ভোলায় করোনা আক্রান্তের হার বেড়েই চলছে

ভোলায় প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জেলায় বর্তমানে আক্রান্তের হার ৩২ থেকে ৪০ ভাগ। এর পরও শহর ও গ্রামে স্বাস্থ্য বিধি না মামান হিড়ক রয়েছে। কঠোর লকডাউনে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক ব্যক্তিকে নির্দেশ না মানায় আটক করে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু এতে থামানো যায়নি বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বেড় হাওয়ার প্রবণতা। মস্ক ছাড়া রাস্তাঘাটে চলাচল। গত ১৪ দিনে এক হাজার ৭০০ জনকে আটক করে জরিমানা করা হয় বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী। জেলে পাঠানো হয়েছে ৩৬ জনকে। অপরদিকে হাসপাতাল সূত্রে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার তিন ৬৭ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬৭ জন।

২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থাপিত আরটিপিসিআর ল্যাবের তথ্যে গত বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত ২৫ জন। ফলোআপ পজিটিভ রয়েছে ৭ জন। অপরদিকে উপজেলা পর্যায়ে এনজিও ব্র্যাকের মাধ্যমে র‌্যাপিডকীট পরীক্ষায় আরও ৩২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির পরীক্ষা নিশ্চিত করা হয়। অপরদিকে র‌্যাপিডকীট পরীক্ষায় যাদের নেগেটিভ এসেছে এমন ৭৮ জনের নুমনা ফের আরটিপিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। আরটিপিসিআর ল্যাবের রিপোর্টে গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত রয়েছে ১৯৯ জন। নমুনা পরীক্ষা করেন ৫৮৩ জন। এর মধ্যে মঙ্গলবার ৫৩ জনে আক্রান্ত ২১ জন, সোমবারে ৭৮ জনে ৩০ জন, রোববারে ৭৫ জনে ৩৭ জন, শনিবার ৪৩ জনে ১৭ জন, বৃহস্পতিবার ১৬৯ জনে ৫০ জন , তার আগের দিন ৮৫ জনে ৩৩ জন। । ভোলা হাসপাতালের করোনা ইউনিটে প্রতিদিন ভর্তি সংখ্যা বাড়ছে। এই হাড়ে বাড়তে থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে বেড সংকট দেখা দিতে পারে। ২৫০ শয্যার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজ উদ্দিন জানান, বর্তমানে করোনা ইউনিটে সেন্টাল অক্সিজেন সাপ্লাই রয়েছে। রয়েছে ১২টি হাইফ্লো ন্যাজল ক্যানোলা, ৬টি আইসিইউ বেড, তিনটি ভেন্টিলেটর। ওই দফতরে আইসিইউ চালানোর বিশেজ্ঞ চিকিৎসক পোস্টিং না দিলেও করোনা ইউনিটের জন্য ১০ মেডিকেল অফিসারের মধ্যে ৮জন কর্মরত আছেন। এরা চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে লকডাউন প্রত্যাহারের পর এলাকায় মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ার আংশা রয়েছে করোনা আক্রান্তের হার। এই বিষয়ে গত বুধবার এক সভায় জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেন।

শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১ , ১ শ্রাবন ১৪২৮ ৫ জিলহজ ১৪৪২

ভোলায় করোনা আক্রান্তের হার বেড়েই চলছে

জেলা বার্তা পরিবেশক, ভোলা

ভোলায় প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জেলায় বর্তমানে আক্রান্তের হার ৩২ থেকে ৪০ ভাগ। এর পরও শহর ও গ্রামে স্বাস্থ্য বিধি না মামান হিড়ক রয়েছে। কঠোর লকডাউনে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক ব্যক্তিকে নির্দেশ না মানায় আটক করে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু এতে থামানো যায়নি বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বেড় হাওয়ার প্রবণতা। মস্ক ছাড়া রাস্তাঘাটে চলাচল। গত ১৪ দিনে এক হাজার ৭০০ জনকে আটক করে জরিমানা করা হয় বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী। জেলে পাঠানো হয়েছে ৩৬ জনকে। অপরদিকে হাসপাতাল সূত্রে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার তিন ৬৭ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬৭ জন।

২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থাপিত আরটিপিসিআর ল্যাবের তথ্যে গত বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত ২৫ জন। ফলোআপ পজিটিভ রয়েছে ৭ জন। অপরদিকে উপজেলা পর্যায়ে এনজিও ব্র্যাকের মাধ্যমে র‌্যাপিডকীট পরীক্ষায় আরও ৩২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির পরীক্ষা নিশ্চিত করা হয়। অপরদিকে র‌্যাপিডকীট পরীক্ষায় যাদের নেগেটিভ এসেছে এমন ৭৮ জনের নুমনা ফের আরটিপিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। আরটিপিসিআর ল্যাবের রিপোর্টে গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত রয়েছে ১৯৯ জন। নমুনা পরীক্ষা করেন ৫৮৩ জন। এর মধ্যে মঙ্গলবার ৫৩ জনে আক্রান্ত ২১ জন, সোমবারে ৭৮ জনে ৩০ জন, রোববারে ৭৫ জনে ৩৭ জন, শনিবার ৪৩ জনে ১৭ জন, বৃহস্পতিবার ১৬৯ জনে ৫০ জন , তার আগের দিন ৮৫ জনে ৩৩ জন। । ভোলা হাসপাতালের করোনা ইউনিটে প্রতিদিন ভর্তি সংখ্যা বাড়ছে। এই হাড়ে বাড়তে থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে বেড সংকট দেখা দিতে পারে। ২৫০ শয্যার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজ উদ্দিন জানান, বর্তমানে করোনা ইউনিটে সেন্টাল অক্সিজেন সাপ্লাই রয়েছে। রয়েছে ১২টি হাইফ্লো ন্যাজল ক্যানোলা, ৬টি আইসিইউ বেড, তিনটি ভেন্টিলেটর। ওই দফতরে আইসিইউ চালানোর বিশেজ্ঞ চিকিৎসক পোস্টিং না দিলেও করোনা ইউনিটের জন্য ১০ মেডিকেল অফিসারের মধ্যে ৮জন কর্মরত আছেন। এরা চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে লকডাউন প্রত্যাহারের পর এলাকায় মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ার আংশা রয়েছে করোনা আক্রান্তের হার। এই বিষয়ে গত বুধবার এক সভায় জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেন।