করোনা মহামারীর কারণে পিছিয়ে পড়ছে ‘শতভাগ বিদ্যুতায়ন’। ‘ইতোমধ্যে ৯৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় এসেছে’, বলছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে অবশিষ্ট এলাকা বাস্তবায়ন নিয়েই জটিলতা।
রাজধানী ছাড়াও দেশের সব জেলা শহর, উপজেলা সদর এবং বেশিরভাগ গ্রামে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আছে প্রত্যন্ত কিছু দ্বীপ ও চরাঞ্চল এবং দুর্গম পাহাড়ি এলাকার কিছু অংশ।
মুজিববর্ষেই ‘শতভাগ বিদ্যুৎ বা সবার ঘরে বিদ্যুৎ’ দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। সময় হাতে ছিল গত ২৬ মার্চ পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্য বাস্তবায়ন হয়নি।
বিদ্যুৎ খাত ছাড়াও মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহীত আরও কিছু সরকারি প্রকল্প বাস্তাবয়নও করোনা মহামারীর কারণে পিছিয়ে যায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গত বছর ডিসেম্বরে মুজিববর্ষের মেয়াদ আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। প্রকল্প বাস্তাবয়নে বিদ্যুৎ বিভাগ আরও নয় মাস হাতে পায়।
রাষ্ট্রীয় ৬টি বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাজধানীর বাইরে চারটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে কাজ করছে। এর মধ্যে নেসকো তাদের বিতরণ এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন করেছে। অন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাজ এখনও চলছে।
মুজিববর্ষ শেষ হতে আর পাঁচ মাস বাকি। শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে মাঠে আছে বিদ্যুৎ বিতরণে নিয়োজিত দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। দেশের বেশিরভাগ জেলা, উপজেলা ও গ্রামে বিদ্যুৎ বিতরণ করে আরইবি। মোট গ্রাহক তিন কোটি ১৬ লাখের বেশি। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর সংখ্যা প্রায় পৌনে এগারো কোটি। প্রতিষ্ঠানটির আওতায় ৮৪ হাজার ৮শ’ গ্রামের মধ্যে ৮৪ হাজার ৫০৭টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ হয়েছে। অর্থাৎ আরইবি তার আওতায় ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ এলাকা বিদ্যুতায়িত করেছে।
চরমোন্তাজ, বঙ্গোপসাগরের প্রত্যন্ত এই চারঞ্চলে এখনও বিদ্যুতের ছোঁয়া লাগেনি। সন্ধ্যা নামলেই চারদিকে গভীর অন্ধকার। নেই সড়কবাতি। পাড়ার রাস্তায় পথ চলার সহযোগী ছোট ছোট ঘরগুলোর ফাঁকফোকর দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসা হারিকেন বা কুপির আলো। চরমোন্তাজসহ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে এখন বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপনের কাজ চলছে।
আরইবি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.) গতকাল বিকেলে সংবাদকে বলেন, ‘আরইবির অবশিষ্ট শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ এলাকা ভোলা ও পটুয়াখালীর চরাঞ্চল। এর মধ্যে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা একটু বেশি দুর্গম। বর্ষার পানি এবং নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় বিদ্যুতের তার নিয়ে অপেক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলেই লাইন টানা শুরু হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আরইবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘মুজিববর্ষের (১৬ ডিসেম্বর) আগেই আরইবির শতভাগ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় আসবে।’ ‘আমাদের বাকি ছিল আড়াই লাখ গ্রাহক। এর মধ্যে ৬ হাজার গ্রাহককে সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে বিদ্যুতায়িত করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২ লাখ ৪৪ হাজার গ্রাহককে গ্রিডের আওতায় আনা হবে।’
এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছানো বাকি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) কিছু এলাকায়। দুর্গম পাহাড়ি এলাকার কিছু অংশ এবং অফগ্রিডে প্রত্যন্ত কয়েকটি দ্বীপ ও চরে বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে।
উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ, তিন দিকে বঙ্গোপসাগর আর পূর্বে কুতুবদিয়া চ্যানেল। মাঝখানে প্রায় ২১৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে সাগরের বুকে ভেসে আছে কুতুবদিয়া দ্বীপ। দেশের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন কক্সবাজারের এই দ্বীপে গ্রিড সংযোগ নেই। গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুতের আলো পৌঁছায়নি হাতিয়া আর নিঝুম দ্বীপেও।
পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘পার্বত্য তিন জেলার দুর্গম পাহাড়ি বসতিগুলোর যেখানে গ্রিড লাইন নেয়া সম্ভব নয়, সেখানে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কাজ চলছে। সন্দ্বীপে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া হয়েছে। একইভাবে অফগ্রিডে কুতুবদিয়া এবং ভোলায় বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে। দ্রুতই এসব প্রকল্প শেষ হবে।’
নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পনি লিমিটেডের (নেসকো) শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়িত হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগের গোদাগাড়ী উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, পবা উপজেলা এবং রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা ও হাতীবান্ধা উপজেলার প্রত্যন্ত এগারোটি চরে প্রায় ৩১ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে ১৩ হাজার ৩৬৬ জন বাসিন্দার আঙিনায় সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে নেসকো শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য অর্জন করেছে।
নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী জাকিউল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। এখন নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ চলছে। যেখানে নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপন বা প্রতিস্থাপন প্রয়োজন, সেটা করা হচ্ছে। উপকেন্দ্র সম্প্রসারণ, বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ভূগর্ভস্থকরণের প্রকল্পও হাতে নেয়া হচ্ছে। সব গ্রাহককে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার দেয়ার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৮০ হাজার মিটার দেয়া হয়েছে। গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে অনলাইন নতুন সংযোগ, কল সেন্টার (১৬৬০৩), ওয়ান স্টপ সার্ভিস, সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট, অনলাইন বিল পেমেন্টের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’
এখনও বিদ্যুৎ পায়নি ভোলার চর মনপুরার বাসিন্দারা। এ বিষয়ে ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রতন কুমার দেবনাথ গতকাল বিকেলে সংবাদকে বলেন, ‘মনপুরা মূল ভূখ- থেকে অনেক দূরে। বিশাল নদী। এখনে গ্রিডে বিদ্যুৎ দেয়ার সুযোগ নেই। আমরা সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে অধিবাসীদের বিদ্যুৎ দেব। এ সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে।’
রাজধানীর উত্তরাঞ্চলে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এবং দক্ষিণাঞ্চল ও নারায়ণগঞ্জের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। পরিসংখ্যান বলছে কোম্পানি দুটো ইতোমধ্যে তাদের আওতায় শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়িত করেছে।
রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১ , ২৭ আষাঢ় ১৪২৮ ২৯ জিলক্বদ ১৪৪২
ফয়েজ আহমেদ তুষার
করোনা মহামারীর কারণে পিছিয়ে পড়ছে ‘শতভাগ বিদ্যুতায়ন’। ‘ইতোমধ্যে ৯৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় এসেছে’, বলছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে অবশিষ্ট এলাকা বাস্তবায়ন নিয়েই জটিলতা।
রাজধানী ছাড়াও দেশের সব জেলা শহর, উপজেলা সদর এবং বেশিরভাগ গ্রামে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আছে প্রত্যন্ত কিছু দ্বীপ ও চরাঞ্চল এবং দুর্গম পাহাড়ি এলাকার কিছু অংশ।
মুজিববর্ষেই ‘শতভাগ বিদ্যুৎ বা সবার ঘরে বিদ্যুৎ’ দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। সময় হাতে ছিল গত ২৬ মার্চ পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্য বাস্তবায়ন হয়নি।
বিদ্যুৎ খাত ছাড়াও মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহীত আরও কিছু সরকারি প্রকল্প বাস্তাবয়নও করোনা মহামারীর কারণে পিছিয়ে যায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গত বছর ডিসেম্বরে মুজিববর্ষের মেয়াদ আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। প্রকল্প বাস্তাবয়নে বিদ্যুৎ বিভাগ আরও নয় মাস হাতে পায়।
রাষ্ট্রীয় ৬টি বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাজধানীর বাইরে চারটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে কাজ করছে। এর মধ্যে নেসকো তাদের বিতরণ এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন করেছে। অন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাজ এখনও চলছে।
মুজিববর্ষ শেষ হতে আর পাঁচ মাস বাকি। শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে মাঠে আছে বিদ্যুৎ বিতরণে নিয়োজিত দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। দেশের বেশিরভাগ জেলা, উপজেলা ও গ্রামে বিদ্যুৎ বিতরণ করে আরইবি। মোট গ্রাহক তিন কোটি ১৬ লাখের বেশি। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর সংখ্যা প্রায় পৌনে এগারো কোটি। প্রতিষ্ঠানটির আওতায় ৮৪ হাজার ৮শ’ গ্রামের মধ্যে ৮৪ হাজার ৫০৭টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ হয়েছে। অর্থাৎ আরইবি তার আওতায় ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ এলাকা বিদ্যুতায়িত করেছে।
চরমোন্তাজ, বঙ্গোপসাগরের প্রত্যন্ত এই চারঞ্চলে এখনও বিদ্যুতের ছোঁয়া লাগেনি। সন্ধ্যা নামলেই চারদিকে গভীর অন্ধকার। নেই সড়কবাতি। পাড়ার রাস্তায় পথ চলার সহযোগী ছোট ছোট ঘরগুলোর ফাঁকফোকর দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসা হারিকেন বা কুপির আলো। চরমোন্তাজসহ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে এখন বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপনের কাজ চলছে।
আরইবি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.) গতকাল বিকেলে সংবাদকে বলেন, ‘আরইবির অবশিষ্ট শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ এলাকা ভোলা ও পটুয়াখালীর চরাঞ্চল। এর মধ্যে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা একটু বেশি দুর্গম। বর্ষার পানি এবং নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় বিদ্যুতের তার নিয়ে অপেক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলেই লাইন টানা শুরু হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আরইবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘মুজিববর্ষের (১৬ ডিসেম্বর) আগেই আরইবির শতভাগ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় আসবে।’ ‘আমাদের বাকি ছিল আড়াই লাখ গ্রাহক। এর মধ্যে ৬ হাজার গ্রাহককে সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে বিদ্যুতায়িত করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২ লাখ ৪৪ হাজার গ্রাহককে গ্রিডের আওতায় আনা হবে।’
এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছানো বাকি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) কিছু এলাকায়। দুর্গম পাহাড়ি এলাকার কিছু অংশ এবং অফগ্রিডে প্রত্যন্ত কয়েকটি দ্বীপ ও চরে বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে।
উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ, তিন দিকে বঙ্গোপসাগর আর পূর্বে কুতুবদিয়া চ্যানেল। মাঝখানে প্রায় ২১৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে সাগরের বুকে ভেসে আছে কুতুবদিয়া দ্বীপ। দেশের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন কক্সবাজারের এই দ্বীপে গ্রিড সংযোগ নেই। গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুতের আলো পৌঁছায়নি হাতিয়া আর নিঝুম দ্বীপেও।
পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘পার্বত্য তিন জেলার দুর্গম পাহাড়ি বসতিগুলোর যেখানে গ্রিড লাইন নেয়া সম্ভব নয়, সেখানে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কাজ চলছে। সন্দ্বীপে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া হয়েছে। একইভাবে অফগ্রিডে কুতুবদিয়া এবং ভোলায় বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে। দ্রুতই এসব প্রকল্প শেষ হবে।’
নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পনি লিমিটেডের (নেসকো) শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়িত হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগের গোদাগাড়ী উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, পবা উপজেলা এবং রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা ও হাতীবান্ধা উপজেলার প্রত্যন্ত এগারোটি চরে প্রায় ৩১ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে ১৩ হাজার ৩৬৬ জন বাসিন্দার আঙিনায় সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে নেসকো শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য অর্জন করেছে।
নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী জাকিউল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। এখন নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ চলছে। যেখানে নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপন বা প্রতিস্থাপন প্রয়োজন, সেটা করা হচ্ছে। উপকেন্দ্র সম্প্রসারণ, বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ভূগর্ভস্থকরণের প্রকল্পও হাতে নেয়া হচ্ছে। সব গ্রাহককে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার দেয়ার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৮০ হাজার মিটার দেয়া হয়েছে। গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে অনলাইন নতুন সংযোগ, কল সেন্টার (১৬৬০৩), ওয়ান স্টপ সার্ভিস, সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট, অনলাইন বিল পেমেন্টের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’
এখনও বিদ্যুৎ পায়নি ভোলার চর মনপুরার বাসিন্দারা। এ বিষয়ে ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রতন কুমার দেবনাথ গতকাল বিকেলে সংবাদকে বলেন, ‘মনপুরা মূল ভূখ- থেকে অনেক দূরে। বিশাল নদী। এখনে গ্রিডে বিদ্যুৎ দেয়ার সুযোগ নেই। আমরা সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে অধিবাসীদের বিদ্যুৎ দেব। এ সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে।’
রাজধানীর উত্তরাঞ্চলে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এবং দক্ষিণাঞ্চল ও নারায়ণগঞ্জের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। পরিসংখ্যান বলছে কোম্পানি দুটো ইতোমধ্যে তাদের আওতায় শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়িত করেছে।