ছাতকে শনাক্তের হার ৬০ অক্সিজেন সংকটে উদ্বেগ

৩৫ জনের নমুনায় শনাক্ত ২১

ছাতকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে দ্রুত করোনার বিস্তৃতি লাভের কারণে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৫ জুলাই পর্যন্ত এখানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬২ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১২ জন। তবে সুধীজনের মতে, এখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি।

নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮৯২ জনের। এর মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৪ হাজার ৮২৮ জনের। এন্টিজেন নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৮০ জনের। নমুনার পজিটিভ সংখ্যা ২ জন। করোনায় আক্রান্ত ৬১৯ জন ইতোমধ্যে সুস্থতা লাভ করেছেন। আইসোলেশনে রয়েছেন ৩১ জন। হাসপাতালের অধীনে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭ হাজার ২৬ জন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৪ হাজার ৮২৫ জন। ভ্যাক্সিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৮ হাজার ২৫৪ জন। গত ৬ জুলাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এদিকে উপজেলাজুড়ে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৬৫ শতাংশ জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। জ্বরে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীই করোনা পরীক্ষা ও হাসপাতালে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে। যারা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে তারাও আবার করোনা পরীক্ষা করতে খুব একটা আগ্রহী নয়।

জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি গ্রামে এমন ঘর কমই আছে যে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত রোগী নেই। অধিকাংশ রোগীই গ্রামের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে তা সেবন করছে। এসব রোগী করোনা শনাক্ত হলে সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে করোনা পরীক্ষা কিংবা হাসপাতালে যাচ্ছে না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহে গড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের অধিকাংশই জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে কারও কারও শ্বাসকষ্টও রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজীব চক্রবর্তী জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধা বেড নেই। সেন্ট্রাল অক্সিজেন মজুদও নেই। অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ২৩ টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৫ জনের। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ২১ জনের। আক্রান্তের হার ৬০ শতাংশ।

বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৮ ৩ জিলহজ্জ ১৪৪২

ছাতকে শনাক্তের হার ৬০ অক্সিজেন সংকটে উদ্বেগ

৩৫ জনের নমুনায় শনাক্ত ২১

প্রতিনিধি, ছাতক (সুনামগঞ্জ)

ছাতকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে দ্রুত করোনার বিস্তৃতি লাভের কারণে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৫ জুলাই পর্যন্ত এখানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬২ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১২ জন। তবে সুধীজনের মতে, এখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি।

নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮৯২ জনের। এর মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৪ হাজার ৮২৮ জনের। এন্টিজেন নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৮০ জনের। নমুনার পজিটিভ সংখ্যা ২ জন। করোনায় আক্রান্ত ৬১৯ জন ইতোমধ্যে সুস্থতা লাভ করেছেন। আইসোলেশনে রয়েছেন ৩১ জন। হাসপাতালের অধীনে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭ হাজার ২৬ জন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৪ হাজার ৮২৫ জন। ভ্যাক্সিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৮ হাজার ২৫৪ জন। গত ৬ জুলাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এদিকে উপজেলাজুড়ে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৬৫ শতাংশ জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। জ্বরে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীই করোনা পরীক্ষা ও হাসপাতালে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে। যারা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে তারাও আবার করোনা পরীক্ষা করতে খুব একটা আগ্রহী নয়।

জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি গ্রামে এমন ঘর কমই আছে যে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত রোগী নেই। অধিকাংশ রোগীই গ্রামের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে তা সেবন করছে। এসব রোগী করোনা শনাক্ত হলে সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে করোনা পরীক্ষা কিংবা হাসপাতালে যাচ্ছে না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহে গড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের অধিকাংশই জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে কারও কারও শ্বাসকষ্টও রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজীব চক্রবর্তী জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধা বেড নেই। সেন্ট্রাল অক্সিজেন মজুদও নেই। অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ২৩ টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৫ জনের। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ২১ জনের। আক্রান্তের হার ৬০ শতাংশ।