করোনাকালীন শ্রমিকদের ১০ হাজার টাকা করে প্রণোদনা দাবি

আসছে ঈদুল আজহার আগে শ্রমিকদের ২০২০-২১ সালের বকেয়া পরিশোধ এবং করোনাকালীন প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতি মাসে নগদ ১০ হাজার টাকা করে প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী শ্রমিক সংঘ। গতকাল সংগঠনটির আহ্বায়ক আহমেদ সুজন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আলম মানিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়। করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় সরকার সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এতে লোকাল গার্মেন্টসে কর্মরত শ্রমিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, লোকাল গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সারা বছর কাজ করে যে মজুরি পাওনা হয় তা রমজান ও কোরবানির সময় সমুদয় হিসাব করে মালিকরা পরিশোধ করেন। গত বছর করোনার অজুহাত দেখিয়া অনেক মালিক পাওনা পরিশোধ না করে এই বছর করবে বলে কথা দেয়। কিন্তু এই বছরও ঈদুল ফিতরের সময় পাওনা পরিশোধ না করে ঈদুল আজহায় পরিশোধ করবে বলে জানায়। এর মধ্যে সরকার গত ২৮ জুন থেকে সীমিত পরিসরে এরপর ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। ফলে প্রায় অনেকগুলো কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। বেকার হয়ে পড়ে প্রায় এক লাখ লোকাল গার্মেন্ট শ্রমিক।

সংগঠনটি জানায়, কাজ না থাকায় শ্রমিকরা অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারছেন না। লোকাল গার্মেন্ট শ্রমিকদের বড়ই দুর্দিন। এক্ষেত্রে সরকারি কোন কার্যকর আর্থিক প্রণোদনা নেই। ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী শ্রমিক সংঘ বলছে, ‘এ অবস্থায় আমরা কোরবানি ঈদের আগে শ্রমিকদের ২০২০-২১ সালের বকেয়া পাওনা পরিশোধ, বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি জানাই।

সেই সঙ্গে কারখানায় বসবাসকারী শ্রমিকদের খোরাকি প্রদান, সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ ও করোনাকালীন প্রতি মাসে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রণোদনা প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

বৃহস্পতিবার, ০৮ জুলাই ২০২১ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৮ ২৬ জিলক্বদ ১৪৪২

করোনাকালীন শ্রমিকদের ১০ হাজার টাকা করে প্রণোদনা দাবি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

আসছে ঈদুল আজহার আগে শ্রমিকদের ২০২০-২১ সালের বকেয়া পরিশোধ এবং করোনাকালীন প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতি মাসে নগদ ১০ হাজার টাকা করে প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী শ্রমিক সংঘ। গতকাল সংগঠনটির আহ্বায়ক আহমেদ সুজন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আলম মানিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়। করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় সরকার সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এতে লোকাল গার্মেন্টসে কর্মরত শ্রমিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, লোকাল গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সারা বছর কাজ করে যে মজুরি পাওনা হয় তা রমজান ও কোরবানির সময় সমুদয় হিসাব করে মালিকরা পরিশোধ করেন। গত বছর করোনার অজুহাত দেখিয়া অনেক মালিক পাওনা পরিশোধ না করে এই বছর করবে বলে কথা দেয়। কিন্তু এই বছরও ঈদুল ফিতরের সময় পাওনা পরিশোধ না করে ঈদুল আজহায় পরিশোধ করবে বলে জানায়। এর মধ্যে সরকার গত ২৮ জুন থেকে সীমিত পরিসরে এরপর ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। ফলে প্রায় অনেকগুলো কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। বেকার হয়ে পড়ে প্রায় এক লাখ লোকাল গার্মেন্ট শ্রমিক।

সংগঠনটি জানায়, কাজ না থাকায় শ্রমিকরা অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারছেন না। লোকাল গার্মেন্ট শ্রমিকদের বড়ই দুর্দিন। এক্ষেত্রে সরকারি কোন কার্যকর আর্থিক প্রণোদনা নেই। ঢাকা পোশাক প্রস্তুতকারী শ্রমিক সংঘ বলছে, ‘এ অবস্থায় আমরা কোরবানি ঈদের আগে শ্রমিকদের ২০২০-২১ সালের বকেয়া পাওনা পরিশোধ, বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি জানাই।

সেই সঙ্গে কারখানায় বসবাসকারী শ্রমিকদের খোরাকি প্রদান, সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ ও করোনাকালীন প্রতি মাসে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রণোদনা প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি।’