এখন গ্রামের মানুষের সংক্রমণ হার বেশি স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকানো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে সঠিক চিকিৎসা দেয়া। সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য অন্যসব মন্ত্রণালয় কাজ করছে। দেড় বছর অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করছি। এখন আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সরকারের ঘোষিত লকডাউন মানতে হবে। গ্রামের হাট-বাজার, চায়ের দোকানে মানুষের আড্ডা বন্ধ করতে হবে। গ্রামের মানুষের ধারণা ছিল তাদের করোনা হবে না। কিন্তু এখন গ্রামের মানুষের করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। সারাদেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মনিটরিং কমিটিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে লাল পতাকা উঠানোর পাশাপাশি সচেতনেতার জন্য নিয়মিত মাইকিং করতে হবে। সচেতনতার অভাবে আমরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছি। জ্বর-কাশি নিয়ে অবহেলা করা যাবে না। করোনা টেস্ট নিয়ে অনেকের অনাগ্রহ রয়েছে। করোনা টেস্ট বাড়াতে হবে।

গতকাল সন্ধ্যায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মানিকগঞ্জের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও গণ্যমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান, মমতাজ বেগম, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন প্রমুখ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে স্বাস্থ্য বিভাগে ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান মিলিয়ে ৫০ হাজার লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরও ডাক্তার নার্স নিয়োগ দেয়ার জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। করোনার কারণে নন কভিড রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আমরা সচেতন না হলে হাসপাতালের বেড বাড়িয়েও কূল পাওয়া যাবে না। সারাদেশে করোনার রোগীর জন্য ১৬ হাজার বেড রয়েছে। এখন ৯০ ভাগ বেডে রোগী আছে। ভ্যাকসিন আনার জন্য আমরা সব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। চলতি মাসে এক কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে ও আগামী মাসে আরও এক কোটি ভ্যাকসিন আসবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ সময় মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালকে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেট হাসপাতাল ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১ , ২৯ আষাঢ় ১৪২৮ ২ জিলহজ্জ ১৪৪২

এখন গ্রামের মানুষের সংক্রমণ হার বেশি স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকানো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে সঠিক চিকিৎসা দেয়া। সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য অন্যসব মন্ত্রণালয় কাজ করছে। দেড় বছর অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করছি। এখন আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সরকারের ঘোষিত লকডাউন মানতে হবে। গ্রামের হাট-বাজার, চায়ের দোকানে মানুষের আড্ডা বন্ধ করতে হবে। গ্রামের মানুষের ধারণা ছিল তাদের করোনা হবে না। কিন্তু এখন গ্রামের মানুষের করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। সারাদেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মনিটরিং কমিটিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে লাল পতাকা উঠানোর পাশাপাশি সচেতনেতার জন্য নিয়মিত মাইকিং করতে হবে। সচেতনতার অভাবে আমরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছি। জ্বর-কাশি নিয়ে অবহেলা করা যাবে না। করোনা টেস্ট নিয়ে অনেকের অনাগ্রহ রয়েছে। করোনা টেস্ট বাড়াতে হবে।

গতকাল সন্ধ্যায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মানিকগঞ্জের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও গণ্যমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান, মমতাজ বেগম, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন প্রমুখ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে স্বাস্থ্য বিভাগে ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান মিলিয়ে ৫০ হাজার লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরও ডাক্তার নার্স নিয়োগ দেয়ার জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। করোনার কারণে নন কভিড রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আমরা সচেতন না হলে হাসপাতালের বেড বাড়িয়েও কূল পাওয়া যাবে না। সারাদেশে করোনার রোগীর জন্য ১৬ হাজার বেড রয়েছে। এখন ৯০ ভাগ বেডে রোগী আছে। ভ্যাকসিন আনার জন্য আমরা সব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। চলতি মাসে এক কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে ও আগামী মাসে আরও এক কোটি ভ্যাকসিন আসবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ সময় মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালকে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেট হাসপাতাল ঘোষণা করেন।