ইতালি ইউরো চ্যাম্পিয়ন হৃদয় ভাঙল ইংল্যান্ডের

ওয়েম্বলিতে ইউরো ফাইনালে শেষ হাসিটা হাসলেন ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনি। দীঘল চেহারার গোলকিপার ডোনারুমার হাত ধরেই স্বপ্নপূরণ ৫৬ বছর বয়সি কোচের। ৫৩ বছর পর ইউরো কাপ জিতল ইতালি। অন্যদিকে এবারও ভাগ্য সহায় হল না ইংল্যান্ডের। নিজেদের মাঠে পেনাল্টি শুট আউটে তিনজন তারকা গোল করতে না পারায় হৃদয় ভাঙল গ্যারেথ সাউথগেটের।

টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ইতালি ইউরো-২০২০ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হলে টাইব্রেকারে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করা হয়। টাইব্রেকারে দুটি শট বাঁচিয়ে দিয়ে ইতালির জয় নায়ক গোলরক্ষক ডোনারুমা। তিনি স্যানচো এবং সাকার শট বাঁচিয়ে দেন। র‌্যাসফোর্ড মারেন বাইরে। দুটি শট বাঁচিয়েছিলেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডও। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। ইউরোর শিরোপা অধরাই রয়ে যায় ইংলিশদের। ইতালি ১৯৬৮ সালের পর জেতে প্রথম ইউরো। ইংলিশ সমর্থকদের নিস্তব্ধ করে দিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে ইতালিয়ানরা। মাঠে উপস্থিত স্বল্প সংখ্যক ইতালির সমর্থকদের কাছে গিয়ে আনন্দ করেন খেলোয়াড়রা।

টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন, হ্যারি ম্যাগুইর গোল করেন। ইতালির হয়ে গোল করেন ডোমেনিকো বেরার্দি, লেনার্দো বানুচ্চি, ফেডেরিকো বার্নাদেশি। টাইব্রেকারে ব্যর্থ হন ইংল্যান্ডের মার্কাস র‌্যাসফোর্ড, জর্ডান স্যানচো এবং বাকায়াকো সাকা  এবং ইতালির আন্দ্রে বেলোতি, জর্জিনহোর শট বাঁচিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ইতালির গোলরক্ষক ডোনারুমা। খেলা শুরুর দুই মিনিটের মধ্যেই লুক শ’র গোলে লিড নেয় ইংল্যান্ড। বলা যায় ম্যাচের প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল করে ইংল্যান্ড। পেনাল্টি বক্সের ভেতরে হ্যারি কেইনের পাস থেকে বল নিয়ে গোলটি করেন শ। তখন মনে হচ্ছিল নিজ দর্শকদের সামনেই ট্রফি জিততে যাচ্ছে স্বাগতিকরা। কারণ গোল করার পর তারা আরও বেশি আত্মবিশ^াসী হয়ে ওঠে এবং প্রথমার্ধে দাপটের সঙ্গেই খেলে। প্রথমার্ধে ইতালি গোল করার মতো বিশেষ কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। তারপরেও শুরুর দিকে গোল খাওয়ায় ইতালির সুযোগ ছিল সেটি পরিশোধ করার। তারা সফল হয় ৬৭ মিনিটে। কর্নার কিক থেকে পেনাল্টি বক্সে উড়ে আসা বল ইংলিশ ডিফেন্ডাররা ঠিক মতো ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে গোল করতে সমর্থ হন বানুচ্চি। ইউরোর ফাইনালে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে গোলের কৃতিত্ব অর্জন করেন বানুচ্চি। ম্যাচ খেলার সময়ে তার বয়স ছিল ৩৪ বছর ৭১ দিন। এর আগে ১৯৭৬ সালে বার্ন হজেলবেইন ৩০ বছর ১০৩ দিন বয়সে গোল করে আগের রেকর্ডটি করেছিলেন। এ গোল আরও বেশি আত্মবিশ^াসী করে তোলে ইতালিকে তারা আক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের আক্রমণের ধার বাড়াতে ট্রিপিয়ারকে তুলে মাঠে নামানো হয় দ্রুত গতি সম্পন্ন খেলোয়াড় বাকায়াকো শাকাকে। ৭৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইতালি। লম্বা লবে গোলরক্ষককের সামনে গিয়ে ভলি নিয়েছিলেন বেরার্দি। কিন্তু ঠিকমতো পোস্টে রাখতে পারেননি। সেটি চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। অবশ্য গোল করার আগে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন ইতালির ফেডেরিকো কিয়েসা। তার প্রচেষ্টা রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে ইংল্যান্ড আবার প্রাধান্য বিস্তার করে কিন্তু গোল করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। কিয়েলিনির নেতৃত্বাধীন ইতালির রক্ষণভাগ বেশ দৃঢ়তার সঙ্গেই ইংলিশ আক্রমণগুলো রুখে দেন। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই ইনসিগনের বদলে ইতালি মাঠে নামায় বেলোতিকে। এরপর ভেরাতিকে তুলে নামানো হয় লোকাটেলিকে। মূলত আক্রমণের গতি বাড়ানোই এর লক্ষ্য। অতিরিক্ত সময়ের শুরুর দিকে উভয় দলই বেশ সতর্ক ছিল। ইংল্যান্ড কোচও আনেন পরিবর্তন। তিনি মাঠে নামান জ্যাক গ্রেলিশকে ম্যাসন মাউন্টের পরিবর্তে। ১০৩ মিনিটের মাথায় ইতালি একটি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। বাম দিক দিয়ে বল নিয়ে গিয়ে সুন্দর একটি ক্রস করেছিলেন বেলোতি। কিন্তু ইতালির কেউই বলে পায়ে সংযোগ ঘটাতে পারেননি। অতিরিক্ত সময়ের খেলা ছিল কিছুটা গতিহীন। খেলোয়াড়দের ক্লান্তিই হয়তো এর কারণ। ১০৭ মিনিটে ফেডেরিকো বার্নাদেশির ফ্রি কিকের বল পিকফোর্ড ঠিকমতো ধরতে না পারলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় তিনি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিলে বিপদ হয়নি ইংল্যান্ডের। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দলই আক্রমণের চেষ্টা চালায়। তবে ইংলিশদের প্রাধান্য ছিল কিছুটা বেশি। কোনভাবে গোল খাওয়া যাবে না এমন মানসিকতার কারণেই ইতালি বলতে গেলে নিজেদের অর্ধেই নেমে যায়। ইংল্যান্ড অবশ্য সতর্ক ছিল কাউন্টার অ্যাটাকের ব্যাপারে। তাদের খেলার স্টাইল দেখে মনে হয় টাইব্রেকারই তারা ফল নির্ধারণের জন্য চাচ্ছে। ইতালি শেষ পরিবর্তনটা করে ১১৮ মিনিটের মাথায়। মাঠে নামানো হয় এমারসনকে এবং তুলে নেয়া হয় ফ্লোরেঞ্জিকে। শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে ইংল্যান্ড জোড়া পরিবর্তন আনে। তারা মাঠে নামায় র‌্যাসফোর্ড এবং স্যানচোকে। তুলে নেয়া হয় হেন্ডারসন ও কাইল ম্যাচ শেষে শিষ্যদের সঙ্গে শিরোপা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কোচ মানচিনিও। এ সময় অধিনায়ক জিওর্জিও চিলিয়ানি শিরোপা উচিয়ে ধরেন। আর শিষ্যদের সঙ্গে বিজয় আনন্দে যুক্ত হন তিনি।

মানচিনি বলেন, ‘এক পর্যায়ে শিরোপা জয়ের বিষয়টি অসম্ভব বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু ছেলেরা অসাধরণ কাজ করেছে। তাদের বিষয়ে আমার আর কিছুই বলার নেই।’

অন্যদিকে ১৯৯০, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ২০০৪ এবং ২০১২ সালে বড় আসরে এই টাইব্রেকারই কাল হয়েছে ইংলিশদের জন্য। শুধুমাত্র ২০১৮ অনুষ্ঠিত বিশ^কাপের শেষ ষোলতে টাইব্রেকারে কলম্বিয়াকে হারাতে সক্ষম হয়েছিল সাউথ গেটের শিষ্যরা। তবে রোববার থেকে সেই ব্যর্থতার জ্বালা আবারো অনুভব করতে শুরু করেছে ইংলিশ ভক্তরা।

মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১ , ২৯ আষাঢ় ১৪২৮ ২ জিলহজ্জ ১৪৪২

