদের ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক শিশু শিক্ষার্থী। মা গার্মেন্টে সকালে চাকরিতে গেলে ফিরতে রাত হয়। তাই খুলশী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ তুলাতলী এলাকায় বাসায় একা থাকতে হয় পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রীকে। এই সুযোগে তার ওপর নজর পড়ে এলাকার তিন যুবকের। তারা ওই স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে বাসার বাইরে একটি পাগাড়ের নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে।

বৃহস্পতিবার রাতে খুলশী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ তুলাতলী এলাকায় এমন অমানবিক ঘটনা ঘটে। পরে আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন করলে খুলশী থানা পুলিশ গিয়ে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানান, ওই পাহাড়ি নির্জন স্থানে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিক্ষার্থী। জানা গেছে, ওই নির্জন স্থানটি এক বিএনপি নেত্রীর দখলে রয়েছে। ওই নেত্রী সেখানে চাষাবাদ থেকে শুরু করে আস্তানা গড়ে তুলছে। নেত্রীর লোকজনরা সেখানে বিভিন্ন প্রকারের মাদক সেবন করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কয়েকমাস আগে ওই বিএনপি নেত্রী এক নারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে বেশ কয়েকদিন পলাতক থেকে আবার মাঠে নেমেছে বলেও স্থানীয়রা জানান। এছাড়া ওই নেত্রীর বাসায় কয়েকমাস আগে পুলিশ অভিযানও চালিয়েছিল। এলাকাবাসী জানায়, যে পাহাড়ের নির্জনস্থানে শিশুটিকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে, তার পাশেই বিএনপি নেত্রীর আস্তানা। বথাটেরা এত স্থান ফেলে রেখে কেন সে বিএনপি নেত্রীর চাষাবাদের স্থানের পাশে শিশুটিকে এনেছিল সেটা তদন্ত করা দরকার বলে তারা মনে করেন। ধর্ষকদের সঙ্গে এই বিএনপি নেত্রীর কোন যোগসাজশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। এদিকে ওই ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের মা তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযুক্ত আলাউদ্দিন, শাকিল ও শফি নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর পোশাক কর্মী মা বলেন, তুলাতলী কলোনিতে এসেছি গত মাসের ২৫ তারিখ। আমি সারাদিন গার্মেন্টে চাকরি করি। মেয়ে বাসায় থাকতো। রাত ১০টায় গার্মেন্ট থেকে ডিউটি শেষ করে বাসায় ফিরে জানতে পারি মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি আসার আগেই পুলিশ আমার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। বর্তমানে মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মেয়ের শারীরিক অবস্থা ভালো না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ঘটনার সঙ্গে জড়িতের শাস্তি চাই।

ঘটনার বিষয়ে বায়েজিদ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. শাহ আলম বলেন, ভিকটিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ প্রসঙ্গে খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব আহমেদ বলেন, গতকাল রাতে মায়ের অবর্তমানে এক স্কুলছাত্রীকে বাসা থেকে বের করে জোরপূর্বক ধষর্ণের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। এ ঘটনায় তার পোশাককর্মী মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

রবিবার, ০৪ জুলাই ২০২১ , ২০ আষাঢ় ১৪২৮ ২২ জিলক্বদ ১৪৪২

চট্টগ্রামের খুলশীতে শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায় বখাটেদের ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক শিশু শিক্ষার্থী। মা গার্মেন্টে সকালে চাকরিতে গেলে ফিরতে রাত হয়। তাই খুলশী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ তুলাতলী এলাকায় বাসায় একা থাকতে হয় পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রীকে। এই সুযোগে তার ওপর নজর পড়ে এলাকার তিন যুবকের। তারা ওই স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে বাসার বাইরে একটি পাগাড়ের নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে।

বৃহস্পতিবার রাতে খুলশী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ তুলাতলী এলাকায় এমন অমানবিক ঘটনা ঘটে। পরে আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন করলে খুলশী থানা পুলিশ গিয়ে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানান, ওই পাহাড়ি নির্জন স্থানে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিক্ষার্থী। জানা গেছে, ওই নির্জন স্থানটি এক বিএনপি নেত্রীর দখলে রয়েছে। ওই নেত্রী সেখানে চাষাবাদ থেকে শুরু করে আস্তানা গড়ে তুলছে। নেত্রীর লোকজনরা সেখানে বিভিন্ন প্রকারের মাদক সেবন করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কয়েকমাস আগে ওই বিএনপি নেত্রী এক নারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে বেশ কয়েকদিন পলাতক থেকে আবার মাঠে নেমেছে বলেও স্থানীয়রা জানান। এছাড়া ওই নেত্রীর বাসায় কয়েকমাস আগে পুলিশ অভিযানও চালিয়েছিল। এলাকাবাসী জানায়, যে পাহাড়ের নির্জনস্থানে শিশুটিকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে, তার পাশেই বিএনপি নেত্রীর আস্তানা। বথাটেরা এত স্থান ফেলে রেখে কেন সে বিএনপি নেত্রীর চাষাবাদের স্থানের পাশে শিশুটিকে এনেছিল সেটা তদন্ত করা দরকার বলে তারা মনে করেন। ধর্ষকদের সঙ্গে এই বিএনপি নেত্রীর কোন যোগসাজশ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। এদিকে ওই ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের মা তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযুক্ত আলাউদ্দিন, শাকিল ও শফি নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর পোশাক কর্মী মা বলেন, তুলাতলী কলোনিতে এসেছি গত মাসের ২৫ তারিখ। আমি সারাদিন গার্মেন্টে চাকরি করি। মেয়ে বাসায় থাকতো। রাত ১০টায় গার্মেন্ট থেকে ডিউটি শেষ করে বাসায় ফিরে জানতে পারি মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি আসার আগেই পুলিশ আমার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। বর্তমানে মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মেয়ের শারীরিক অবস্থা ভালো না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ঘটনার সঙ্গে জড়িতের শাস্তি চাই।

ঘটনার বিষয়ে বায়েজিদ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. শাহ আলম বলেন, ভিকটিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ প্রসঙ্গে খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব আহমেদ বলেন, গতকাল রাতে মায়ের অবর্তমানে এক স্কুলছাত্রীকে বাসা থেকে বের করে জোরপূর্বক ধষর্ণের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। এ ঘটনায় তার পোশাককর্মী মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।