বিনিয়োগকারীদের স্বার্থবিরোধী কাজ করতে দেব না : বিএসইসি কমিশনার

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থবিরোধী কোন কাজ কাউকে করতে দেয়া হবে না। একইসঙ্গে কমিশন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষামূলক কাজ করতে সচেষ্ট থাকবে। এক্ষেত্রে শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী সবাইকেও সচেষ্ট থাকতে হবে।’

গতকাল বন্ধ বা সাসপেন্ড ব্রোকারেজ হাউজের বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লিংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অন্য ব্রোকারেজ হাউজে স্থানান্তর এবং অভিযোগ দাখিল করার জন্য ‘অনলাইন ট্রান্সমিশন অব সিকিউরিটিজ অ্যান্ড লজিং কম্প্যাইন বা দ্য ক্লাইন্ট অব সাসপেনডেড স্টক-ব্রোকার’ মডিউল উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এই মডিউলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা এখন থেকে ঘরে বসেই লিংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শেয়ার অন্য ব্রোকারেজ হাউজে স্থানান্তর ও অভিযোগ দাখিল করতে পারবে যা করার জন্য বর্তমানে সশরীরে সিডিবিএলে গিয়ে ফরম এনে তা পূরণ করে জমা দিতে হয়। এতে সময় ও অর্থ ব্যয় এবং ভোগান্তিতে পড়তে হয় যা মডিউলটি ব্যবহারের মাধ্যমে লাঘব হবে। এই মডিউলটি আগামীকাল থেকে ব্যবহার করা যাবে। মডিউলটির লিংক বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের নিদের্শনায় মডিউলটি তৈরি করেছে ডিএসই ও সিডিবিএল। যেটি বিনিয়োগকারীদের জন্য সহায়ক, শেয়ারবাজারকে আধুনিকায়নে এগিয়ে নেবে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে ও হয়রানি বন্ধ করবে বলে অনুষ্ঠানে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিএসইসি কমিশনার বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তিতে সক্ষমতা আছে। এর প্রমাণ আজকের মডিউলটি তৈরি। এই মডিউলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। তাদের ব্যয় কমবে ও সময় বাঁচবে যা করা আমাদের কাজ।’

তবে বানকো ও ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের সৃষ্ট যে পরিস্থিতির কারণে আজকে মডিউলটি তৈরি করতে হলো, তার জন্য মোটেই খুশি নন বলে জানান শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইব না। যেখানে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের (সিসিএ) টাকা অপব্যবহার বা আত্মসাৎ করা হবে। এমনটি কমিশন মেনে নেবে না। এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য বলব।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন বিষয়ে সফটওয়্যার তৈরি করা হবে যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সহায়ক হবে। এছাড়া কমিশন আইপিওতে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য সফটওয়্যার তৈরির কাজ শেষের দিকে নিয়ে এসেছে যার মাধ্যমে অনলাইনে আইপিও আবেদন করা যাবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন দ আহমেদ এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান, ডিবিএর সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন, সিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন-উর-রশিদ, সিসিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরহা ফোরামের প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেল।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ বক্তব্য প্রদান করবেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ইনচার্জ) আবদুল মতিন পাটওয়ারী।

বুধবার, ০৭ জুলাই ২০২১ , ২৩ আষাঢ় ১৪২৮ ২৫ জিলক্বদ ১৪৪২

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থবিরোধী কাজ করতে দেব না : বিএসইসি কমিশনার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থবিরোধী কোন কাজ কাউকে করতে দেয়া হবে না। একইসঙ্গে কমিশন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষামূলক কাজ করতে সচেষ্ট থাকবে। এক্ষেত্রে শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী সবাইকেও সচেষ্ট থাকতে হবে।’

গতকাল বন্ধ বা সাসপেন্ড ব্রোকারেজ হাউজের বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লিংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অন্য ব্রোকারেজ হাউজে স্থানান্তর এবং অভিযোগ দাখিল করার জন্য ‘অনলাইন ট্রান্সমিশন অব সিকিউরিটিজ অ্যান্ড লজিং কম্প্যাইন বা দ্য ক্লাইন্ট অব সাসপেনডেড স্টক-ব্রোকার’ মডিউল উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এই মডিউলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা এখন থেকে ঘরে বসেই লিংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শেয়ার অন্য ব্রোকারেজ হাউজে স্থানান্তর ও অভিযোগ দাখিল করতে পারবে যা করার জন্য বর্তমানে সশরীরে সিডিবিএলে গিয়ে ফরম এনে তা পূরণ করে জমা দিতে হয়। এতে সময় ও অর্থ ব্যয় এবং ভোগান্তিতে পড়তে হয় যা মডিউলটি ব্যবহারের মাধ্যমে লাঘব হবে। এই মডিউলটি আগামীকাল থেকে ব্যবহার করা যাবে। মডিউলটির লিংক বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের নিদের্শনায় মডিউলটি তৈরি করেছে ডিএসই ও সিডিবিএল। যেটি বিনিয়োগকারীদের জন্য সহায়ক, শেয়ারবাজারকে আধুনিকায়নে এগিয়ে নেবে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে ও হয়রানি বন্ধ করবে বলে অনুষ্ঠানে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিএসইসি কমিশনার বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তিতে সক্ষমতা আছে। এর প্রমাণ আজকের মডিউলটি তৈরি। এই মডিউলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। তাদের ব্যয় কমবে ও সময় বাঁচবে যা করা আমাদের কাজ।’

তবে বানকো ও ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের সৃষ্ট যে পরিস্থিতির কারণে আজকে মডিউলটি তৈরি করতে হলো, তার জন্য মোটেই খুশি নন বলে জানান শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইব না। যেখানে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের (সিসিএ) টাকা অপব্যবহার বা আত্মসাৎ করা হবে। এমনটি কমিশন মেনে নেবে না। এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য বলব।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন বিষয়ে সফটওয়্যার তৈরি করা হবে যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সহায়ক হবে। এছাড়া কমিশন আইপিওতে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য সফটওয়্যার তৈরির কাজ শেষের দিকে নিয়ে এসেছে যার মাধ্যমে অনলাইনে আইপিও আবেদন করা যাবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন দ আহমেদ এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান, ডিবিএর সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন, সিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন-উর-রশিদ, সিসিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরহা ফোরামের প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেল।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ বক্তব্য প্রদান করবেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ইনচার্জ) আবদুল মতিন পাটওয়ারী।