গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার

নওগাঁর বদলগাছিতে মজিদুল ইসলাম (৬০) নামে এক গরু ব্যাপারিকে তার ব্যবসার সাবেক অংশীদার কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল বদলগাছি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত মজিদুল ইসলামের ছেলে মিঠুন হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

এ ঘটনায় মকছেদ আলী (৫০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তিনি এ মামলার প্রধান আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত মজিদুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার কোলা ইউপির ভোলার পালশা গ্রামে। গ্রেপ্তার হওয়া মকছেদ আলী একই ইউপির খামার আক্কেলপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহার উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ১৭-১৮ বছর ধরে মজিদুল ইসলাম ও মকছেদ আলী যৌথভাবে গরুর ব্যবসা করে আসছিলেন। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে দুই বছর আগে মজিদুল ইসলাম আলাদাভাবে ব্যবসা শুরু করেন। দুই মাস আগে ব্যবসার হিসাব-নিকাশ নিয়ে ভান্ডারপুর বাজারে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। মজিদুল ইসলাম মঙ্গলবার কোলার হাটে দুইটি গরু ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে ভান্ডারপুর বাজারের উদ্দেশে রওনা দেন।

পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুক্তির মোড়ে মকছেদ আলীসহ তার আরও তিন সঙ্গী মজিদুলের পথরোধ করে তার চোখ গামছা দিয়ে বেঁধে তাকে ফসলি মাঠের আমজাদের মরিচ খেতে নিয়ে যায়। তারা সেখানে মজিদুল ইসলামকে ধারালো চাকু দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মজিদুল ইসলাম জ্ঞান ফিরে পেয়ে ভোর চারটার দিকে নিজ বাড়িতে আসেন। সেখান থেকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। রাজশাহীতে নেয়ার পথে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় তার মৃত্যু হয়।

বদলগাছি থানার ওসি আতিকুল ইসলাম বলেন, নিহত গরু ব্যবসায়ী মজিদুল ইসলামের ছেলে মিঠুন হোসেন বাদী হয়ে থানায় প্রথমে একটি মারপিটের মামলা করেছিল। এখন মজিদুল মারা যাওয়ায় সেই মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হলো। এ মামলার প্রধান আসামি মকছেদ আলীকে বুধবার বিকেলে মাতাজিহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১ , ৩১ আষাঢ় ১৪২৮ ৪ জিলহজ ১৪৪২

বদলগাছিতে

গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, বদলগাছী (নওগাঁ)

নওগাঁর বদলগাছিতে মজিদুল ইসলাম (৬০) নামে এক গরু ব্যাপারিকে তার ব্যবসার সাবেক অংশীদার কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল বদলগাছি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত মজিদুল ইসলামের ছেলে মিঠুন হোসেন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

এ ঘটনায় মকছেদ আলী (৫০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তিনি এ মামলার প্রধান আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত মজিদুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার কোলা ইউপির ভোলার পালশা গ্রামে। গ্রেপ্তার হওয়া মকছেদ আলী একই ইউপির খামার আক্কেলপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহার উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ১৭-১৮ বছর ধরে মজিদুল ইসলাম ও মকছেদ আলী যৌথভাবে গরুর ব্যবসা করে আসছিলেন। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে দুই বছর আগে মজিদুল ইসলাম আলাদাভাবে ব্যবসা শুরু করেন। দুই মাস আগে ব্যবসার হিসাব-নিকাশ নিয়ে ভান্ডারপুর বাজারে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। মজিদুল ইসলাম মঙ্গলবার কোলার হাটে দুইটি গরু ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে ভান্ডারপুর বাজারের উদ্দেশে রওনা দেন।

পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুক্তির মোড়ে মকছেদ আলীসহ তার আরও তিন সঙ্গী মজিদুলের পথরোধ করে তার চোখ গামছা দিয়ে বেঁধে তাকে ফসলি মাঠের আমজাদের মরিচ খেতে নিয়ে যায়। তারা সেখানে মজিদুল ইসলামকে ধারালো চাকু দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মজিদুল ইসলাম জ্ঞান ফিরে পেয়ে ভোর চারটার দিকে নিজ বাড়িতে আসেন। সেখান থেকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। রাজশাহীতে নেয়ার পথে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় তার মৃত্যু হয়।

বদলগাছি থানার ওসি আতিকুল ইসলাম বলেন, নিহত গরু ব্যবসায়ী মজিদুল ইসলামের ছেলে মিঠুন হোসেন বাদী হয়ে থানায় প্রথমে একটি মারপিটের মামলা করেছিল। এখন মজিদুল মারা যাওয়ায় সেই মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হলো। এ মামলার প্রধান আসামি মকছেদ আলীকে বুধবার বিকেলে মাতাজিহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।