গাজীপুরে আরটিপিসিআর ল্যাব ৭ দিন ধরে অচল!

গাজীপুরের ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট একমাত্র কোভিড ডেডিকেটেড শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার একটি মাত্র আরটিপিসিআর ল্যাবটি গত ৭ দিন যাবত নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে ২৮ জুন থেকে ৭ দিন ধরে হাসপাতালটিতে কোন করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে সংগৃতীত করোনা নমুনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বাধ্য হয়ে জেলার করোনা নমুনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করানো হচ্ছে ঢাকার ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ, গাজীপুরের জিরানীতে অবস্থিত শেখ ফজিলাতুন নেছা বিশেষায়িত হাসপাতাল ও সাভারের ইনস্টিটিউট অব বায়োকেমিক ল্যাব-এ। হঠাৎ করে জেলা একমাত্র করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার করোনা নমুন শনাক্তকরণ করতে ইচ্ছুক রোগীরা। ফলে রোগীদের মধ্যে হতাশা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিদিন কয়েকশ রোগী করোনা শনাক্ত পরীক্ষা করাতে এসে নমুনা দিতে না পেরে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। এতে জেলায় করোনা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান একমাত্র আরটিপিসিআর ল্যাবের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টস হচ্ছে পিসিআর মেশিন, বাইওসেফটি কোবিনেট ও সেন্টিফিউজ মেশিন। এরমধ্যে বাইওসেফটি কেনিবেট টি বিকল হয়ে গেছে। এতে যারা শনাক্ত পরীক্ষা করেন তাদের করোনা সংক্রমিত হবারসমূহ আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি পত্র মারফত মেসিনটি বিকল হবার দিনেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। এরমধ্যে ২টি পার্টস বিদেশ থেকে আসার পথে থাকলেও বাইওসেফটি কেবিনেটটি আসেনি। তবে মেশিনটি সচল করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও জানান কলেজে আরও একটি আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য একটি কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। 

অর্থ বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন তাই অচিরেই দ্বিতীয় ল্যাব করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের পরিচলাক ডা. মো. হাফিজ উদ্দিন জানান হাসপাতাল সংলগ্ন কলেজে আরটিপিসিআর ল্যাবটি অবস্থিত। মেশিনটি দ্রুত সারানোর জন্য কলেজ অধ্যক্ষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পত্র দিয়েছেন। ল্যাবটি সচল করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।

সোমবার, ০৫ জুলাই ২০২১ , ২১ আষাঢ় ১৪২৮ ২৩ জিলক্বদ ১৪৪২

গাজীপুরে আরটিপিসিআর ল্যাব ৭ দিন ধরে অচল!

প্রতিনিধি, গাজীপুর

গাজীপুরের ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট একমাত্র কোভিড ডেডিকেটেড শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার একটি মাত্র আরটিপিসিআর ল্যাবটি গত ৭ দিন যাবত নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে ২৮ জুন থেকে ৭ দিন ধরে হাসপাতালটিতে কোন করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে সংগৃতীত করোনা নমুনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বাধ্য হয়ে জেলার করোনা নমুনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করানো হচ্ছে ঢাকার ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ, গাজীপুরের জিরানীতে অবস্থিত শেখ ফজিলাতুন নেছা বিশেষায়িত হাসপাতাল ও সাভারের ইনস্টিটিউট অব বায়োকেমিক ল্যাব-এ। হঠাৎ করে জেলা একমাত্র করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার করোনা নমুন শনাক্তকরণ করতে ইচ্ছুক রোগীরা। ফলে রোগীদের মধ্যে হতাশা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিদিন কয়েকশ রোগী করোনা শনাক্ত পরীক্ষা করাতে এসে নমুনা দিতে না পেরে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। এতে জেলায় করোনা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান একমাত্র আরটিপিসিআর ল্যাবের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টস হচ্ছে পিসিআর মেশিন, বাইওসেফটি কোবিনেট ও সেন্টিফিউজ মেশিন। এরমধ্যে বাইওসেফটি কেনিবেট টি বিকল হয়ে গেছে। এতে যারা শনাক্ত পরীক্ষা করেন তাদের করোনা সংক্রমিত হবারসমূহ আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি পত্র মারফত মেসিনটি বিকল হবার দিনেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। এরমধ্যে ২টি পার্টস বিদেশ থেকে আসার পথে থাকলেও বাইওসেফটি কেবিনেটটি আসেনি। তবে মেশিনটি সচল করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও জানান কলেজে আরও একটি আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য একটি কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। 

অর্থ বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন তাই অচিরেই দ্বিতীয় ল্যাব করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের পরিচলাক ডা. মো. হাফিজ উদ্দিন জানান হাসপাতাল সংলগ্ন কলেজে আরটিপিসিআর ল্যাবটি অবস্থিত। মেশিনটি দ্রুত সারানোর জন্য কলেজ অধ্যক্ষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পত্র দিয়েছেন। ল্যাবটি সচল করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।