চিঠিপত্র : খামারিদের কথাও ভাবতে হবে

খামারিদের কথাও ভাবতে হবে

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসছে। সঙ্গে সঙ্গে দুশ্চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে দেশের পশু খামারিদের। কারণ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখন সবচেয়ে বেশি। প্রতিদিনই দেশে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কোরবানির পশু খামারিরা বাজারে তুলতে পারবে কিনা যেমন সন্দিহান, আবার তুলতে পারলেও ক্রেতা এবং সঠিক দাম পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

খামারিসহ গৃহস্থালি পরিবারেও বাড়তি লাভের আশায় দু-একটি গরু মোটাতাজা করেছে হাটে বিক্রির আশায়। তবে দেশে কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে এইসব স্বল্প আয়ের মানুষের। খামারিরা তাদের গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার বেশি পরিমাণ গরু মোটাতাজা করেছে। অনেকে ঋণ নিয়ে গরু কিনে মোটাতাজাকরণে ব্যয় করেছে। করোনার সংক্রমণ বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন এসব ব্যবসায়ীরা।

কারণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের খামারিদের পশু ক্রয় করে তা সারা দেশে পৌঁছে দেয় বিভিন্ন স্থানের বেপারিরা। দেশের বিভিন্ন স্থানের এসকল বেপারীরা আসতে পারছেন না খামারে। তবে বিকল্প উপায় হিসেবে অনেক অনলাইনে গরু বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গরুর ছবিসহ বিস্তারিত লিখে দাম নির্ধারণ করে দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। তবে কোরবানির পশুর হাটের মতো এমন বিপুল পরিমাণ পশু অনলাইনে বিক্রি সম্ভবপর হবে না। এছাড়াও সর্বত্র রয়েছে প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও খামারিদের ক্ষতি লাঘবের জন্য সরকারকে সদয় হতে হবে। লকডাউন চললেও এসব খামারিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পশুবাহী ট্রাক লকডাউনের আওতামুক্ত রাখতে হবে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাটের ব্যবস্থা করতে হবে। করোনাকালীন নাজেহাল অর্থনীতিতে যাতে আর আঘাত না হানে সেইজন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। করোনাকালীন অবস্থা বিবেচনায় সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগকে খামারিদের জন্য অনলাইনে নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্ম গড়ে দিতে হবে। যাতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হয়।

মোহাম্মদ ইয়াছিন ইসলাম

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

কোরবানির পশুর বর্জ্য নির্ধারিত জায়গায় ফেলুন

ঈদুল আযহার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো পশু কোরবানি। এ সময় সারাদেশে লাখ লাখ পশু কোরবানি দেয়া হয়। প্রতি বছরই পশুর বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও অসচেতনতার কারণে পরিবেশ দূষণের বিষয়টি আলোচনায় আসে। যেখানে সেখানে পশুর বর্জ্য ফেলার কারণে পরিবেশ দূষিত হয়ে থাকে। পশুর বর্জ্য যখন পচতে শুরু করে তখন দুর্গন্ধ প্রকট আকার ধারণ করে, রোগ-ব্যাধির অবাধ বিস্তার ঘটে।

কোরবানির পশুর বর্জ্যে অনেক সময় ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করে। তখন সিটি করপোরেশন কিংবা পৌরসভা এসব বর্জ্য পরিষ্কার করতে হিমশিম খায়। তাছাড়া গত কয়েক বছরে চামড়ার কাক্সিক্ষত মূল্য না পেয়ে অনেকেই চামড়া যেখানে সেখানে ফেলে দেন।

কোরবানির পর পশুর রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, মল ও তরল পদার্থ কোনো অবস্থাতেই যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। এগুলো নির্ধারিত জায়গায় ফেলতে হবে কিংবা মাটি চাপা দিতে হবে। প্রয়োজনে নির্ধারিত ডাস্টবিন ব্যবহার করতে হবে। মাংস কাটার সময় উচ্ছিষ্ট ময়লা যেখানে সেখানে না ফেলে গর্তে পুঁতে ফেলতে হবে। এ ব্যাপারে আমাদের সকলকেই সচেতন হতে হবে।

মো. আশরাফুল ইসলাম

আরও খবর

শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১ , ১ শ্রাবন ১৪২৮ ৫ জিলহজ ১৪৪২

