শেয়ারবাজারে ফিরেছে আরও আট হাজার কোটি টাকা

সাপ্তাহিকভাবে আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহও উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে লেনদেন। লেনদেনের সঙ্গে সপ্তাহটিতে ডিএসইতে বাজার মূলধন আট হাজার কোটি টাকা ফিরেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ১৭ হাজার ১৮২ কোটি ১৮ লাখ ১ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ২৫ হাজার ২৭১ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ৮ হাজার ৮৯ কোটি ৬৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরেছে। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬ হাজার ৭০৬ কোটি ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯০৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ৪১০ কোটি ৭০ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ২৯৫ কোটি ৭৮ লাখ ৫২১ টাকা বা ৫ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৪.৫৯ পয়েন্ট বা ১.৫২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৭.৩৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৭.৮১ পয়েন্ট বা ১.৩৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৬.৬৯ পয়েন্ট বা ১.১৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়ে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৫৯.৩৬ পয়েন্ট এবং ২ হাজার ২৭৪.৯১ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৭টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬৭টির বা ৭০.৮২ শতাংশের, কমেছে ৯৪টির বা ২৪.৯৩ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির বা ৪.২৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৪৩ কোটি ৪০ লাখ ১২ হাজার ২২২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৮৬ কোটি ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৪০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪২ কোটি ৬৩ লাখ ৬১ হাজার ৭১৮ টাকা বা ১৫ শতাংশ কম হয়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১৬.৬২ পয়েন্ট বা ১.৭৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩১৮.৫৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৭৯.৫৪ পয়েন্ট বা ১.৬৬ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৫৬.৩৭ পয়েন্ট বা ০.৪২ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৪.৯৯ পয়েন্ট বা ১.১৫ শতাংশ এবং সিএসআই ২০.৪২ পয়েন্ট বা ১.৮২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৯০.৩৫ পয়েন্ট, ১৩ হাজার ৪২৯.৮০ পয়েন্টে, ১ হাজার ৩২১.০৬ পয়েন্টে এবং সিএসআই ১ হাজর ১৪২.০৯ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৪৪টির বা ৭২.১৯ শতাংশের দর বেড়েছে, ৭৭টির বা ২২.৭৮ শতাংশের কমেছে এবং ১৭টির বা ৫.০৩ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১.১৩ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৮.৬০ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষেও ১৮.৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২১ পয়েন্ট বা ১.১৩ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৬৯ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৬.০৫ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩৭.৮৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২০.৫৯ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৩.৯৪ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৪.৭৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৪.২৮ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ২০.৪২ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.৩৭ শতাংশ, চামড়া খাতের ৯২.৬৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ১৮.৭৯ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৪৪.৮৮ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৪৯.১১ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৫.০৪ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.৬৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২৪.২৫ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩০.১২ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৭.৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৬৭টির বা ৭০.৮২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে সোনালী লাইফের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৬ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৭৫.৮০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫৯.৮০ টাকা বা ৩৭৩.৭৫ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটের গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ২৭.৪৩ শতাংশ, ফু-ওয়াং সিরামিকের ২৫.৪৫ শতাংশ, বেঙ্গল উইন্ডসোরের ২৪.৬৮ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকের ২৩.০৫ শতাংশ, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ২০.৭৫ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ১৯.৭৬ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইলের ১৮.৫৭ শতাংশ, এএফসি এগ্রোর ১৬.৯০ শতাংশ এবং এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডের ইউনিট দর ১৫.৩৮ শতাংশ বেড়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯৪টির বা ২৪.৯৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। সপ্তাহটিতে মিথুন নিটিংয়ের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে মিথুন নিটিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৩.৯০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১৩ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৯০ টাকা বা ৬.৪৭ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে মিথুন নিটিং ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটের লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫.৮৬ শতাংশ, নিউজ লাইন ক্লোথিংসের ৫.৭৯ শতাংশ, এস্কয়ার নিটের ৫.৩৭ শতাংশ, রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের ৫.৩২ শতাংশ, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৪.৭৫ শতাংশ, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ৪.৬২ শতাংশ, মতিন স্পিনিংয়ের ৪.৩৩ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৪.২২ শতাংশ এবং ইনডেক্স এগ্রোর শেয়ার দর ৪.২০ শতাংশ কমেছে।

শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১ , ২ শ্রাবন ১৪২৮ ৬ জিলহজ ১৪৪২

শেয়ারবাজারে ফিরেছে আরও আট হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

সাপ্তাহিকভাবে আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহও উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে লেনদেন। লেনদেনের সঙ্গে সপ্তাহটিতে ডিএসইতে বাজার মূলধন আট হাজার কোটি টাকা ফিরেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ১৭ হাজার ১৮২ কোটি ১৮ লাখ ১ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ২৫ হাজার ২৭১ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ৮ হাজার ৮৯ কোটি ৬৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরেছে। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬ হাজার ৭০৬ কোটি ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯০৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ৪১০ কোটি ৭০ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ২৯৫ কোটি ৭৮ লাখ ৫২১ টাকা বা ৫ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৪.৫৯ পয়েন্ট বা ১.৫২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৭.৩৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৭.৮১ পয়েন্ট বা ১.৩৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৬.৬৯ পয়েন্ট বা ১.১৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়ে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৫৯.৩৬ পয়েন্ট এবং ২ হাজার ২৭৪.৯১ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৭টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬৭টির বা ৭০.৮২ শতাংশের, কমেছে ৯৪টির বা ২৪.৯৩ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির বা ৪.২৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৪৩ কোটি ৪০ লাখ ১২ হাজার ২২২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৮৬ কোটি ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৪০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪২ কোটি ৬৩ লাখ ৬১ হাজার ৭১৮ টাকা বা ১৫ শতাংশ কম হয়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১৬.৬২ পয়েন্ট বা ১.৭৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩১৮.৫৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৭৯.৫৪ পয়েন্ট বা ১.৬৬ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৫৬.৩৭ পয়েন্ট বা ০.৪২ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৪.৯৯ পয়েন্ট বা ১.১৫ শতাংশ এবং সিএসআই ২০.৪২ পয়েন্ট বা ১.৮২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৯০.৩৫ পয়েন্ট, ১৩ হাজার ৪২৯.৮০ পয়েন্টে, ১ হাজার ৩২১.০৬ পয়েন্টে এবং সিএসআই ১ হাজর ১৪২.০৯ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৪৪টির বা ৭২.১৯ শতাংশের দর বেড়েছে, ৭৭টির বা ২২.৭৮ শতাংশের কমেছে এবং ১৭টির বা ৫.০৩ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১.১৩ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৮.৬০ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষেও ১৮.৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২১ পয়েন্ট বা ১.১৩ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৬৯ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৬.০৫ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩৭.৮৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২০.৫৯ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৩.৯৪ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৪.৭৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৪.২৮ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ২০.৪২ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১.৩৭ শতাংশ, চামড়া খাতের ৯২.৬৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ১৮.৭৯ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৪৪.৮৮ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৪৯.১১ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৫.০৪ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.৬৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২৪.২৫ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩০.১২ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৭.৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৬৭টির বা ৭০.৮২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে সোনালী লাইফের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৬ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৭৫.৮০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫৯.৮০ টাকা বা ৩৭৩.৭৫ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটের গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ২৭.৪৩ শতাংশ, ফু-ওয়াং সিরামিকের ২৫.৪৫ শতাংশ, বেঙ্গল উইন্ডসোরের ২৪.৬৮ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকের ২৩.০৫ শতাংশ, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ২০.৭৫ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ১৯.৭৬ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইলের ১৮.৫৭ শতাংশ, এএফসি এগ্রোর ১৬.৯০ শতাংশ এবং এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডের ইউনিট দর ১৫.৩৮ শতাংশ বেড়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯৪টির বা ২৪.৯৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। সপ্তাহটিতে মিথুন নিটিংয়ের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে মিথুন নিটিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৩.৯০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১৩ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৯০ টাকা বা ৬.৪৭ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে মিথুন নিটিং ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটের লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫.৮৬ শতাংশ, নিউজ লাইন ক্লোথিংসের ৫.৭৯ শতাংশ, এস্কয়ার নিটের ৫.৩৭ শতাংশ, রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের ৫.৩২ শতাংশ, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৪.৭৫ শতাংশ, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ৪.৬২ শতাংশ, মতিন স্পিনিংয়ের ৪.৩৩ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৪.২২ শতাংশ এবং ইনডেক্স এগ্রোর শেয়ার দর ৪.২০ শতাংশ কমেছে।