বিপজ্জনক সংক্রমণ হার, সর্বোচ্চ মৃত্যু

বিপদজ্জনক পর্যায়ে দেশে করোনা সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু ও সংক্রমণের হার। একদিনে রেকর্ড ১৫৩ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণে প্রাণহানি ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্তের হারও পৌঁছাল ২৯ শতাংশে। খুলনা বিভাগে মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত রয়েছে, গত একদিনে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে এই বিভাগে।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ব্রাজিল, মেক্সিকো ও ভারতের দু’একটি রাজ্য ছাড়া বিশে^র কোথাও নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশের ওপরে উঠেনি। কিন্তু দেশে সংক্রমণের হার আরও বাড়তে পারে।

গতকাল সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ গত একদিনে দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আট হাজার ৬৬১ জনের।

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জনে। আর গত একদিনের মৃত্যু হওয়া লোকজনসহ দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৬৫ জনে। এর আগে ১ জুলাই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ২ জুলাই ১৩২ জন ও ৩ জুলাই ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত আটদিনেই দৈনিক একশ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই আটদিনেই এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

একদিনে শনাক্তের অর্ধেকই

ঢাকা বিভাগে

গত একদিনে ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় ১৬ হাজার ১৬৪টি নমুনা

পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় চার হাজার ২০৭ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যা একদিনে শনাক্ত হওয়া মোট রোগীদের প্রায় অর্ধেক। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ২৬ দশমিক ০২ শতাংশ।

একদিনে ঢাকা মহানগরসহ জেলায় ১২ হাজার ৯৭৪টি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ৯৪৩ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। ঢাকায় পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ২২ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৩৯৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ৩৫৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ হিসেবে শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার মধ্যে তিনটি জেলায় গত একদিনে কোন নমুনা পরীক্ষা হয়নি। জেলা তিনটি হলো- ব্রাক্ষণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি। বাকি আট জেলায় একদিনে দুই হাজার ২৭৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৭৩ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম বিভাগে সংক্রমণের হার ২৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৭৯৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ৯৯২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ২৬ দশমিক ১১ শতাংশ।

রংপুর বিভাগের আট জেলায় একদিনে এক হাজার ২৯৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৫৬ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই বিভাগে পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার ৪৩ শতাংশ।

খুলনা বিভাগের দশ জেলায় গত একদিনে তিন হাজার ৬০২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় এক হাজার ৩০৪ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়। খুলনায় সংক্রমণের হার ৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় একদিনে ৭২৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৪৩ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা অনুপাতে বরিশালে সংক্রমণের হার ৪৭ দশমিক ১১ শতাংশ।

সিলেট বিভাগের চার জেলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬১৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ২২৮ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়। পরীক্ষা বিবেচনায় সিলেটে সংক্রমণের হার ৩৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

একদিনে শনাক্তের হার ২৯ শতাংশ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৮৭৯টি। এ পর্যন্ত মোট ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।

গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৬৯৮ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন আট লাখ ৩৩ হাজার ৮৯৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মোট সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং শনাক্ত অনুপাতে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ৯৬ জন এবং নারী ৫৭ জন। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া মোট লোকজনের মধ্যে পুরুষ দশ হাজার ৬৭৬ জন এবং নারী চার হাজার ৩৮৯ জন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে ৭০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৪৫ জনের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং তিনজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

গত একদিনে সরকারি হাসপাতালে ১১৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২২ জন ও বাসায় মারা গেছেন ৯ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয় তিনজনকে।

আটদিনেই হাজারের বেশি মৃত্যু

গত ২৬ জুন দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ হাজারের ঘর অতিক্রম করে। এরপর গত আটদিনেই মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ হাজারের মাইলফলক ছাড়িয়ে যায়।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথম মৃত্যুর প্রায় আড়াই মাস পর গত বছরের ১০ জুন এক হাজার ছাড়ায় মৃত্যুর সংখ্যা।

এরপর ৫ জুলাই দুই হাজার, ২৮ জুলাই তিন হাজার, ২৫ আগস্ট চার হাজার, ২২ সেপ্টেম্বর পাঁচ হাজার ছাড়ায় প্রাণহানির সংখ্যা।

এরপর সংক্রমণ কমতে থাকে। মৃত্যুও কমে আসে। গত বছরের ৪ নভেম্বর মৃত্যু ছয় হাজার, ১২ ডিসেম্বর সাত হাজার, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি আট হাজার এবং ৩১ মার্চ ৯ হাজার ছাড়ায় করোনায় মৃত্যু।

পরবর্তীতে গত ১৫ এপ্রিল মৃত্যু দশ হাজার, ২৫ এপ্রিল ১১ হাজার, ১১ মে ১২ হাজার ও গত ১১ জুন ১৩ হাজার ছাড়িয়ে যায় করোনা মহামারিতে মৃত্যুর সংখ্যা।

খুলনা বিভাগে রেকর্ড মৃত্যু

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ঢাকা বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের।

এছাড়া চট্টগ্রামে ১৫ জন, রাজশাহীতে ১২ জন, বরিশালে ৩ জন, সিলেটে ২ জন, রংপুরে ১৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জন মারা গেছেন।

সোমবার, ০৫ জুলাই ২০২১ , ২১ আষাঢ় ১৪২৮ ২৩ জিলক্বদ ১৪৪২

বিপজ্জনক সংক্রমণ হার, সর্বোচ্চ মৃত্যু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিপদজ্জনক পর্যায়ে দেশে করোনা সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু ও সংক্রমণের হার। একদিনে রেকর্ড ১৫৩ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণে প্রাণহানি ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শনাক্তের হারও পৌঁছাল ২৯ শতাংশে। খুলনা বিভাগে মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত রয়েছে, গত একদিনে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে এই বিভাগে।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ব্রাজিল, মেক্সিকো ও ভারতের দু’একটি রাজ্য ছাড়া বিশে^র কোথাও নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশের ওপরে উঠেনি। কিন্তু দেশে সংক্রমণের হার আরও বাড়তে পারে।

গতকাল সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ গত একদিনে দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আট হাজার ৬৬১ জনের।

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জনে। আর গত একদিনের মৃত্যু হওয়া লোকজনসহ দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৬৫ জনে। এর আগে ১ জুলাই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ২ জুলাই ১৩২ জন ও ৩ জুলাই ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত আটদিনেই দৈনিক একশ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই আটদিনেই এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

একদিনে শনাক্তের অর্ধেকই

ঢাকা বিভাগে

গত একদিনে ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় ১৬ হাজার ১৬৪টি নমুনা

পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় চার হাজার ২০৭ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যা একদিনে শনাক্ত হওয়া মোট রোগীদের প্রায় অর্ধেক। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ২৬ দশমিক ০২ শতাংশ।

একদিনে ঢাকা মহানগরসহ জেলায় ১২ হাজার ৯৭৪টি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ৯৪৩ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। ঢাকায় পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ২২ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৩৯৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ৩৫৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ হিসেবে শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার মধ্যে তিনটি জেলায় গত একদিনে কোন নমুনা পরীক্ষা হয়নি। জেলা তিনটি হলো- ব্রাক্ষণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি। বাকি আট জেলায় একদিনে দুই হাজার ২৭৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৭৩ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম বিভাগে সংক্রমণের হার ২৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৭৯৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ৯৯২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ২৬ দশমিক ১১ শতাংশ।

রংপুর বিভাগের আট জেলায় একদিনে এক হাজার ২৯৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৫৬ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই বিভাগে পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার ৪৩ শতাংশ।

খুলনা বিভাগের দশ জেলায় গত একদিনে তিন হাজার ৬০২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় এক হাজার ৩০৪ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়। খুলনায় সংক্রমণের হার ৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় একদিনে ৭২৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৪৩ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা অনুপাতে বরিশালে সংক্রমণের হার ৪৭ দশমিক ১১ শতাংশ।

সিলেট বিভাগের চার জেলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬১৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ২২৮ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়। পরীক্ষা বিবেচনায় সিলেটে সংক্রমণের হার ৩৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

একদিনে শনাক্তের হার ২৯ শতাংশ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৮৭৯টি। এ পর্যন্ত মোট ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।

গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৬৯৮ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন আট লাখ ৩৩ হাজার ৮৯৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মোট সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং শনাক্ত অনুপাতে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ৯৬ জন এবং নারী ৫৭ জন। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া মোট লোকজনের মধ্যে পুরুষ দশ হাজার ৬৭৬ জন এবং নারী চার হাজার ৩৮৯ জন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে ৭০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৪৫ জনের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং তিনজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

গত একদিনে সরকারি হাসপাতালে ১১৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২২ জন ও বাসায় মারা গেছেন ৯ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয় তিনজনকে।

আটদিনেই হাজারের বেশি মৃত্যু

গত ২৬ জুন দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ হাজারের ঘর অতিক্রম করে। এরপর গত আটদিনেই মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ হাজারের মাইলফলক ছাড়িয়ে যায়।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথম মৃত্যুর প্রায় আড়াই মাস পর গত বছরের ১০ জুন এক হাজার ছাড়ায় মৃত্যুর সংখ্যা।

এরপর ৫ জুলাই দুই হাজার, ২৮ জুলাই তিন হাজার, ২৫ আগস্ট চার হাজার, ২২ সেপ্টেম্বর পাঁচ হাজার ছাড়ায় প্রাণহানির সংখ্যা।

এরপর সংক্রমণ কমতে থাকে। মৃত্যুও কমে আসে। গত বছরের ৪ নভেম্বর মৃত্যু ছয় হাজার, ১২ ডিসেম্বর সাত হাজার, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি আট হাজার এবং ৩১ মার্চ ৯ হাজার ছাড়ায় করোনায় মৃত্যু।

পরবর্তীতে গত ১৫ এপ্রিল মৃত্যু দশ হাজার, ২৫ এপ্রিল ১১ হাজার, ১১ মে ১২ হাজার ও গত ১১ জুন ১৩ হাজার ছাড়িয়ে যায় করোনা মহামারিতে মৃত্যুর সংখ্যা।

খুলনা বিভাগে রেকর্ড মৃত্যু

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ঢাকা বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের।

এছাড়া চট্টগ্রামে ১৫ জন, রাজশাহীতে ১২ জন, বরিশালে ৩ জন, সিলেটে ২ জন, রংপুরে ১৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জন মারা গেছেন।