গ্রাহকের চাপে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি ব্যাংক লেনদেন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে ব্যাংকিং সময়সীমা সীমিত করায় নির্ধারিত সময়ে লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেনি ব্যাংকগুলো।

গতকাল রাজধানীর ব্যাংকগুলোর ভেতরে সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনের কারণে ব্যাংকের বাইরেও লম্বা লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছেন গ্রাহকরা। ব্যাংকে প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের সঙ্গে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করাচ্ছেন নিরাপত্তা কর্মীরা।

এ বিষয়ে ব্যাংকর্কতা বলেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে লেনদেন চলছে। এতে গ্রাহকদের লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। ‘লকডাউনে’র সময় ব্যাংক পরিচালনা ও লেনদেনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে চলা হচ্ছে। টানা চারদিন ব্যাংক বন্ধ থাকার পরে অনেকেই ব্যাংকে এসেছেন। কেউ টাকা জমা দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ উত্তোলন করতে এসেছেন। দেড়টার আগে ব্যাংকে আসা সব গ্রাহকের সেবাই নিশ্চিত করা হবে।

ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী বলেন, ‘লকডাউনে’র কারণে দেড়টার পরে কোন গ্রাহককে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। আগে যারা এসেছেন, তাদের সবাইকে ভেতরে প্রবেশ করানো হয়েছে। সময় যতই লাগুক সবাই সেবা পাবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে ভেতর থেকে একজন বের হলে বাইরে থেকে একজনকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। প্রবেশের আগে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের পাশাপাশি হাত স্যানিটাইজড করা হচ্ছে।

করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বাড়ায় ১ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। বিধিনিষেধের মধ্যে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করে লেনদেন ও অন্যান্য নির্দেশনা দিয়েছে ব্যাংকগুলোকে।

গত ৩০ জুন এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি সার্কুলার সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদরে ও উপজেলায় একটি করে শাখা খোলা রাখতে হবে।

অন্যান্য সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা সদরে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে এবং জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় অনধিক দুটি শাখা খোলা রাখা যাবে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগগুলো যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের প্রিন্সিপাল-প্রধান শাখা এবং সব বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা সীমিত সংখ্যক অত্যাবশ্যকীয় লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে।

মঙ্গলবার, ০৬ জুলাই ২০২১ , ২২ আষাঢ় ১৪২৮ ২৪ জিলক্বদ ১৪৪২

গ্রাহকের চাপে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি ব্যাংক লেনদেন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে ব্যাংকিং সময়সীমা সীমিত করায় নির্ধারিত সময়ে লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেনি ব্যাংকগুলো।

গতকাল রাজধানীর ব্যাংকগুলোর ভেতরে সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনের কারণে ব্যাংকের বাইরেও লম্বা লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছেন গ্রাহকরা। ব্যাংকে প্রবেশের সময় শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের সঙ্গে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করাচ্ছেন নিরাপত্তা কর্মীরা।

এ বিষয়ে ব্যাংকর্কতা বলেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে লেনদেন চলছে। এতে গ্রাহকদের লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। ‘লকডাউনে’র সময় ব্যাংক পরিচালনা ও লেনদেনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে চলা হচ্ছে। টানা চারদিন ব্যাংক বন্ধ থাকার পরে অনেকেই ব্যাংকে এসেছেন। কেউ টাকা জমা দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ উত্তোলন করতে এসেছেন। দেড়টার আগে ব্যাংকে আসা সব গ্রাহকের সেবাই নিশ্চিত করা হবে।

ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী বলেন, ‘লকডাউনে’র কারণে দেড়টার পরে কোন গ্রাহককে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। আগে যারা এসেছেন, তাদের সবাইকে ভেতরে প্রবেশ করানো হয়েছে। সময় যতই লাগুক সবাই সেবা পাবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে ভেতর থেকে একজন বের হলে বাইরে থেকে একজনকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। প্রবেশের আগে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের পাশাপাশি হাত স্যানিটাইজড করা হচ্ছে।

করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বাড়ায় ১ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। বিধিনিষেধের মধ্যে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করে লেনদেন ও অন্যান্য নির্দেশনা দিয়েছে ব্যাংকগুলোকে।

গত ৩০ জুন এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি সার্কুলার সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদরে ও উপজেলায় একটি করে শাখা খোলা রাখতে হবে।

অন্যান্য সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা সদরে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে এবং জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় অনধিক দুটি শাখা খোলা রাখা যাবে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগগুলো যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের প্রিন্সিপাল-প্রধান শাখা এবং সব বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা সীমিত সংখ্যক অত্যাবশ্যকীয় লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে।