আফগান ইস্যুতে বাইডেন ও মার্কিন জেনারেলদের মতপার্থক্য

আফগানিস্তান থেকে একসঙ্গে সব সৈন্য প্রত্যাহার না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। দেশটিতে অন্তত আড়াই হাজার মার্কিন সেনার একটি দল রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন বাইডেনকে বলে দাবি দুই মার্কিন জেনারেল মার্ক মিলে ও ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জির। তবে বাইডেন বলছেন, এমন কোনও পরামর্শের কথা তিনি মনেই করতে পারছেন না।

মার্কিন সিনেটে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে এ দাবি করেন মার্কিন সেনাবাহিনীর দুই জেনারেল। মার্ক মিলে হলেন মার্কিন সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান এবং ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান। এই কমান্ডই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি দেখভাল করে।

মার্কিন সিনেটে আর্মড সার্ভিস কমিটির এ শুনানিতে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরানো নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন এই দুই শীর্ষ জেনারেল। নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তারা বলেন, গত মাসে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সৈন্য না সরিয়ে আড়াই হাজার সেনা সদস্যকে সেখানে রেখে দেয়ার পরামর্শ তারা দিয়েছিলেন বাইডেনকে। মূলত আফগান সরকারকে শক্তিশালী করতেই এ পরামর্শ দেয়া হয়। তবে তা মানেনি বাইডেন।

জো বাইডেনের সামরিক উপদেষ্টা ও মার্কিন সেনাবাহিনীর শীর্ষ নির্বাহী কমিটি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফসের চেয়ারম্যান মার্ক মিলিকেও তলব করা হয়েছিল শুনানিতে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন বলে স্বীকার করেছেন মিলি। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সেই পরামর্শ মানার আহ্বান জানিয়েছিলেন বলেও শুনানিতে উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সামরিক উপদেষ্টা। দুই সেনা কর্মকর্তার স্বীকারোক্তির ফলে বাইডেনের সাম্প্রতিক একটি দাবি কার্যত মিথ্যা বলে প্রমাণিত হলো। গত ১৯ আগস্ট মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছিলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কেউ তাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেনি। যদি কেউ পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করত, সেক্ষেত্রে হয়তো বিশৃঙ্খলা অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব। যদি দুই সেনা কর্মকর্তা বাইডেনকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে এবিসিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইডেন মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছেন কি না- শুনানিতে মার্ক মিলিকে এই প্রশ্ন করেন আলাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর ড্যান সুলিভান। তবে মিলি এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। সিনেটের শুনানির পর সাংবাদিকরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হোয়াইট হাউসে যোগাযোগ করেছিলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকিও স্বীকার করেন, মার্কিন দুই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার বক্তব্য সত্য। তবে তিনি বলেছেন, সে সময় এই পরামর্শ মেনে চলার মতো পরিস্থিতি ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দফতরের প্রেস সেক্রেটারি এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রেসিডেন্ট সেনাবাহিনী ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের অকপট পরামর্শকে সবসময়ই মূল্যায়ন করেন। তবে তার মানে এই নয় যে সবসময় তিনি তাদের পরামর্শ মেনে চলবেন।

যদি আগস্টের পরও আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি থাকত, সেক্ষেত্রে তালেবানদের সঙ্গে ফের যুদ্ধ শুরু হয়ে যেত যুক্তরাষ্ট্রের।বাইডেন এই ঘোষণা দেওয়ার একমাস পর আফগানিস্তান দখলের অভিযান শুরু করে তালেবান বাহিনী এবং মাত্র তিন মাসের মধ্যে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে দেশটির প্রায় সবগুলো প্রদেশ নিজেদের আয়ত্তে নেওয়ার পর গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলও দখল করে নেয় তালেবান।

