বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের লেনদেন শুরু

সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সম্পন্ন করা কোম্পানি বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের বরাদ্দ প্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে প্রেরণ শেষে গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশের উভয় শেয়ারাবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। এই উপলক্ষে এদিন ডিএসই এবং সিএসই এর কার্যালয়দ্বয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয় এবং তারপরই ঐতিহ্য অনুযায়ী ঘণ্টা বাজিয়ে ট্রেডিং কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

এই চুক্তি অনুষ্ঠানে উভয় শেয়ার বাজারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদ্বয় নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন। বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের পক্ষে কোম্পানির চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর কাদির শাফি, চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, হেড অব ইন্টারনাল অডিট বাবু মনোজ দাশ গুপ্ত এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ রানাসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের ডিএসই ও সিএসইতে ট্রেডিং কোড হচ্ছে ‘ইচচখ’। আর ডিএসইতে কোম্পানিটির কোড ১৫৩২৪ এবং সিএসইতে ২০০২৪। এর আগে গত ৫ জুলাই কোম্পানিটির আইপিও’র শেয়ার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বরাদ্দ করা হয়। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটি গত ১৩ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত আইপিও আবেদন সম্পন্ন করে। এর আগে কোম্পানিটির কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিডিং (নিলাম) অনুষ্ঠিত হয়। বিডিংয়ে কোম্পানিটির কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হয় ৩২ টাকা। গত ৫ জানুয়ারি শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫৫তম সভায় কোম্পানিটিকে বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়।

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে যা তার সাবসিডিয়ারি কর্ণফুলী পাওয়ার ও বারাকা শিকলবাহা পাওয়ারে বিনিয়োগ, দীর্ঘমেয়াদি ঋণের আংশিক পরিশোধ এবং আইপিওজনিত ব্যয়ে ব্যবহার করা হবে। কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরে সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪.৩৭ টাকা। ২০২০ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকায়। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস।

শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১ , ২ শ্রাবন ১৪২৮ ৬ জিলহজ ১৪৪২

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের লেনদেন শুরু

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সম্পন্ন করা কোম্পানি বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের বরাদ্দ প্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে প্রেরণ শেষে গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশের উভয় শেয়ারাবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। এই উপলক্ষে এদিন ডিএসই এবং সিএসই এর কার্যালয়দ্বয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয় এবং তারপরই ঐতিহ্য অনুযায়ী ঘণ্টা বাজিয়ে ট্রেডিং কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

এই চুক্তি অনুষ্ঠানে উভয় শেয়ার বাজারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদ্বয় নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন। বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের পক্ষে কোম্পানির চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর কাদির শাফি, চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, হেড অব ইন্টারনাল অডিট বাবু মনোজ দাশ গুপ্ত এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ রানাসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের ডিএসই ও সিএসইতে ট্রেডিং কোড হচ্ছে ‘ইচচখ’। আর ডিএসইতে কোম্পানিটির কোড ১৫৩২৪ এবং সিএসইতে ২০০২৪। এর আগে গত ৫ জুলাই কোম্পানিটির আইপিও’র শেয়ার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বরাদ্দ করা হয়। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটি গত ১৩ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত আইপিও আবেদন সম্পন্ন করে। এর আগে কোম্পানিটির কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিডিং (নিলাম) অনুষ্ঠিত হয়। বিডিংয়ে কোম্পানিটির কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হয় ৩২ টাকা। গত ৫ জানুয়ারি শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫৫তম সভায় কোম্পানিটিকে বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়।

বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে যা তার সাবসিডিয়ারি কর্ণফুলী পাওয়ার ও বারাকা শিকলবাহা পাওয়ারে বিনিয়োগ, দীর্ঘমেয়াদি ঋণের আংশিক পরিশোধ এবং আইপিওজনিত ব্যয়ে ব্যবহার করা হবে। কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরে সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৪.৩৭ টাকা। ২০২০ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকায়। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস।