মানব পাচারের ট্রানজিট ভূমধ্যসাগর

১০ হাজার বাংলাদেশি লিবিয়া উপকূলে আটকা

মাদারীপুর জেলার সেন্টু মন্ডল দেশে ছোটখাটো ব্যবসা করে সুন্দরভাবে সংসার চালাত। কিন্তু স্থানীয় মানব পাচারকারী দালাল মিজান ও মহসিন তাকে বেশি টাকা আয় করার লোভ দেখিয়ে ইতালিতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। দালালদের কথা মতো বেশি বেতন পাওয়ার লোভে ইতালিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ধারকর্জ করে দুই দফায় দালালদের সাড়ে ৭ লাখ টাকা দেয়া হয়। দালাল চক্র তাকে পাসর্পোট করে দেয়। এরপর দুবাই ও লিবিয়া হয়ে অবৈধভাবে মণ্ডল নিখোঁজ হয়। পরিবার এখনও সেন্টু মন্ডলের কোন খোঁজ পাচ্ছে না।

স্বামীর সন্ধানে তার স্ত্রী সাথী বেগম গত মে মাসে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এখন সিআইডি তদন্ত করছেন। মামলা দায়ের করার পর অভিযুক্ত মানব পাচারকারী চক্রের দালাল মিজান ও মহসিন মামলার বাদী সাথী বেগমকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। স্ত্রী এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। সেন্টু মন্ডলের মতো লিবিয়ার উপকূলীয় এলাকায় এখন প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার অপেক্ষা করছেন। লিবিয়া ফেরত কয়েকজন বাংলাদেশি সিআইডিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এমন তথ্য দিয়েছে।

সিআইডি সদর দপ্তর থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা সংবাদকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিশিয়া উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে কয়েকটি নৌকা ডুবে যায়। তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী তাৎক্ষণিক উদ্ধার অভিযান চালিয়ে অনেককে উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি ত্রিপোলি দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহায়তায় দেশে ফিরে আসছেন। ঘটনার পরপর সিআইডির টিম মাদারীপুর জেলায় তদন্তে যান। সিআইডি সদর দপ্তর থেকে সেখানে দুই দফায় তদন্ত টিম গেছে। তারা মাদারীপুর জেলার একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক তথ্য উদ্ঘাটন করেছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।

সিআইডি ভূমধ্যসাগর দিয়ে মানব পাচারের ঘটনায় দায়ের করা ৫টি মামলা এখন তদন্ত করছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, মানব পাচারকারীদের ক্লু উদ্ঘাটন ও চিহ্নিত করার জন্য সিআইডির চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক তথ্যে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার তিউনিশিয়া থেকে ১৭ জন যাত্রী শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। বিমানবন্দরে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে বিদেশফেরত যাত্রী মো. মহসিন জানান, নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রামনগর এলাকায় তার বাসা। ২০১৯ সালের ২২ মার্চ ভিজিট ভিসায় দুবাই যায়। সেখানে দুই বছর চাকরি করার পর বাংলাদেশি নাগরিক ছোটনের সঙ্গে ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা চুক্তিতে সাগরপথে ইতালিতে যাওয়ার সময় তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকা দুর্ঘটনায় পড়লে কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে। পরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত আসে। সে দুবাই থেকে মিশর ও লিবিয়া হয়ে তিউনিশিয়ায় যায়।

নোয়াখালীর চাটখিল এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল হোসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, গত মার্চ মাসে তিনি ইতালির উদ্দেশে ভিজিট ভিসায় প্রথমে দুবাই যান। এরপর মিশর (ট্রানজিট) হয়ে লিবিয়া হয়ে তিউনিশিয়ায় যান। নৌকাযোগে ভূমধ্যসাগর পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।

ফয়সাল জানান, দুবাইয়ে তিনদিন থাকার পর মিশর ট্রানজিট হয়ে লিবিয়ায় যান। লিবিয়ায় এক মাস পনেরো দিন অবস্থান করার পর বাংলাদেশি নাগরিক শামীমের মাধ্যমে লিবিয়ার নাগরিক অলির সঙ্গে সাত লাখ টাকা চুক্তিতে সাগরপথে ইতালিতে যাওয়ার সময় তিউনিশিয়ার উপকূলে তাদের বহনকারী ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি ডুবে গেলে স্থানীয় কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে। পরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে দেশে ফেরত আসে। স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে সে ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যে জানা গেছে, দেশে ফেরত অধিকাংশই সমুদ্রপথে ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা ভিজিট ভিসায় প্রথমে দুবাই গিয়েছিল। ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে বেঁচে যাওয়া অনেকেই ২০১৯ ,২০২০, ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪সহ বিভিন্ন সময় কাজের ভিসা নিয়ে বৈধভাবে লিবিয়া যায়। সেখানে বেশ কিছুদিন চাকরি করার পর ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা চুক্তিতে লিবিয়ার নাগরিক অলির সহায়তায় ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।

সিআইডির একজন কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, ভূমধ্যসাগর যেন এখন মৃত্যুফাঁদ। প্রতিবছর বহু মানুষ একটু বেশি সুখের আসায় দালাল চক্রের মাধ্যমে দুবাই হয়ে ইতালি যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। মাদারীপুর, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, সিলেট, ফেনী, নরসিংদী, গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলার অনেকেই দালাল চক্রের মাধ্যমে বেশি সুখের আসায় ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, দেশে যারা ভালো আছেন তারা আরও ভালো করতে চান। তাই উন্নত জীবন গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করে বিপদে পড়েন। সংঘবদ্ধ দালাল চক্র নানা উপায়ে বিমানবন্দরের অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তি করে নানা কৌশলে তাদের বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করেন। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে আটক হওয়ার পর অনেকেই রহস্যজনকভাবে আবার টুরিস্ট ভিসা নিয়ে প্রথমে দুবাই পরে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন।

আমাদের মাদারীপুর জেলা বার্তা পরিবেশক জানান, ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া অনেকের বাড়ি মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায়, তারা ভূমধ্যসাগর ব্যবহার করে ইতালিসহ ইউরোপে পাড়ি জমায়। সেখানে একাধিক দালাল চক্র রয়েছে।

সোমবার, ০৫ জুলাই ২০২১ , ২১ আষাঢ় ১৪২৮ ২৩ জিলক্বদ ১৪৪২

মানব পাচারের ট্রানজিট ভূমধ্যসাগর

১০ হাজার বাংলাদেশি লিবিয়া উপকূলে আটকা

বাকী বিল্লাহ

image

মাদারীপুর জেলার সেন্টু মন্ডল দেশে ছোটখাটো ব্যবসা করে সুন্দরভাবে সংসার চালাত। কিন্তু স্থানীয় মানব পাচারকারী দালাল মিজান ও মহসিন তাকে বেশি টাকা আয় করার লোভ দেখিয়ে ইতালিতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। দালালদের কথা মতো বেশি বেতন পাওয়ার লোভে ইতালিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ধারকর্জ করে দুই দফায় দালালদের সাড়ে ৭ লাখ টাকা দেয়া হয়। দালাল চক্র তাকে পাসর্পোট করে দেয়। এরপর দুবাই ও লিবিয়া হয়ে অবৈধভাবে মণ্ডল নিখোঁজ হয়। পরিবার এখনও সেন্টু মন্ডলের কোন খোঁজ পাচ্ছে না।

স্বামীর সন্ধানে তার স্ত্রী সাথী বেগম গত মে মাসে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এখন সিআইডি তদন্ত করছেন। মামলা দায়ের করার পর অভিযুক্ত মানব পাচারকারী চক্রের দালাল মিজান ও মহসিন মামলার বাদী সাথী বেগমকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। স্ত্রী এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। সেন্টু মন্ডলের মতো লিবিয়ার উপকূলীয় এলাকায় এখন প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার অপেক্ষা করছেন। লিবিয়া ফেরত কয়েকজন বাংলাদেশি সিআইডিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এমন তথ্য দিয়েছে।

সিআইডি সদর দপ্তর থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা সংবাদকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিশিয়া উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে কয়েকটি নৌকা ডুবে যায়। তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী তাৎক্ষণিক উদ্ধার অভিযান চালিয়ে অনেককে উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি ত্রিপোলি দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহায়তায় দেশে ফিরে আসছেন। ঘটনার পরপর সিআইডির টিম মাদারীপুর জেলায় তদন্তে যান। সিআইডি সদর দপ্তর থেকে সেখানে দুই দফায় তদন্ত টিম গেছে। তারা মাদারীপুর জেলার একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক তথ্য উদ্ঘাটন করেছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।