ইতালি ইউরো চ্যাম্পিয়ন হৃদয় ভাঙল ইংল্যান্ডের

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

ওয়েম্বলিতে ইউরো ফাইনালে শেষ হাসিটা হাসলেন ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনি। দীঘল চেহারার গোলকিপার ডোনারুমার হাত ধরেই স্বপ্নপূরণ ৫৬ বছর বয়সি কোচের। ৫৩ বছর পর ইউরো কাপ জিতল ইতালি। অন্যদিকে এবারও ভাগ্য সহায় হল না ইংল্যান্ডের। নিজেদের মাঠে পেনাল্টি শুট আউটে তিনজন তারকা গোল করতে না পারায় হৃদয় ভাঙল গ্যারেথ সাউথগেটের।

টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ইতালি ইউরো-২০২০ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হলে টাইব্রেকারে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করা হয়। টাইব্রেকারে দুটি শট বাঁচিয়ে দিয়ে ইতালির জয় নায়ক গোলরক্ষক ডোনারুমা। তিনি স্যানচো এবং সাকার শট বাঁচিয়ে দেন। র‌্যাসফোর্ড মারেন বাইরে। দুটি শট বাঁচিয়েছিলেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডও। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। ইউরোর শিরোপা অধরাই রয়ে যায় ইংলিশদের। ইতালি ১৯৬৮ সালের পর জেতে প্রথম ইউরো। ইংলিশ সমর্থকদের নিস্তব্ধ করে দিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে ইতালিয়ানরা। মাঠে উপস্থিত স্বল্প সংখ্যক ইতালির সমর্থকদের কাছে গিয়ে আনন্দ করেন খেলোয়াড়রা।

টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন, হ্যারি ম্যাগুইর গোল করেন। ইতালির হয়ে গোল করেন ডোমেনিকো বেরার্দি, লেনার্দো বানুচ্চি, ফেডেরিকো বার্নাদেশি। টাইব্রেকারে ব্যর্থ হন ইংল্যান্ডের মার্কাস র‌্যাসফোর্ড, জর্ডান স্যানচো এবং বাকায়াকো সাকা  এবং ইতালির আন্দ্রে বেলোতি, জর্জিনহোর শট বাঁচিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ইতালির গোলরক্ষক ডোনারুমা। খেলা শুরুর দুই মিনিটের মধ্যেই লুক শ’র গোলে লিড নেয় ইংল্যান্ড। বলা যায় ম্যাচের প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল করে ইংল্যান্ড। পেনাল্টি বক্সের ভেতরে হ্যারি কেইনের পাস থেকে বল নিয়ে গোলটি করেন শ। তখন মনে হচ্ছিল নিজ দর্শকদের সামনেই ট্রফি জিততে যাচ্ছে স্বাগতিকরা। কারণ গোল করার পর তারা আরও বেশি আত্মবিশ^াসী হয়ে ওঠে এবং প্রথমার্ধে দাপটের সঙ্গেই খেলে। প্রথমার্ধে ইতালি গোল করার মতো বিশেষ কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। তারপরেও শুরুর দিকে গোল খাওয়ায় ইতালির সুযোগ ছিল সেটি পরিশোধ করার। তারা সফল হয় ৬৭ মিনিটে। কর্নার কিক থেকে পেনাল্টি বক্সে উড়ে আসা বল ইংলিশ ডিফেন্ডাররা ঠিক মতো ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে গোল করতে সমর্থ হন বানুচ্চি। ইউরোর ফাইনালে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে গোলের কৃতিত্ব অর্জন করেন বানুচ্চি। ম্যাচ খেলার সময়ে তার বয়স ছিল ৩৪ বছর ৭১ দিন। এর আগে ১৯৭৬ সালে বার্ন হজেলবেইন ৩০ বছর ১০৩ দিন বয়সে গোল করে আগের রেকর্ডটি করেছিলেন। এ গোল আরও বেশি আত্মবিশ^াসী করে তোলে ইতালিকে তারা আক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের আক্রমণের ধার বাড়াতে ট্রিপিয়ারকে তুলে মাঠে নামানো হয় দ্রুত গতি সম্পন্ন খেলোয়াড় বাকায়াকো শাকাকে। ৭৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইতালি। লম্বা লবে গোলরক্ষককের সামনে গিয়ে ভলি নিয়েছিলেন বেরার্দি। কিন্তু ঠিকমতো পোস্টে রাখতে পারেননি। সেটি চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে। অবশ্য গোল করার আগে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন ইতালির ফেডেরিকো কিয়েসা। তার প্রচেষ্টা রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে ইংল্যান্ড আবার প্রাধান্য বিস্তার করে কিন্তু গোল করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। কিয়েলিনির নেতৃত্বাধীন ইতালির রক্ষণভাগ বেশ দৃঢ়তার সঙ্গেই ইংলিশ আক্রমণগুলো রুখে দেন। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই ইনসিগনের বদলে ইতালি মাঠে নামায় বেলোতিকে। এরপর ভেরাতিকে তুলে নামানো হয় লোকাটেলিকে। মূলত আক্রমণের গতি বাড়ানোই এর লক্ষ্য। অতিরিক্ত সময়ের শুরুর দিকে উভয় দলই বেশ সতর্ক ছিল। ইংল্যান্ড কোচও আনেন পরিবর্তন। তিনি মাঠে নামান জ্যাক গ্রেলিশকে ম্যাসন মাউন্টের পরিবর্তে। ১০৩ মিনিটের মাথায় ইতালি একটি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। বাম দিক দিয়ে বল নিয়ে গিয়ে সুন্দর একটি ক্রস করেছিলেন বেলোতি। কিন্তু ইতালির কেউই বলে পায়ে সংযোগ ঘটাতে পারেননি। অতিরিক্ত সময়ের খেলা ছিল কিছুটা গতিহীন। খেলোয়াড়দের ক্লান্তিই হয়তো এর কারণ। ১০৭ মিনিটে ফেডেরিকো বার্নাদেশির ফ্রি কিকের বল পিকফোর্ড ঠিকমতো ধরতে না পারলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় তিনি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিলে বিপদ হয়নি ইংল্যান্ডের। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দলই আক্রমণের চেষ্টা চালায়। তবে ইংলিশদের প্রাধান্য ছিল কিছুটা বেশি। কোনভাবে গোল খাওয়া যাবে না এমন মানসিকতার কারণেই ইতালি বলতে গেলে নিজেদের অর্ধেই নেমে যায়। ইংল্যান্ড অবশ্য সতর্ক ছিল কাউন্টার অ্যাটাকের ব্যাপারে। তাদের খেলার স্টাইল দেখে মনে হয় টাইব্রেকারই তারা ফল নির্ধারণের জন্য চাচ্ছে। ইতালি শেষ পরিবর্তনটা করে ১১৮ মিনিটের মাথায়। মাঠে নামানো হয় এমারসনকে এবং তুলে নেয়া হয় ফ্লোরেঞ্জিকে। শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে ইংল্যান্ড জোড়া পরিবর্তন আনে। তারা মাঠে নামায় র‌্যাসফোর্ড এবং স্যানচোকে। তুলে নেয়া হয় হেন্ডারসন ও কাইল ম্যাচ শেষে শিষ্যদের সঙ্গে শিরোপা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কোচ মানচিনিও। এ সময় অধিনায়ক জিওর্জিও চিলিয়ানি শিরোপা উচিয়ে ধরেন। আর শিষ্যদের সঙ্গে বিজয় আনন্দে যুক্ত হন তিনি।

মানচিনি বলেন, ‘এক পর্যায়ে শিরোপা জয়ের বিষয়টি অসম্ভব বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু ছেলেরা অসাধরণ কাজ করেছে। তাদের বিষয়ে আমার আর কিছুই বলার নেই।’

অন্যদিকে ১৯৯০, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ২০০৪ এবং ২০১২ সালে বড় আসরে এই টাইব্রেকারই কাল হয়েছে ইংলিশদের জন্য। শুধুমাত্র ২০১৮ অনুষ্ঠিত বিশ^কাপের শেষ ষোলতে টাইব্রেকারে কলম্বিয়াকে হারাতে সক্ষম হয়েছিল সাউথ গেটের শিষ্যরা। তবে রোববার থেকে সেই ব্যর্থতার জ্বালা আবারো অনুভব করতে শুরু করেছে ইংলিশ ভক্তরা।