চিঠিপত্র : খামারিদের কথাও ভাবতে হবে

খামারিদের কথাও ভাবতে হবে

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসছে। সঙ্গে সঙ্গে দুশ্চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে দেশের পশু খামারিদের। কারণ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখন সবচেয়ে বেশি। প্রতিদিনই দেশে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কোরবানির পশু খামারিরা বাজারে তুলতে পারবে কিনা যেমন সন্দিহান, আবার তুলতে পারলেও ক্রেতা এবং সঠিক দাম পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

খামারিসহ গৃহস্থালি পরিবারেও বাড়তি লাভের আশায় দু-একটি গরু মোটাতাজা করেছে হাটে বিক্রির আশায়। তবে দেশে কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে এইসব স্বল্প আয়ের মানুষের। খামারিরা তাদের গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার বেশি পরিমাণ গরু মোটাতাজা করেছে। অনেকে ঋণ নিয়ে গরু কিনে মোটাতাজাকরণে ব্যয় করেছে। করোনার সংক্রমণ বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন এসব ব্যবসায়ীরা।

কারণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের খামারিদের পশু ক্রয় করে তা সারা দেশে পৌঁছে দেয় বিভিন্ন স্থানের বেপারিরা। দেশের বিভিন্ন স্থানের এসকল বেপারীরা আসতে পারছেন না খামারে। তবে বিকল্প উপায় হিসেবে অনেক অনলাইনে গরু বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গরুর ছবিসহ বিস্তারিত লিখে দাম নির্ধারণ করে দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। তবে কোরবানির পশুর হাটের মতো এমন বিপুল পরিমাণ পশু অনলাইনে বিক্রি সম্ভবপর হবে না। এছাড়াও সর্বত্র রয়েছে প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও খামারিদের ক্ষতি লাঘবের জন্য সরকারকে সদয় হতে হবে। লকডাউন চললেও এসব খামারিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পশুবাহী ট্রাক লকডাউনের আওতামুক্ত রাখতে হবে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাটের ব্যবস্থা করতে হবে। করোনাকালীন নাজেহাল অর্থনীতিতে যাতে আর আঘাত না হানে সেইজন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। করোনাকালীন অবস্থা বিবেচনায় সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগকে খামারিদের জন্য অনলাইনে নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্ম গড়ে দিতে হবে। যাতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হয়।

মোহাম্মদ ইয়াছিন ইসলাম

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

কোরবানির পশুর বর্জ্য নির্ধারিত জায়গায় ফেলুন

ঈদুল আযহার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো পশু কোরবানি। এ সময় সারাদেশে লাখ লাখ পশু কোরবানি দেয়া হয়। প্রতি বছরই পশুর বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও অসচেতনতার কারণে পরিবেশ দূষণের বিষয়টি আলোচনায় আসে। যেখানে সেখানে পশুর বর্জ্য ফেলার কারণে পরিবেশ দূষিত হয়ে থাকে। পশুর বর্জ্য যখন পচতে শুরু করে তখন দুর্গন্ধ প্রকট আকার ধারণ করে, রোগ-ব্যাধির অবাধ বিস্তার ঘটে।

কোরবানির পশুর বর্জ্যে অনেক সময় ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করে। তখন সিটি করপোরেশন কিংবা পৌরসভা এসব বর্জ্য পরিষ্কার করতে হিমশিম খায়। তাছাড়া গত কয়েক বছরে চামড়ার কাক্সিক্ষত মূল্য না পেয়ে অনেকেই চামড়া যেখানে সেখানে ফেলে দেন।

কোরবানির পর পশুর রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, মল ও তরল পদার্থ কোনো অবস্থাতেই যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। এগুলো নির্ধারিত জায়গায় ফেলতে হবে কিংবা মাটি চাপা দিতে হবে। প্রয়োজনে নির্ধারিত ডাস্টবিন ব্যবহার করতে হবে। মাংস কাটার সময় উচ্ছিষ্ট ময়লা যেখানে সেখানে না ফেলে গর্তে পুঁতে ফেলতে হবে। এ ব্যাপারে আমাদের সকলকেই সচেতন হতে হবে।

মো. আশরাফুল ইসলাম