কালো ছত্রাক

করোনা মহামারির মাঝে জনমনে নতুন করে যে ভয় এবং আতঙ্ক হানা দিয়েছে সেটা হলো ব্লাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক। তবে কালো ছত্রাক কোনো সংক্রামক রোগ নয়। সাধারণত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এই ছত্রাক তাদেরই আক্রমণ করে।

ব্লাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক পরিবেশের প্রায় সর্বত্রই অবস্থান করে। তবে এর সংক্রমণের সক্ষমতা খুবই কম। এক লাখ মানুষের মধ্যে সর্বোচ্চ একজন অথবা দুজন এই ছত্রাকের জীবাণু দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে। এছাড়া অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী, অন্তঃসত্ত্বা নারী, অন্তঅঙ্গ প্রতিস্থাপন করা ব্যক্তিরাও এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। অতিরিক্ত ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও অত্যধিক স্টেরয়েড গ্রহণ করা ব্যক্তিরাও এর সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছে।

দেশে এই ছত্রাকের সংক্রমণের খবরে আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে। সঠিক চিকিৎসা যথাসময় করতে পারলে এই রোগের থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। তাই এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই অতিসত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যেসব পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা হয় দ্রুত সেই সব পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কারণ এর আক্রান্তে মৃত্যুহার বেশি।

সংক্রমণ এড়াতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। আক্রান্ত হয়ে গেলেও দ্রুত এর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। করোনা আক্রান্ত রোগীরা বর্তমানে এই সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। তাই করোনা রোগীদের অপ্রয়োজনে স্টেরয়েড এবং এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সচেতনতার মাধ্যমেই এই সমস্যায় সমাধান করা সম্ভব। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সকলের এই বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।

মোহাম্মদ ইয়াছিন ইসলাম

শিক্ষার্থী-সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

আরও খবর

রবিবার, ০৪ জুলাই ২০২১ , ২০ আষাঢ় ১৪২৮ ২২ জিলক্বদ ১৪৪২

কালো ছত্রাক

করোনা মহামারির মাঝে জনমনে নতুন করে যে ভয় এবং আতঙ্ক হানা দিয়েছে সেটা হলো ব্লাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক। তবে কালো ছত্রাক কোনো সংক্রামক রোগ নয়। সাধারণত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এই ছত্রাক তাদেরই আক্রমণ করে।

ব্লাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক পরিবেশের প্রায় সর্বত্রই অবস্থান করে। তবে এর সংক্রমণের সক্ষমতা খুবই কম। এক লাখ মানুষের মধ্যে সর্বোচ্চ একজন অথবা দুজন এই ছত্রাকের জীবাণু দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে। এছাড়া অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী, অন্তঃসত্ত্বা নারী, অন্তঅঙ্গ প্রতিস্থাপন করা ব্যক্তিরাও এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। অতিরিক্ত ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও অত্যধিক স্টেরয়েড গ্রহণ করা ব্যক্তিরাও এর সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছে।

দেশে এই ছত্রাকের সংক্রমণের খবরে আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে। সঠিক চিকিৎসা যথাসময় করতে পারলে এই রোগের থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। তাই এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই অতিসত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যেসব পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা হয় দ্রুত সেই সব পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কারণ এর আক্রান্তে মৃত্যুহার বেশি।

সংক্রমণ এড়াতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। আক্রান্ত হয়ে গেলেও দ্রুত এর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। করোনা আক্রান্ত রোগীরা বর্তমানে এই সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে। তাই করোনা রোগীদের অপ্রয়োজনে স্টেরয়েড এবং এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সচেতনতার মাধ্যমেই এই সমস্যায় সমাধান করা সম্ভব। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সকলের এই বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।

মোহাম্মদ ইয়াছিন ইসলাম

শিক্ষার্থী-সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়