সংক্রমণ হার কিছুটা কমেছে

এক সপ্তাহে সাড়ে ১৪শ’ মৃত্যু

দেশে করোনা সংক্রমণে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিন ধরেই দুইশ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হলো করোনায়। আর গত এক সপ্তাহে করোনায় দেশে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানী হয়েছে। এক সপ্তাহে করোনায় এক হাজার ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ হাজার ১৯৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগের দিন রেকর্ড ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এই দু’দিনে নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত তিনদিনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, করোনা শনাক্তের সংখ্যা ও মৃত্যু বাড়তির দিকে থাকলেও সংক্রমণের হার ওঠা-নামা করছে। চলতি সপ্তাহেই সংক্রমণের হার কমতে শুরু করবে বলে আশা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা বেশি হলেও নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশ। ১১ জুলাই সংক্রমণের হার ছিল ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

সপ্তাহব্যাপী মৃত্যুর মিছিল

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বিকেলে বলা হয়, সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রথম দুইশ’ ছাড়িয়ে যায় গত ৭ জুলাই। ওইদিন ২০১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৭ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত এক সপ্তাহে মৃত্যুর মিছিলে প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজার ৪৫০ জন।

এর মধ্যে ৮ জুলাই ১৯৯ জন, ৯ জুলাই ২১২ জন, ১০ জুলাই ১৮৫ জন, ১১ জুলাই ২৩০ জন ও ১২ জুলাই ২২০ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সর্বশেষ একদিনে মারা যাওয়া ২০৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ হাজার ৮৪২ জনে।

সংক্রমণের হার কমছে ঢাকায়

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ হিসাবে, ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১৭ হাজার ৮০৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় চার হাজার ৭২৯ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। ঢাকা বিভাগে শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আগের দিন এই বিভাগে ছয় হাজার ৪১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং সংক্রমণের হার ছিল ৩১ দশমিক ২৬ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মহানগরসহ ঢাকা জেলায় ১৩ হাজার ৫৫৯টি নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ২০১ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। ঢাকায় সংক্রমণের হার ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। আগের দিন ঢাকায় পাঁচ হাজার দুই জনের করোনা শনাক্ত হয়, শনাক্তের হার ছিল ৩০ দশমিক ৪২ শতাংশ।

ঢাকা ছাড়াও ময়মনসিংহ, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে সংক্রমণ কমেছে। বাকি চার বিভাগেও গত দুদিনে সংক্রমণ খুব একটা বাড়েনি। তবে শনাক্ত কমছে।

ময়মনসিংহ বিভাগে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৭৩৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৫০৬ জনের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া যায়। শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের দিন ময়মনসিংহে ৫০০ জনের করোনা শনাক্ত এবং শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ২১ শতাংশ।

চট্টগ্রামে একদিনে ছয় হাজার ৫৮৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় দুই হাজার ৩৪৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আগের দিন চট্টগ্রামে দুই হাজার ৩১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়, আর সংক্রমণের হার ছিল ৩৪ দশমিক ১০ শতাংশ।

রাজশাহী বিভাগে গত একদিনে পাঁচ হাজার ১৪৫টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার আটজনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগের দিন রাজশাহীতে এক হাজার ৩৩৯ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়, আর সংক্রমণের হার ছিল ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

রংপুর বিভাগে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯০০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে ৬০৫ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ৩১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আগের দিন রংপুরে ৬১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়, শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

খুলনা বিভাগে একদিনে পাঁচ হাজার ২২০টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৫৮৮ জনের দেহে জীবাণু পাওয়া গেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৪২ শতাংশ। আগের দিন খুলনায় এক হাজার ৬৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং সংক্রমণের হার ছিল ২৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

বরিশাল বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৬৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৭৯ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ। আগের দিন বরিশালে ৫৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং সংক্রমণের হার ছিল ৪৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

সিলেট বিভাগে একদিনে এক হাজার ২৯৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ৫৪০ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ৪১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আগের দিন সিলেট বিভাগে ৩৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং সংক্রমণের হার ছিল ৩৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

মোট শনাক্ত রোগীও প্রায় সাড়ে দশ লাখ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৬২৭টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১ হাজার ৭৫৫টি। এ নিয়ে দেশে মোট করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭০ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৯টি।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ১৯৮ জনের। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো দশ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৫ জনে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।

গত একদিনে মারা যাওয়া ২০৩ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩২ জন ও নারী ৭১ জন। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৭৮২ জন এবং নারী পাঁচ হাজার ৬০ জন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১১৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। অন্যদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন এবং ১২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

গত একদিনে সবচেয়ে বেশি ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। অন্য বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রামে ৩০ জন, রাজশাহীতে ২৭ জন, খুলনায় ৫৩ জন, বরিশাল ও সিলেটে পাঁচজন করে, রংপুরে ১৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে মারা যাওয়া ২০৩ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৫৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৪ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ১৪ জন।

বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১ , ৩০ আষাঢ় ১৪২৮ ৩ জিলহজ্জ ১৪৪২

সংক্রমণ হার কিছুটা কমেছে

এক সপ্তাহে সাড়ে ১৪শ’ মৃত্যু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দেশে করোনা সংক্রমণে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিন ধরেই দুইশ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হলো করোনায়। আর গত এক সপ্তাহে করোনায় দেশে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানী হয়েছে। এক সপ্তাহে করোনায় এক হাজার ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ হাজার ১৯৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগের দিন রেকর্ড ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এই দু’দিনে নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত তিনদিনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, করোনা শনাক্তের সংখ্যা ও মৃত্যু বাড়তির দিকে থাকলেও সংক্রমণের হার ওঠা-নামা করছে। চলতি সপ্তাহেই সংক্রমণের হার কমতে শুরু করবে বলে আশা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা বেশি হলেও নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশ। ১১ জুলাই সংক্রমণের হার ছিল ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

সপ্তাহব্যাপী মৃত্যুর মিছিল

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বিকেলে বলা হয়, সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রথম দুইশ’ ছাড়িয়ে যায় গত ৭ জুলাই। ওইদিন ২০১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৭ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত এক সপ্তাহে মৃত্যুর মিছিলে প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজার ৪৫০ জন।

এর মধ্যে ৮ জুলাই ১৯৯ জন, ৯ জুলাই ২১২ জন, ১০ জুলাই ১৮৫ জন, ১১ জুলাই ২৩০ জন ও ১২ জুলাই ২২০ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সর্বশেষ একদিনে মারা যাওয়া ২০৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ হাজার ৮৪২ জনে।

সংক্রমণের হার কমছে ঢাকায়

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ হিসাবে, ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১৭ হাজার ৮০৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় চার হাজার ৭২৯ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। ঢাকা বিভাগে শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আগের দিন এই বিভাগে ছয় হাজার ৪১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং সংক্রমণের হার ছিল ৩১ দশমিক ২৬ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মহানগরসহ ঢাকা জেলায় ১৩ হাজার ৫৫৯টি নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ২০১ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। ঢাকায় সংক্রমণের হার ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। আগের দিন ঢাকায় পাঁচ হাজার দুই জনের করোনা শনাক্ত হয়, শনাক্তের হার ছিল ৩০ দশমিক ৪২ শতাংশ।

ঢাকা ছাড়াও ময়মনসিংহ, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে সংক্রমণ কমেছে। বাকি চার বিভাগেও গত দুদিনে সংক্রমণ খুব একটা বাড়েনি। তবে শনাক্ত কমছে।

ময়মনসিংহ বিভাগে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৭৩৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৫০৬ জনের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া যায়। শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের দিন ময়মনসিংহে ৫০০ জনের করোনা শনাক্ত এবং শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ২১ শতাংশ।

চট্টগ্রামে একদিনে ছয় হাজার ৫৮৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় দুই হাজার ৩৪৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আগের দিন চট্টগ্রামে দুই হাজার ৩১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়, আর সংক্রমণের হার ছিল ৩৪ দশমিক ১০ শতাংশ।

রাজশাহী বিভাগে গত একদিনে পাঁচ হাজার ১৪৫টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার আটজনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগের দিন রাজশাহীতে এক হাজার ৩৩৯ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়, আর সংক্রমণের হার ছিল ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

রংপুর বিভাগে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯০০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে ৬০৫ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ৩১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আগের দিন রংপুরে ৬১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়, শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

খুলনা বিভাগে একদিনে পাঁচ হাজার ২২০টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৫৮৮ জনের দেহে জীবাণু পাওয়া গেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৪২ শতাংশ। আগের দিন খুলনায় এক হাজার ৬৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং সংক্রমণের হার ছিল ২৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

বরিশাল বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৬৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৭৯ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ। আগের দিন বরিশালে ৫৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং সংক্রমণের হার ছিল ৪৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

সিলেট বিভাগে একদিনে এক হাজার ২৯৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষায় ৫৪০ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ৪১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আগের দিন সিলেট বিভাগে ৩৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং সংক্রমণের হার ছিল ৩৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

মোট শনাক্ত রোগীও প্রায় সাড়ে দশ লাখ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৬২৭টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১ হাজার ৭৫৫টি। এ নিয়ে দেশে মোট করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭০ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৯টি।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ১৯৮ জনের। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো দশ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৫ জনে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।

গত একদিনে মারা যাওয়া ২০৩ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩২ জন ও নারী ৭১ জন। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৭৮২ জন এবং নারী পাঁচ হাজার ৬০ জন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১১৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। অন্যদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন এবং ১২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

গত একদিনে সবচেয়ে বেশি ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। অন্য বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রামে ৩০ জন, রাজশাহীতে ২৭ জন, খুলনায় ৫৩ জন, বরিশাল ও সিলেটে পাঁচজন করে, রংপুরে ১৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে মারা যাওয়া ২০৩ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৫৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৪ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ১৪ জন।