সর্বনিম্ন বয়স ৩৫ রাখার সিদ্ধান্ত

তিন-চার দিনের মধ্যেই আবার গণটিকার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হবে। এবার টিকা নিবন্ধনের বয়স সর্বনিম্ন ৩৫ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগে যা ছিল ৪০ বছর। সারাদেশে এ পর্যন্ত ৭২ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৯ জন টিকার জন্য নিবন্ধন করেছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে গতকাল অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ‘নিবন্ধন চালু করে দিয়ে দেশে আবারও গণটিকাদান কার্যক্রম চালু করা হবে। টিকার জন্য নিবন্ধনের সময়সীমা ৪০ বছর পর্যন্ত ছিল। এটা ৩৫ বছর পর্যন্ত নামিয়ে আনার একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে যারা নিবন্ধন করেছেন তারা আগে টিকা পাবেন। এভাবেই আমরা ঠিক করেছি।’

ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজে থাকা কয়েকটি পেশার কর্মীদেরও টিকা পাওয়ার তালিকায় রাখা হচ্ছে। নিবন্ধনের জন্য আইসিটি বিভাগকে বলা হয়েছে। তারা বলেছেন তাড়াতাড়ি সময়ের মধ্যে তারা এটা করে দেবেন। আমরা আশা করছি আমাদের গণটিকাদান কার্যক্রম খুব দ্রুতই শুরু করব। কিছু কিছু নিবন্ধন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখের মতো নিবন্ধন করে দিয়েছি, তারা এরইমধ্যে টিকা নিয়েছেন।’

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য গত বছরের শেষ দিকে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। সেই টিকার প্রথম চালান পাওয়ার পর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়। কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউট দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে টিকার সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ হয়ে যায়।

পরে চীনের উপহার হিসেবে দুই দফায় সিনোফার্মের ১১ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসে। আর টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা পাওয়া যায়। তাই দিয়ে গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশে জেলা পর্যায়ে আবারও টিকাদান শুরু হয়। গত দুই জুলাই রাতে এবং ৩ জুলাই সকালে দুই চালানে সিনোফার্ম থেকে কেনা টিকার ২০ লাখ ডোজ দেশে আসে। একইভাবে কোভ্যাক্স থেকে পাঠানো দুটি চালানে মডার্নার টিকার ২৫ লাখ ডোজ ঢাকায় পৌঁছায়।

মঙ্গলবার, ০৬ জুলাই ২০২১ , ২২ আষাঢ় ১৪২৮ ২৪ জিলক্বদ ১৪৪২

গণ টিকা শুরু কয়েকদিনের মধ্যে

সর্বনিম্ন বয়স ৩৫ রাখার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

তিন-চার দিনের মধ্যেই আবার গণটিকার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হবে। এবার টিকা নিবন্ধনের বয়স সর্বনিম্ন ৩৫ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগে যা ছিল ৪০ বছর। সারাদেশে এ পর্যন্ত ৭২ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৯ জন টিকার জন্য নিবন্ধন করেছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে গতকাল অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ‘নিবন্ধন চালু করে দিয়ে দেশে আবারও গণটিকাদান কার্যক্রম চালু করা হবে। টিকার জন্য নিবন্ধনের সময়সীমা ৪০ বছর পর্যন্ত ছিল। এটা ৩৫ বছর পর্যন্ত নামিয়ে আনার একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে যারা নিবন্ধন করেছেন তারা আগে টিকা পাবেন। এভাবেই আমরা ঠিক করেছি।’

ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজে থাকা কয়েকটি পেশার কর্মীদেরও টিকা পাওয়ার তালিকায় রাখা হচ্ছে। নিবন্ধনের জন্য আইসিটি বিভাগকে বলা হয়েছে। তারা বলেছেন তাড়াতাড়ি সময়ের মধ্যে তারা এটা করে দেবেন। আমরা আশা করছি আমাদের গণটিকাদান কার্যক্রম খুব দ্রুতই শুরু করব। কিছু কিছু নিবন্ধন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখের মতো নিবন্ধন করে দিয়েছি, তারা এরইমধ্যে টিকা নিয়েছেন।’

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য গত বছরের শেষ দিকে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। সেই টিকার প্রথম চালান পাওয়ার পর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়। কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউট দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে টিকার সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ হয়ে যায়।

পরে চীনের উপহার হিসেবে দুই দফায় সিনোফার্মের ১১ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসে। আর টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা পাওয়া যায়। তাই দিয়ে গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশে জেলা পর্যায়ে আবারও টিকাদান শুরু হয়। গত দুই জুলাই রাতে এবং ৩ জুলাই সকালে দুই চালানে সিনোফার্ম থেকে কেনা টিকার ২০ লাখ ডোজ দেশে আসে। একইভাবে কোভ্যাক্স থেকে পাঠানো দুটি চালানে মডার্নার টিকার ২৫ লাখ ডোজ ঢাকায় পৌঁছায়।