শিশুর উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ইন্দিরার

বিশ্বব্যাপী শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাকে গবেষণা, অংশীদারিত্ব ও কৌশলগত সাহায্যের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। গতকাল চীনের বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ‘চায়না ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ‘দারিদ্র্য বিমোচন ও শিশু উন্নয়নে সপ্তম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখন চায়না ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার অব স্টেট কাউন্সিলের সেক্রেটারি মা জেভনটাঙ্গ, চায়না ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ফানঙ্গ জিন, চেয়ারপারসন লী উয়ি ও জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা জে. মোহাম্মদ। কনফারেন্সে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ, শিক্ষা, উন্নয়ন ও উত্তম চর্চাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আটটি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ইসিডি, শিক্ষা ও এসডিজি বিষয়ে বিশ্বের খ্যাতনামা ব্যক্তিরা তাদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করে।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার সারাদেশে একযোগে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকার ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে। যার মধ্যে শিশুর পুষ্টি ও উন্নয়নে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ রয়েছে। এ সময় তিনি বিশ্বের সব শিশুর উন্নয়নে হাতে হাত রেখে এক সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শিশুদের উন্নয়নে শিশুকেন্দ্রিক বাজেট বাস্তবায়ন করছে। সরকার শিশুর উন্নয়নকে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে দুই কোটি শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে বই প্রদান ও স্কুলে মিড-ডে মিল চালু করেছে। তিনি আরও বলেন, সরকার মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গর্ভাবস্থা থেকে তিন বছর পর্যন্ত এগার লাখ কর্মজীবী ও দরিদ্র মাকে ভাতা প্রদান করছে।

শিশু দারিদ্র্য হ্রাসকে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১২.৪ শতাংশ ও অতি দারিদ্র্যের হার ৪.৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে সরকার বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে জানিয়ে ইন্দিরা বলেন, সরকার ‘শিশুর প্রারম্ভিক যতœ ও বিকাশে সমন্বিত নীতি ২০১৩’ বাস্তবায়ন করছে। ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবে এমডিজি অর্জন করেছে। তেমনি ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সরকার বদ্ধপরিকর। বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এসডিজি গোল ফোরের গুণগত শিক্ষা ও শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের ক্ষেত্রে। জাতিসংঘের এসডিজি অর্জনে বিশ্বের যে তিনটি দেশ সবচেয়ে এগিয়ে আছে, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।

রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১ , ৯ শ্রাবন ১৪২৮ ১৩ জিলহজ ১৪৪২

শিশুর উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ইন্দিরার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

বিশ্বব্যাপী শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাকে গবেষণা, অংশীদারিত্ব ও কৌশলগত সাহায্যের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। গতকাল চীনের বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ‘চায়না ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ‘দারিদ্র্য বিমোচন ও শিশু উন্নয়নে সপ্তম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখন চায়না ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার অব স্টেট কাউন্সিলের সেক্রেটারি মা জেভনটাঙ্গ, চায়না ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ফানঙ্গ জিন, চেয়ারপারসন লী উয়ি ও জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা জে. মোহাম্মদ। কনফারেন্সে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ, শিক্ষা, উন্নয়ন ও উত্তম চর্চাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আটটি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ইসিডি, শিক্ষা ও এসডিজি বিষয়ে বিশ্বের খ্যাতনামা ব্যক্তিরা তাদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করে।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার সারাদেশে একযোগে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকার ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে। যার মধ্যে শিশুর পুষ্টি ও উন্নয়নে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ রয়েছে। এ সময় তিনি বিশ্বের সব শিশুর উন্নয়নে হাতে হাত রেখে এক সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শিশুদের উন্নয়নে শিশুকেন্দ্রিক বাজেট বাস্তবায়ন করছে। সরকার শিশুর উন্নয়নকে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে দুই কোটি শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে বই প্রদান ও স্কুলে মিড-ডে মিল চালু করেছে। তিনি আরও বলেন, সরকার মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গর্ভাবস্থা থেকে তিন বছর পর্যন্ত এগার লাখ কর্মজীবী ও দরিদ্র মাকে ভাতা প্রদান করছে।

শিশু দারিদ্র্য হ্রাসকে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১২.৪ শতাংশ ও অতি দারিদ্র্যের হার ৪.৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে সরকার বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে জানিয়ে ইন্দিরা বলেন, সরকার ‘শিশুর প্রারম্ভিক যতœ ও বিকাশে সমন্বিত নীতি ২০১৩’ বাস্তবায়ন করছে। ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবে এমডিজি অর্জন করেছে। তেমনি ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সরকার বদ্ধপরিকর। বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এসডিজি গোল ফোরের গুণগত শিক্ষা ও শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের ক্ষেত্রে। জাতিসংঘের এসডিজি অর্জনে বিশ্বের যে তিনটি দেশ সবচেয়ে এগিয়ে আছে, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।