টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে ১৫ মিনিটের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল দুপুর সোয়া ৩টার দিকে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউ ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে আগুন লাগায় সেখানকার রোগীদের বাইরে বের করে আনা হয়। এ সময় তাদের খোলা আকাশের নিচে বিকল্পভাবে অক্সিজেন লাগিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে অনেকদিন আগে বিদ্যুতের ওয়ারিংয়ের কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিদ্যুতের আর কোন সংস্কার করা হয়নি। এর মধ্যেই হাসপাতালে আইসিইউ চালু করা হয়।

টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫ মিনিট সময় লেগেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা চালাতে যে বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, তা থেকেই এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, আগুন লাগার ঘটনায় আইসিইউতে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এর পরিমাণ বলা যাচ্ছে না।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বলেন, আইসিইউতে থাকা রোগীদের দ্রুত সরিয়ে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর আইসিইউ বন্ধ রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আইসিইউ ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হবে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গণি বলেন, আগুনের ঘটনায় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আইসিইউ ওয়ার্ডে ১০ জন রোগী ছিলেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আইসিইউ থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।