মাধবপুরে সাংবাদিকের ওপর পুলিশের হামলা

হবিগঞ্জের মাধবপুরে দোকান খোলা রাখার ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় পত্রিকার এক সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনাটি ঘটেছে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া নোয়াহাটি এলাকায়। সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার দৈনিক হবিগঞ্জের জননী পত্রিকার মাধবপুর উপজেলা প্রতিনিধি শেখ ইমন আহমেদ মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স- এ ভর্তি হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহত সাংবাদিক জানান, তেলিয়াপাড়া নোয়াহাটি এলাকায় দোকান খোলা রাখায় পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ অভিযান চালায়। খবর পেয়ে সাংবাদিক শেখ ইমন আহমেদ ছবি তুলতে গেলে এটি এসআই ফরিদ বাধা দেয়। এ সময় সাংবাদিক পরিচয় দিলেও এটি এসআই ফরিদ ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন কথাবার্তাসহ হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। হাতে থাকা মোবাইল কেড়ে নিয়ে গালাগালও করেন এটি এসআই ফরিদ। পরে সাংবাদিক শেখ ইমন আহত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় হবিগঞ্জের জননী পত্রিকার সম্পাদকও প্রকাশক এবং কর্মরত সকল সাংবাদিকসহ জেলার সকল সাংবাদিকগণ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘এই ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণেদিত হামলা স্বাধীন সাংবাদিকতায় চরম কুঠারাঘাতের শামিল। অবিলম্বে এই হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক মুঠোফোনে জানান, এটি অবশ্যই ন্যক্কারজনক ঘটনা। এর সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১ , ১২ শ্রাবন ১৪২৮ ১৬ জিলহজ ১৪৪২

মাধবপুরে সাংবাদিকের ওপর পুলিশের হামলা

প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের মাধবপুরে দোকান খোলা রাখার ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় পত্রিকার এক সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনাটি ঘটেছে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া নোয়াহাটি এলাকায়। সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার দৈনিক হবিগঞ্জের জননী পত্রিকার মাধবপুর উপজেলা প্রতিনিধি শেখ ইমন আহমেদ মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স- এ ভর্তি হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহত সাংবাদিক জানান, তেলিয়াপাড়া নোয়াহাটি এলাকায় দোকান খোলা রাখায় পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ অভিযান চালায়। খবর পেয়ে সাংবাদিক শেখ ইমন আহমেদ ছবি তুলতে গেলে এটি এসআই ফরিদ বাধা দেয়। এ সময় সাংবাদিক পরিচয় দিলেও এটি এসআই ফরিদ ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন কথাবার্তাসহ হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। হাতে থাকা মোবাইল কেড়ে নিয়ে গালাগালও করেন এটি এসআই ফরিদ। পরে সাংবাদিক শেখ ইমন আহত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় হবিগঞ্জের জননী পত্রিকার সম্পাদকও প্রকাশক এবং কর্মরত সকল সাংবাদিকসহ জেলার সকল সাংবাদিকগণ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘এই ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণেদিত হামলা স্বাধীন সাংবাদিকতায় চরম কুঠারাঘাতের শামিল। অবিলম্বে এই হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক মুঠোফোনে জানান, এটি অবশ্যই ন্যক্কারজনক ঘটনা। এর সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।