৭ জেলায় করোনায় মৃত্যু ৫২ শনাক্ত ৫৭৯

রামেকে মৃত্যু ২২

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টাায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ জন ও উপসর্গে ১৫ জন মারা গেছেন। নেগেটিভ হওয়ার পরে চিকিৎধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে রাজশাহীর ১১, নাটোরের ২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৪, নওগাঁ ১ ও পাবনার ৪ জন করে আছেন। করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগীদের ভর্তি ও সংক্রমণের বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেকে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৬১ জন। বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ৫১৩টি করোনা ডেডিকেটেড শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ৪১২ জন।

কুষ্টিয়ায় মৃত্যু ১৭

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা আবারও বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়াা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ জন এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৪ জন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৩৫ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় ১৭৯ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন আরো ৫৬ জন।

কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত বৃহস্পতিবার জেলায় ১৭৭টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩২.২০ শতাংশ।

এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১২ হাজার ৮৭২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৬৮৭ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪৭১ জন। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৫৭ জনের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ২৩ জন, কুমারখালী উপজেলায় ২০. দৌলতপুর উপজেলায় ২ জন, ভেড়ামারা উপজেলায় ৩, মিরপুর উপজেলায় ৮ জন ও খোকসা উপজেলায় ১ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় ৮০ হাজার ৯৫০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৭৬ হাজার ৯৮২জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৭৩১ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোরেশনে চিকিৎসাধীন ২৪৪ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৩৪৮৭ জন।

সোনারগাঁয়ে মৃত্যু

৩, শনাক্ত ৫৫

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঈদুল আজহার ছুটি শুরুর দিন গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৫৫ জন। এই তিন দিনে ১০৬ জনের পরীক্ষার ফলাফলে প্রাণঘাতি এই ভাইরাস ৫৫ জনের মধ্যে শনাক্ত হয়।

সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা গতকাল শুক্রবার জানান, গত তিন দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১০৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে দেয়া হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায় ৫৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস ধরা পরে। এদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ ছাড়াও অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। এছাড়া মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ জন। এদের মধ্যে একজন নারী একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও একজন কিশোর বয়সের ছেলে। আক্রান্তরা পিরোজপুর, কাঁচপুর, জামপুর, মোগরাপাড়া, শম্ভুপুরা, সাদীপুর, বৈদ্যেরবাজার, নোয়াগাঁও ইউপি ও সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকার। করোনাভাইরাসে সোনারগাঁয়ে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৯৮ জনে। মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৬ জন এবং জাতীয় গাইডলাইনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থ্যতা লাভ করেছেন ১৩৯১ জন।

কিশোরগঞ্জে মৃত্যু

৬ শনাক্ত ৪৩৪

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমানের করোনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত ১৯ থেকে ২২ জুলাই এই চার দিনে জেলায় করোনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন- সদরে ৮০ বছর ও ৭৮ বছরের দুই নারী, কটিয়াদীতে ৬৫ বছরের এক নারী, বাজিতপুরে ৮৫ বছরের এক পুরুষ, করিমগঞ্জে ৬০ বছরের এক নারী এবং ভৈরবে ৭৩ বছরের এক পুরুষ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মারা গেলেন মোট ১৩২ জন। আর এই চারদিনে এক হাজার ৫৮০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৩৪ জনের। চারদিনে সুস্থ হয়েছেন ১৬৩ জন। ফলে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জেলায় করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন মোট এক হাজার ৭৩৫ জন।

সিরাজগঞ্জে মৃত্যু

৩, শনাক্ত ৭৬

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩ জন, আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ জন। আক্রান্তের হার ৩০ দশমিক ৮০ ভাগ। করোনায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেছরা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিয়ন কমান্ডের সাবেক কমান্ডার তোমছের আলী (৭০), একই উপজেলার পৌরসভার আমলাপাড়ার মহল্লার হেলাল উদ্দিন (৬৫), রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া গ্রামের সুলতান মাহমুদ (৬২)।

সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার অন্যান্য হাসপাতালে ২৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এবং শুক্রবার নতুন করে ৪ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছে ও ৪ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরে গেছে।

উপজেলা ভেদে করোনায় নতুন আক্রান্তরা হলো সদরে ৩৭, উল্লাপাড়ায় ৩, বেলকুচিতে ২, কাজিপুরে ৫, কামারখন্দে ৭ এবং রায়গঞ্জে ২২ জন।

এদিকে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় জানান, সিরাজগঞ্জে করোনা সংক্রামন উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। করোনা সচেতনতায় সরকার যে বিধিনিষেধ জারি করেছে তা মানার বিকল্প নেই। সকলকে বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া যেমন যাবেনা। তেমনি সকলকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

গাইবান্ধায়

শনাক্ত ১৪

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘন্টায় শুক্রবার করোনা ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪ জন। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৯, সুন্দরগঞ্জে ১, পলাশবাড়ীতে ২ ও সাঘাটা উপজেলায় ২জন। এপর্যন্ত জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ জন। আইসোলেশনে আছে ১ হাজার ২১৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২২ জন। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ২৮১জন। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সাদুল্যাপুর উপজেলায় ৩ জন। জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নেয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৫৮ জন। এদিকে জেলায় সর্বমোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৫৯ জন। এরমধ্যে ২৯ জন মারা গেছে। জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন ব্যক্তি মোট ১০ হাজার ৬৬৩ জন। এদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে মোট ৭ হাজার ৪৫৮ জনকে।

এছাড়া জেলায় করোনায় শনাক্ত ২ হাজার ৯৫৯ জনের মধ্যে ১ হাজার ৯৬৩ জন রোগী সুস্থ হওয়ায় তাদেরকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ভালুকায়

মৃত্যু ১

প্রতিনিধি ভালুকা (ময়মনসিংহ)

ভালুকা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান মানিকের একমাত্র ছোট বোন আঙ্গুর জাহান রীতা (৪৬) করোনা আক্রান্ত হয়ে ঈদের আগেরদিন গত ২০ জুলাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মরহুমার পারিবারিক সূত্রে জানা যায় কয়েক দিন যাবৎ তিনি ও তার স্বামী আবু সাঈদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে আঙ্গুর জাহান মারা যান।

শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১ , ৮ শ্রাবন ১৪২৮ ১২ জিলহজ ১৪৪২

৭ জেলায় করোনায় মৃত্যু ৫২ শনাক্ত ৫৭৯

রামেকে মৃত্যু ২২

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টাায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ জন ও উপসর্গে ১৫ জন মারা গেছেন। নেগেটিভ হওয়ার পরে চিকিৎধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে রাজশাহীর ১১, নাটোরের ২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৪, নওগাঁ ১ ও পাবনার ৪ জন করে আছেন। করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগীদের ভর্তি ও সংক্রমণের বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেকে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৬১ জন। বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ৫১৩টি করোনা ডেডিকেটেড শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ৪১২ জন।

কুষ্টিয়ায় মৃত্যু ১৭

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা আবারও বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়াা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ জন এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৪ জন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৩৫ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় ১৭৯ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন আরো ৫৬ জন।

কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত বৃহস্পতিবার জেলায় ১৭৭টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩২.২০ শতাংশ।

এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১২ হাজার ৮৭২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৬৮৭ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪৭১ জন। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৫৭ জনের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ২৩ জন, কুমারখালী উপজেলায় ২০. দৌলতপুর উপজেলায় ২ জন, ভেড়ামারা উপজেলায় ৩, মিরপুর উপজেলায় ৮ জন ও খোকসা উপজেলায় ১ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় ৮০ হাজার ৯৫০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৭৬ হাজার ৯৮২জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৭৩১ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোরেশনে চিকিৎসাধীন ২৪৪ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৩৪৮৭ জন।

সোনারগাঁয়ে মৃত্যু

৩, শনাক্ত ৫৫

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঈদুল আজহার ছুটি শুরুর দিন গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৫৫ জন। এই তিন দিনে ১০৬ জনের পরীক্ষার ফলাফলে প্রাণঘাতি এই ভাইরাস ৫৫ জনের মধ্যে শনাক্ত হয়।

সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা গতকাল শুক্রবার জানান, গত তিন দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১০৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে দেয়া হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায় ৫৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস ধরা পরে। এদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ ছাড়াও অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। এছাড়া মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ জন। এদের মধ্যে একজন নারী একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও একজন কিশোর বয়সের ছেলে। আক্রান্তরা পিরোজপুর, কাঁচপুর, জামপুর, মোগরাপাড়া, শম্ভুপুরা, সাদীপুর, বৈদ্যেরবাজার, নোয়াগাঁও ইউপি ও সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকার। করোনাভাইরাসে সোনারগাঁয়ে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৯৮ জনে। মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৬ জন এবং জাতীয় গাইডলাইনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থ্যতা লাভ করেছেন ১৩৯১ জন।

কিশোরগঞ্জে মৃত্যু

৬ শনাক্ত ৪৩৪

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমানের করোনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত ১৯ থেকে ২২ জুলাই এই চার দিনে জেলায় করোনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন- সদরে ৮০ বছর ও ৭৮ বছরের দুই নারী, কটিয়াদীতে ৬৫ বছরের এক নারী, বাজিতপুরে ৮৫ বছরের এক পুরুষ, করিমগঞ্জে ৬০ বছরের এক নারী এবং ভৈরবে ৭৩ বছরের এক পুরুষ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মারা গেলেন মোট ১৩২ জন। আর এই চারদিনে এক হাজার ৫৮০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৩৪ জনের। চারদিনে সুস্থ হয়েছেন ১৬৩ জন। ফলে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জেলায় করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন মোট এক হাজার ৭৩৫ জন।

সিরাজগঞ্জে মৃত্যু

৩, শনাক্ত ৭৬

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩ জন, আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ জন। আক্রান্তের হার ৩০ দশমিক ৮০ ভাগ। করোনায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেছরা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিয়ন কমান্ডের সাবেক কমান্ডার তোমছের আলী (৭০), একই উপজেলার পৌরসভার আমলাপাড়ার মহল্লার হেলাল উদ্দিন (৬৫), রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া গ্রামের সুলতান মাহমুদ (৬২)।

সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার অন্যান্য হাসপাতালে ২৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এবং শুক্রবার নতুন করে ৪ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছে ও ৪ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরে গেছে।

উপজেলা ভেদে করোনায় নতুন আক্রান্তরা হলো সদরে ৩৭, উল্লাপাড়ায় ৩, বেলকুচিতে ২, কাজিপুরে ৫, কামারখন্দে ৭ এবং রায়গঞ্জে ২২ জন।

এদিকে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় জানান, সিরাজগঞ্জে করোনা সংক্রামন উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। করোনা সচেতনতায় সরকার যে বিধিনিষেধ জারি করেছে তা মানার বিকল্প নেই। সকলকে বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া যেমন যাবেনা। তেমনি সকলকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

গাইবান্ধায়

শনাক্ত ১৪

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘন্টায় শুক্রবার করোনা ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪ জন। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৯, সুন্দরগঞ্জে ১, পলাশবাড়ীতে ২ ও সাঘাটা উপজেলায় ২জন। এপর্যন্ত জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ জন। আইসোলেশনে আছে ১ হাজার ২১৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২২ জন। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ২৮১জন। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সাদুল্যাপুর উপজেলায় ৩ জন। জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নেয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৫৮ জন। এদিকে জেলায় সর্বমোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৫৯ জন। এরমধ্যে ২৯ জন মারা গেছে। জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন ব্যক্তি মোট ১০ হাজার ৬৬৩ জন। এদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে মোট ৭ হাজার ৪৫৮ জনকে।

এছাড়া জেলায় করোনায় শনাক্ত ২ হাজার ৯৫৯ জনের মধ্যে ১ হাজার ৯৬৩ জন রোগী সুস্থ হওয়ায় তাদেরকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ভালুকায়

মৃত্যু ১

প্রতিনিধি ভালুকা (ময়মনসিংহ)

ভালুকা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান মানিকের একমাত্র ছোট বোন আঙ্গুর জাহান রীতা (৪৬) করোনা আক্রান্ত হয়ে ঈদের আগেরদিন গত ২০ জুলাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মরহুমার পারিবারিক সূত্রে জানা যায় কয়েক দিন যাবৎ তিনি ও তার স্বামী আবু সাঈদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে আঙ্গুর জাহান মারা যান।