গ্যাসের সিলিন্ডার চুরি করে নেয়ার পরও চোরের পক্ষে অভিযোগ নিয়েছে গজারিয়া থানার ওসি রইছ উদ্দিন। সিসি ক্যামেরায় ফুটেজে দেখা যায় পিকআপ ভ্যান থেকে সিলিন্ডার চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় চোরদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দেয়া হয়েছে। কিন্তু গজারিয়া থানার ওসি চুরির মামলা নথিভুক্ত না করে উল্টো চোরদের দিয়ে পাল্টা অভিযোগ গ্রহণ করে আপোষ মীমাংসার প্রস্তাব দিচ্ছেন। বাদী পক্ষকে এখন চাপ প্রয়োগ করছেন আপোষ মীমাংসার জন্য। ঘটনাটি ঘটেছে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে।
ব্যবসায়ী মো. শহিদুল ইসলাম (৩৬) জানান, মো. মহসীন মিয়া (৪৫), মো. আঃ করিম (৪২) অজ্ঞাত আরও ২/৩ জন মিলে এইচ আলী ট্রেডার্স নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে একটি অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার চুরি করে নিয়ে যায়। সিসি ফুটেজে দেখা যায় মহসিন মিয়া ও করিম মিলে সিলিন্ডারটি পিকআপ ভ্যান থেকে নামিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আমার অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার চুরির অভিযোগ করলেও তা আমলে না নিয়ে চোরের পক্ষে অভিযোগ গ্রহণ করেছে গজারিয়া থানার ওসি।
বাদী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার দেশে লকডাউন থাকায় আমার উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান খুলতে বিলম্ব হয়। পরবর্তীতে সকাল ৯টার সময় প্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা পিকআপ ভ্যান হতে মালামাল আনলোড করতে গেলে অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডারটি পাওয়া যায়নি। অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডারটি দেখতে না পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানে বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে দেখা যায় ৬.৩০টার সময় মহসিন মিয়া ও আঃ করিম মিয়া অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার যার মূল্য আনুমানিক ১৮,৫০০ টাকা পিকআপ ভ্যান থেকে চুরি করে নিয়ে যায়।
এই মর্মে থানায় লিখিত অভিযোগ দেই। কিন্তু থানার ওসি আমার অভিযোগ আমলে না নিয়ে চোরের পক্ষ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে পাল্টা একটি অভিযোগ গ্রহণ করেন। আমার চুরি যাওয়া অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার উদ্ধার না করে চোরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো আমার বিরুদ্ধে কিভাবে থানার ওসি অভিযোগ গ্রহণ করলো এটা আমার বোধগম্য নয়। চোরের সঙ্গে আমাকে আপোষ মীমাংসার জন্য থানার ওসি চাপ দিচ্ছে।
অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার চোর যা সিসি ক্যামেরার ভিডিও থেকে স্পষ্ট হওয়ার পরও মো. মহসিন মিয়া (৪৫) বাদী হয়ে মো. লিয়াকত আলী (৫২), আমান উল্লা (৩৫), শহিদুল ইসলাম (৩২) তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ে করেছে। সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ ফেইসবুকে দেয়ায় তার মান সম্মানের হানি ঘটেছে। চোরের আবার মান সম্মান হানি হয়েছে।
টাকার বিনিময়ে চোরকে দিয়ে বাদীর বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ গ্রহণ করা কি ধরনের কাজ তা কে বলতে পারবে? গজারিয়া থানার ওসি মো. রইছ উদ্দিন বর্তমানে কোন অভিযোগ পেয়ে আসামি পক্ষদের দিয়ে পাল্টা বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করান। পরবর্তীতে থানায় আদালত বসিয়ে আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। এমন অভিযোগ গজারিয়ার অধিকাংশ লোকের। শহিদুল ইসলামও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. রইছ উদ্দিন জানান, উভয় পক্ষের অভিযোগই আমলে নেয় হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে যে গিল্টি হবে তার বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চোর কিভাবে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করলো? চোরকে কেন গ্রেপ্তার করলেন না? এমন প্রশ্নের জবাব তিনি দিতে পারেননি। তবে ওসি বলেন, মান সম্মান হানি দেখিয়ে একটি অভিযোগ করেছে তাই অভিযোগটি আমলে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়টির বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন পিপিএমের সেলফোনে ০১৩২০০৯৩৩০০ বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সদর সার্কেল এসপি মিনহাজুল ইসলাম সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজের কথা শুনে বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি।
সোমবার, ০৫ জুলাই ২০২১ , ২১ আষাঢ় ১৪২৮ ২৩ জিলক্বদ ১৪৪২
