অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির অভিযোগে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির জন্য চারটি সেমাই ফ্যাক্টরিকে জরিমানা করা হয়। সম্প্রতি অভিযান পরিচালনা করে এসব জরিমানা করা হয়।

এদিন ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নিত্যপণ্যের বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নিত্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক ও স্থিতিশীল রাখতে এবং ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে সতর্ক করে অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনাকারী টিম। বাজারে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য হ্যান্ড মাইকে সচেতন করা হয়।

ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সেমাই ফ্যাক্টরি, বাজার, সুপারশপ ও ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার ম-ল, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার, মাগফুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার প্রামানিক এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও ওয়ারী এলাকায় অবস্থিত সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনাকালে সেমাই তৈরির ময়দায় তেলাপোকার মলের উপস্থিতি এবং নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির জন্য চারটি সেমাই ফ্যাক্টরিকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

তদারকিকালে ভোজ্যতেল, চাল, পেঁয়াজ, চিনি, স্যানিটাইজার ও মাস্কসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হয়। এছাড়াও পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সঙ্গে বিক্রয় রসিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, অনিবন্ধিত ওষুধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও পণ্য, নকল মাস্ক-স্যানিটাইজার, ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তা স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারাদেশের ৭৮টি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাজার তদারকির পাশাপাশি সারাদেশে টিসিবি কর্তৃক ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম (ট্রাকসেল) পরিদর্শন করা হয়।

শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১ , ২৬ আষাঢ় ১৪২৮ ২৮ জিলক্বদ ১৪৪২

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির অভিযোগে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির জন্য চারটি সেমাই ফ্যাক্টরিকে জরিমানা করা হয়। সম্প্রতি অভিযান পরিচালনা করে এসব জরিমানা করা হয়।

এদিন ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নিত্যপণ্যের বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নিত্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক ও স্থিতিশীল রাখতে এবং ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে সতর্ক করে অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনাকারী টিম। বাজারে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য হ্যান্ড মাইকে সচেতন করা হয়।

ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সেমাই ফ্যাক্টরি, বাজার, সুপারশপ ও ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার ম-ল, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার, মাগফুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার প্রামানিক এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও ওয়ারী এলাকায় অবস্থিত সেমাই ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনাকালে সেমাই তৈরির ময়দায় তেলাপোকার মলের উপস্থিতি এবং নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির জন্য চারটি সেমাই ফ্যাক্টরিকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

তদারকিকালে ভোজ্যতেল, চাল, পেঁয়াজ, চিনি, স্যানিটাইজার ও মাস্কসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হয়। এছাড়াও পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সঙ্গে বিক্রয় রসিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, অনিবন্ধিত ওষুধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও পণ্য, নকল মাস্ক-স্যানিটাইজার, ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তা স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারাদেশের ৭৮টি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাজার তদারকির পাশাপাশি সারাদেশে টিসিবি কর্তৃক ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম (ট্রাকসেল) পরিদর্শন করা হয়।