হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা চান পুস্তক প্রকাশক-বিক্রেতারা

করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত বই ব্যবসার খাতে সহজ-শর্ত ও স্বল্পসুদে কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা ঋণের বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশের পুস্তক ব্যবসা খাতের জন্য কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকার সহজ-শর্ত ও স্বল্পসুদে ঋণের বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা, যা যে কোন তফসিলী ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, পিকেএসএফ প্রভৃতির মাধ্যমে সমিতির পরামর্শ ও সহযোগিতায় বণ্টন ও প্রদান করা যেতে পারে। প্রায় ২৬ হাজার পুস্তক ব্যবসায়ী পরিবারের জন্য এককালীন অনুদান একশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান, যা ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটির মাধ্যমে বিতরণ করা যেতে পারে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের লাইব্রেরিকে সমৃদ্ধ করতে একাডেমিক ও সৃজনশীল বই ক্রয়ের জন্য পাঁচশ’ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করা যেতে পারে। এসব দাবি আদায়ে সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, গত ১৬ মাসে বাংলাদেশের একাডেমিক এবং সৃজনশীল প্রকাশনা ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠান প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার বিক্রয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান দোকান ভাড়া, কর্মচারী বেতন ও পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ করতে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব বা অন্যান্য মাধ্যম থেকে ঋণ নিয়ে তার ভারে জর্জরিত হয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়ছে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জড়িতরা যুগ যুগ ধরে শিক্ষিত জাতি গঠনে দেশের অংশীদার হিসেবে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।

ছোটন বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অধিকাংশ প্রকাশক ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রণোদনা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ পুস্তক বিক্রেতা স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ী, বিধায় তাদের কোন ব্যাংক ঋণ নেই। অপরদিকে সরকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য যে অনুদান ও প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তাতেও পুস্তক ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ নেই।

সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১ , ৪ শ্রাবন ১৪২৮ ৮ জিলহজ ১৪৪২

হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা চান পুস্তক প্রকাশক-বিক্রেতারা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত বই ব্যবসার খাতে সহজ-শর্ত ও স্বল্পসুদে কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা ঋণের বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশের পুস্তক ব্যবসা খাতের জন্য কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকার সহজ-শর্ত ও স্বল্পসুদে ঋণের বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা, যা যে কোন তফসিলী ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, পিকেএসএফ প্রভৃতির মাধ্যমে সমিতির পরামর্শ ও সহযোগিতায় বণ্টন ও প্রদান করা যেতে পারে। প্রায় ২৬ হাজার পুস্তক ব্যবসায়ী পরিবারের জন্য এককালীন অনুদান একশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান, যা ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটির মাধ্যমে বিতরণ করা যেতে পারে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের লাইব্রেরিকে সমৃদ্ধ করতে একাডেমিক ও সৃজনশীল বই ক্রয়ের জন্য পাঁচশ’ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করা যেতে পারে। এসব দাবি আদায়ে সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, গত ১৬ মাসে বাংলাদেশের একাডেমিক এবং সৃজনশীল প্রকাশনা ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠান প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার বিক্রয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান দোকান ভাড়া, কর্মচারী বেতন ও পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ করতে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব বা অন্যান্য মাধ্যম থেকে ঋণ নিয়ে তার ভারে জর্জরিত হয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়ছে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জড়িতরা যুগ যুগ ধরে শিক্ষিত জাতি গঠনে দেশের অংশীদার হিসেবে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।

ছোটন বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অধিকাংশ প্রকাশক ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রণোদনা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ পুস্তক বিক্রেতা স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ী, বিধায় তাদের কোন ব্যাংক ঋণ নেই। অপরদিকে সরকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য যে অনুদান ও প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তাতেও পুস্তক ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ নেই।