প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ
গ্যাসের সিলিন্ডার চুরি করে নেয়ার পরও চোরের পক্ষে অভিযোগ নিয়েছে গজারিয়া থানার ওসি রইছ উদ্দিন। সিসি ক্যামেরায় ফুটেজে দেখা যায় পিকআপ ভ্যান থেকে সিলিন্ডার চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় চোরদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দেয়া হয়েছে। কিন্তু গজারিয়া থানার ওসি চুরির মামলা নথিভুক্ত না করে উল্টো চোরদের দিয়ে পাল্টা অভিযোগ গ্রহণ করে আপোষ মীমাংসার প্রস্তাব দিচ্ছেন। বাদী পক্ষকে এখন চাপ প্রয়োগ করছেন আপোষ মীমাংসার জন্য। ঘটনাটি ঘটেছে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে।
ব্যবসায়ী মো. শহিদুল ইসলাম (৩৬) জানান, মো. মহসীন মিয়া (৪৫), মো. আঃ করিম (৪২) অজ্ঞাত আরও ২/৩ জন মিলে এইচ আলী ট্রেডার্স নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে একটি অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার চুরি করে নিয়ে যায়। সিসি ফুটেজে দেখা যায় মহসিন মিয়া ও করিম মিলে সিলিন্ডারটি পিকআপ ভ্যান থেকে নামিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আমার অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার চুরির অভিযোগ করলেও তা আমলে না নিয়ে চোরের পক্ষে অভিযোগ গ্রহণ করেছে গজারিয়া থানার ওসি।
বাদী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার দেশে লকডাউন থাকায় আমার উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান খুলতে বিলম্ব হয়। পরবর্তীতে সকাল ৯টার সময় প্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা পিকআপ ভ্যান হতে মালামাল আনলোড করতে গেলে অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডারটি পাওয়া যায়নি। অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডারটি দেখতে না পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানে বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে দেখা যায় ৬.৩০টার সময় মহসিন মিয়া ও আঃ করিম মিয়া অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার যার মূল্য আনুমানিক ১৮,৫০০ টাকা পিকআপ ভ্যান থেকে চুরি করে নিয়ে যায়।
এই মর্মে থানায় লিখিত অভিযোগ দেই। কিন্তু থানার ওসি আমার অভিযোগ আমলে না নিয়ে চোরের পক্ষ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে পাল্টা একটি অভিযোগ গ্রহণ করেন। আমার চুরি যাওয়া অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার উদ্ধার না করে চোরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো আমার বিরুদ্ধে কিভাবে থানার ওসি অভিযোগ গ্রহণ করলো এটা আমার বোধগম্য নয়। চোরের সঙ্গে আমাকে আপোষ মীমাংসার জন্য থানার ওসি চাপ দিচ্ছে।
অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার চোর যা সিসি ক্যামেরার ভিডিও থেকে স্পষ্ট হওয়ার পরও মো. মহসিন মিয়া (৪৫) বাদী হয়ে মো. লিয়াকত আলী (৫২), আমান উল্লা (৩৫), শহিদুল ইসলাম (৩২) তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ে করেছে। সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ ফেইসবুকে দেয়ায় তার মান সম্মানের হানি ঘটেছে। চোরের আবার মান সম্মান হানি হয়েছে।
টাকার বিনিময়ে চোরকে দিয়ে বাদীর বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ গ্রহণ করা কি ধরনের কাজ তা কে বলতে পারবে? গজারিয়া থানার ওসি মো. রইছ উদ্দিন বর্তমানে কোন অভিযোগ পেয়ে আসামি পক্ষদের দিয়ে পাল্টা বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করান। পরবর্তীতে থানায় আদালত বসিয়ে আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। এমন অভিযোগ গজারিয়ার অধিকাংশ লোকের। শহিদুল ইসলামও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. রইছ উদ্দিন জানান, উভয় পক্ষের অভিযোগই আমলে নেয় হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে যে গিল্টি হবে তার বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চোর কিভাবে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করলো? চোরকে কেন গ্রেপ্তার করলেন না? এমন প্রশ্নের জবাব তিনি দিতে পারেননি। তবে ওসি বলেন, মান সম্মান হানি দেখিয়ে একটি অভিযোগ করেছে তাই অভিযোগটি আমলে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়টির বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন পিপিএমের সেলফোনে ০১৩২০০৯৩৩০০ বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সদর সার্কেল এসপি মিনহাজুল ইসলাম সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজের কথা শুনে বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি।