লিওনেল মেসির হাত ধরে ২৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। ট্রফি এল আর্জেন্টিনায়। তাদের কোপা আমেরিকা শুরু হয়েছিল দিয়েগো ম্যারাডোনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। আলোর খেলায় আর্জেন্টিনার মহাতারকাকে যেন আক্ষরিক অর্থেই মাঠে নামিয়ে আনা হয়েছিল। বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমীকে দৃশ্য মুগ্ধ করেছিল।
ম্যারাডোনাও যেন আলোকবর্ষ দূর থেকে সাক্ষী থেকে ছিলেন সেই ভালোবাসার। তিনিও যেন চেয়েছিলেন এবারের কোপা আসুক তার দেশেই। রোববার সকালে কোপা আমেরিকা ফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়েলিওনেল মেসি হাতে ট্রফিটা নিয়ে এক বার আকাশের দিকে তাকালেন। যেন ম্যারাডোনার উদ্দেশে বললেন, ‘পেরেছি।’ হ্যাঁ পেরেছেন তিনি। পেরেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপসহ বহু সাফল্যের অধিকারী ম্যারাডোনা কখনও কোপা আমেরিকা জিততে পারেননি। বিশ্ব জয় করলেও ল্যাটিন আমেরিকা আর জয় করা হয়ে ওঠেনি। সেই ট্রফি ছুঁলেন লিওনেল মেসি।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর ৪ জুন প্রথম মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের সেই ম্যাচে মেসিদের জার্সিতে ছিল ম্যারাডোনার ছবি। ঠিক বুকের মাঝখানে ম্যারাডোনা, নীচে লেখা ‘১৯৬০ থেকে চির দিন।’
সত্যিই চির দিন থাকবেন ম্যারাডোনা। রোববার কোপা আমেরিকার টুইটারে একটা ছবি দেখা গেল। ট্রফি হাতে মেসি আর যেন ওপর থেকে তার জন্য গলা ফাটাচ্ছেন ম্যারাডোনা। টুইটে লেখা, ‘সব সময় তোমায় উৎসাহ দিয়ে যাব।’
এমনই তো ছিলেন ম্যারাডোনা। খেলা ছাড়ার পরেও দেশের জন্য গলা ফাটিয়েছেন। সব সময় উৎসাহ দিতে দেখা গিয়েছে তাকে। মেসিদের ম্যাচে গ্যালারিতে থাকতেন তিনি। আজও হয়তো আছেন।
দেশের জার্সিতে মেসির শাপমুক্তি, কোপা জিতল আর্জেন্টিনা, মারাকানায় নেইমারের স্বপ্ন অধরা।
গত বছর ২৫ নভেম্বর ম্যারাডোনার মৃত্যু হয়। শোকাচ্ছান্ন হয় ফুটবল বিশ্ব। মেসিও যেন হারিয়ে ফেলেন তার মহানায়কে। সত্যিই কি তিনি নেই? ওয়েবসাইট।
সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১ , ২৮ আষাঢ় ১৪২৮ ১ জিলহজ্জ ১৪৪২
সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক
লিওনেল মেসির হাত ধরে ২৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। ট্রফি এল আর্জেন্টিনায়। তাদের কোপা আমেরিকা শুরু হয়েছিল দিয়েগো ম্যারাডোনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। আলোর খেলায় আর্জেন্টিনার মহাতারকাকে যেন আক্ষরিক অর্থেই মাঠে নামিয়ে আনা হয়েছিল। বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমীকে দৃশ্য মুগ্ধ করেছিল।
ম্যারাডোনাও যেন আলোকবর্ষ দূর থেকে সাক্ষী থেকে ছিলেন সেই ভালোবাসার। তিনিও যেন চেয়েছিলেন এবারের কোপা আসুক তার দেশেই। রোববার সকালে কোপা আমেরিকা ফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়েলিওনেল মেসি হাতে ট্রফিটা নিয়ে এক বার আকাশের দিকে তাকালেন। যেন ম্যারাডোনার উদ্দেশে বললেন, ‘পেরেছি।’ হ্যাঁ পেরেছেন তিনি। পেরেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপসহ বহু সাফল্যের অধিকারী ম্যারাডোনা কখনও কোপা আমেরিকা জিততে পারেননি। বিশ্ব জয় করলেও ল্যাটিন আমেরিকা আর জয় করা হয়ে ওঠেনি। সেই ট্রফি ছুঁলেন লিওনেল মেসি।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর ৪ জুন প্রথম মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের সেই ম্যাচে মেসিদের জার্সিতে ছিল ম্যারাডোনার ছবি। ঠিক বুকের মাঝখানে ম্যারাডোনা, নীচে লেখা ‘১৯৬০ থেকে চির দিন।’
সত্যিই চির দিন থাকবেন ম্যারাডোনা। রোববার কোপা আমেরিকার টুইটারে একটা ছবি দেখা গেল। ট্রফি হাতে মেসি আর যেন ওপর থেকে তার জন্য গলা ফাটাচ্ছেন ম্যারাডোনা। টুইটে লেখা, ‘সব সময় তোমায় উৎসাহ দিয়ে যাব।’
এমনই তো ছিলেন ম্যারাডোনা। খেলা ছাড়ার পরেও দেশের জন্য গলা ফাটিয়েছেন। সব সময় উৎসাহ দিতে দেখা গিয়েছে তাকে। মেসিদের ম্যাচে গ্যালারিতে থাকতেন তিনি। আজও হয়তো আছেন।
দেশের জার্সিতে মেসির শাপমুক্তি, কোপা জিতল আর্জেন্টিনা, মারাকানায় নেইমারের স্বপ্ন অধরা।
গত বছর ২৫ নভেম্বর ম্যারাডোনার মৃত্যু হয়। শোকাচ্ছান্ন হয় ফুটবল বিশ্ব। মেসিও যেন হারিয়ে ফেলেন তার মহানায়কে। সত্যিই কি তিনি নেই? ওয়েবসাইট।