সিআইডি ভূমধ্যসাগর দিয়ে মানব পাচারের ঘটনায় দায়ের করা ৫টি মামলা এখন তদন্ত করছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন, মানব পাচারকারীদের ক্লু উদ্ঘাটন ও চিহ্নিত করার জন্য সিআইডির চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক তথ্যে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার তিউনিশিয়া থেকে ১৭ জন যাত্রী শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। বিমানবন্দরে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে বিদেশফেরত যাত্রী মো. মহসিন জানান, নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রামনগর এলাকায় তার বাসা। ২০১৯ সালের ২২ মার্চ ভিজিট ভিসায় দুবাই যায়। সেখানে দুই বছর চাকরি করার পর বাংলাদেশি নাগরিক ছোটনের সঙ্গে ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা চুক্তিতে সাগরপথে ইতালিতে যাওয়ার সময় তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকা দুর্ঘটনায় পড়লে কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে। পরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত আসে। সে দুবাই থেকে মিশর ও লিবিয়া হয়ে তিউনিশিয়ায় যায়।

নোয়াখালীর চাটখিল এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল হোসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, গত মার্চ মাসে তিনি ইতালির উদ্দেশে ভিজিট ভিসায় প্রথমে দুবাই যান। এরপর মিশর (ট্রানজিট) হয়ে লিবিয়া হয়ে তিউনিশিয়ায় যান। নৌকাযোগে ভূমধ্যসাগর পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।

ফয়সাল জানান, দুবাইয়ে তিনদিন থাকার পর মিশর ট্রানজিট হয়ে লিবিয়ায় যান। লিবিয়ায় এক মাস পনেরো দিন অবস্থান করার পর বাংলাদেশি নাগরিক শামীমের মাধ্যমে লিবিয়ার নাগরিক অলির সঙ্গে সাত লাখ টাকা চুক্তিতে সাগরপথে ইতালিতে যাওয়ার সময় তিউনিশিয়ার উপকূলে তাদের বহনকারী ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি ডুবে গেলে স্থানীয় কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে। পরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে দেশে ফেরত আসে। স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে সে ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যে জানা গেছে, দেশে ফেরত অধিকাংশই সমুদ্রপথে ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা ভিজিট ভিসায় প্রথমে দুবাই গিয়েছিল। ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে বেঁচে যাওয়া অনেকেই ২০১৯ ,২০২০, ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪সহ বিভিন্ন সময় কাজের ভিসা নিয়ে বৈধভাবে লিবিয়া যায়। সেখানে বেশ কিছুদিন চাকরি করার পর ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা চুক্তিতে লিবিয়ার নাগরিক অলির সহায়তায় ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।

সিআইডির একজন কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, ভূমধ্যসাগর যেন এখন মৃত্যুফাঁদ। প্রতিবছর বহু মানুষ একটু বেশি সুখের আসায় দালাল চক্রের মাধ্যমে দুবাই হয়ে ইতালি যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। মাদারীপুর, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, সিলেট, ফেনী, নরসিংদী, গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলার অনেকেই দালাল চক্রের মাধ্যমে বেশি সুখের আসায় ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, দেশে যারা ভালো আছেন তারা আরও ভালো করতে চান। তাই উন্নত জীবন গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করে বিপদে পড়েন। সংঘবদ্ধ দালাল চক্র নানা উপায়ে বিমানবন্দরের অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তি করে নানা কৌশলে তাদের বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করেন। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে আটক হওয়ার পর অনেকেই রহস্যজনকভাবে আবার টুরিস্ট ভিসা নিয়ে প্রথমে দুবাই পরে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন।

আমাদের মাদারীপুর জেলা বার্তা পরিবেশক জানান, ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া অনেকের বাড়ি মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায়, তারা ভূমধ্যসাগর ব্যবহার করে ইতালিসহ ইউরোপে পাড়ি জমায়। সেখানে একাধিক দালাল চক্র রয়েছে।