‘লকডাউন’র মধ্যে ঢাকায় ২৫০ কারিগরি শিক্ষকের প্রশিক্ষণ চলছে

১৪-১৫ জনের করোনা শনাক্ত

‘লকডাউন’র মধ্যেও ঢাকায় ২৫০ জন সরকারি কারিগরি শিক্ষকের আবাসিক প্রশিক্ষণ চলছে। এই প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে ইতোমধ্যে ১৪ থেকে ১৫ জন শিক্ষকের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রশিক্ষণ চলছেই।

২৫০ জন কারিগরি শিক্ষকদের দুইমাস ব্যাপী ‘বিষয়ভিত্তিক ব্যবহারির প্রশিক্ষণ কোর্স’ গত ১ জুন থেকে ঢাকা টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (টিটিটিবি), ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শুরু হয়েছে। এই তিন প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষকদের আবাসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য জনপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩ হাজার ৬০০ টাকা। এই ব্যয়ভার স্ব-স্ব ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ খাত হতে মিটাতে হবে এবং প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা বিধিমোতাবেক সরকারি খাত হতে টিএ/ডিএ পাবেন বলে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা না নিয়ে করোনাকালীন তড়িঘড়ি করে ঢাকায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পলিটেকনিক শিক্ষকরা। প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার আগেই প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় দেখাতেই এই আবাসিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয় বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে করোনা আক্রান্ত শিক্ষকদের দু’জন সংবাদকে বলেন, ‘আমরা সরকারি চাকরি করি। এ কারণে এই প্রশিক্ষণের বিরোধিতা করতে পারছি না। করোনা পরিস্থিতি দেশের সবকিছু বন্ধ থাকলেও আমাদের সরাসরি শ্রেণীকক্ষে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কয়েকজন নিজ উদ্যোগেই গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের যুগ্ম-সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মনজুরুল কাদের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রশিক্ষণ পরিচালিত হবে।

‘লকডাউন’ পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজনের বিষয়ে মতামত জানতে মনজুরুল কাদেরের সেল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা ধরেননি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমানউল্লাহ খান ইউসুফজী সংবাদকে বলেন, ‘ট্রেনিং শিক্ষকদের দরকার। কিন্তু করোনা মহামারীতে এই ট্রেনিং নিয়ে সমস্যা। আমরা বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে কারিগরি অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি বিভাগকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। ট্রেনিং নিতে গিয়ে ৫/৭ জন শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কেউ কেউ বাড়িতে চলে গেছেন। কেউ কেউ হোস্টেলেই আইসোলেশনে আছেন।’

বৃহস্পতিবার, ০৮ জুলাই ২০২১ , ২৪ আষাঢ় ১৪২৮ ২৬ জিলক্বদ ১৪৪২

‘লকডাউন’র মধ্যে ঢাকায় ২৫০ কারিগরি শিক্ষকের প্রশিক্ষণ চলছে

১৪-১৫ জনের করোনা শনাক্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

‘লকডাউন’র মধ্যেও ঢাকায় ২৫০ জন সরকারি কারিগরি শিক্ষকের আবাসিক প্রশিক্ষণ চলছে। এই প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে ইতোমধ্যে ১৪ থেকে ১৫ জন শিক্ষকের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রশিক্ষণ চলছেই।

২৫০ জন কারিগরি শিক্ষকদের দুইমাস ব্যাপী ‘বিষয়ভিত্তিক ব্যবহারির প্রশিক্ষণ কোর্স’ গত ১ জুন থেকে ঢাকা টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (টিটিটিবি), ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শুরু হয়েছে। এই তিন প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষকদের আবাসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য জনপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩ হাজার ৬০০ টাকা। এই ব্যয়ভার স্ব-স্ব ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ খাত হতে মিটাতে হবে এবং প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা বিধিমোতাবেক সরকারি খাত হতে টিএ/ডিএ পাবেন বলে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা না নিয়ে করোনাকালীন তড়িঘড়ি করে ঢাকায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পলিটেকনিক শিক্ষকরা। প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার আগেই প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় দেখাতেই এই আবাসিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয় বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে করোনা আক্রান্ত শিক্ষকদের দু’জন সংবাদকে বলেন, ‘আমরা সরকারি চাকরি করি। এ কারণে এই প্রশিক্ষণের বিরোধিতা করতে পারছি না। করোনা পরিস্থিতি দেশের সবকিছু বন্ধ থাকলেও আমাদের সরাসরি শ্রেণীকক্ষে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কয়েকজন নিজ উদ্যোগেই গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের যুগ্ম-সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মনজুরুল কাদের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রশিক্ষণ পরিচালিত হবে।

‘লকডাউন’ পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজনের বিষয়ে মতামত জানতে মনজুরুল কাদেরের সেল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা ধরেননি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমানউল্লাহ খান ইউসুফজী সংবাদকে বলেন, ‘ট্রেনিং শিক্ষকদের দরকার। কিন্তু করোনা মহামারীতে এই ট্রেনিং নিয়ে সমস্যা। আমরা বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে কারিগরি অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি বিভাগকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। ট্রেনিং নিতে গিয়ে ৫/৭ জন শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কেউ কেউ বাড়িতে চলে গেছেন। কেউ কেউ হোস্টেলেই আইসোলেশনে আছেন।’