এদিকে, আফগানিস্তান থেকে বিশৃঙ্খল প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার সমালোচনা ও ‘জবাবদিহিতা’ দাবি করায় যুক্তরাষ্ট্রের এক মেরিন সেনা কর্মকর্তাকে আটক করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। অভিযুক্ত ওই সেনা কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে দেশটির নেতৃত্বের সমালোচনা করেছিলেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে বিশৃঙ্খল প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে ‘জবাবদিহিতা’র দাবি করায় এক সেনা কর্মকর্তাকে প্রি-ট্রায়াল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন মেরিন সেনা বিভাগ। অভিযুক্ত ওই মার্কিন মেরিন সেনা কর্মকর্তার নাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্ট স্কেলার জুনিয়র।

সংবাদবিষয়ক ওয়েবসাইট টাস্ক অ্যান্ড পারপোজ’কে দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন মেরিন সেনা দফতরের ট্রেনিং অ্যান্ড এডুকেশন কমান্ড’র মুখপাত্র ক্যাপ্টেন স্যাম স্টেফেনসন জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার জ্যাকসনভিলে মেরিন কর্পস বেজ ক্যাম্প লেজুন নামে একটি সামরিক ঘাঁটিতে বর্তমানে বন্দি আছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্ট স্কেলার জুনিয়র। বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আগে তাকে সেখানে আটক রাখা হয়েছে।’ ক্যাপ্টেন স্যাম স্টেফেনসন আরও জানান, বিচারের তারিখ ও স্থান এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে যখনই বিচারের মুখোমুখি করা হোক, স্কেলারের সকল অধিকার নিশ্চিত করা হবে।

অভিযুক্ত ওই মার্কিন সেনা কর্মকর্তার বাবা স্টুয়ার্ট স্কেলার সিনিয়র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে সেনাসহ বেসামরিক মানুষদেরকে প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য জবাবদিহিতা দাবি করেছিলেন তার ছেলে।

সিনিয়র স্কেলার বলেন, ‘আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে আমার সন্তান এমন একটি প্রশ্ন সামনে এনেছেন, যেটি আসলে সবাই সবাইকে জিজ্ঞেস করছিলেন, কিন্তু ভয়ে কেউই মুখে উচ্চারণ করতে পারছিলেন না।

আফগানিস্তান ইস্যু নিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্ট স্কেলার জুনিয়রকে চুপ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি মুখ খুলেছেন এবং তাকে আটক করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম আরটি বলছে, আফগানিস্তানে প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে কাজ করেছে সেটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করার পর কার্যত রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্ট স্কেলার জুনিয়র।

বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ১৫ আশ্বিন ১৪২৮ ২১ সফর ১৪৪৩

আফগান ইস্যুতে বাইডেন ও মার্কিন জেনারেলদের মতপার্থক্য

image

আফগানিস্তান থেকে একসঙ্গে সব সৈন্য প্রত্যাহার না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। দেশটিতে অন্তত আড়াই হাজার মার্কিন সেনার একটি দল রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন বাইডেনকে বলে দাবি দুই মার্কিন জেনারেল মার্ক মিলে ও ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জির। তবে বাইডেন বলছেন, এমন কোনও পরামর্শের কথা তিনি মনেই করতে পারছেন না।

মার্কিন সিনেটে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে এ দাবি করেন মার্কিন সেনাবাহিনীর দুই জেনারেল। মার্ক মিলে হলেন মার্কিন সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান এবং ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান। এই কমান্ডই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি দেখভাল করে।

মার্কিন সিনেটে আর্মড সার্ভিস কমিটির এ শুনানিতে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরানো নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন এই দুই শীর্ষ জেনারেল। নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তারা বলেন, গত মাসে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সৈন্য না সরিয়ে আড়াই হাজার সেনা সদস্যকে সেখানে রেখে দেয়ার পরামর্শ তারা দিয়েছিলেন বাইডেনকে। মূলত আফগান সরকারকে শক্তিশালী করতেই এ পরামর্শ দেয়া হয়। তবে তা মানেনি বাইডেন।

জো বাইডেনের সামরিক উপদেষ্টা ও মার্কিন সেনাবাহিনীর শীর্ষ নির্বাহী কমিটি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফসের চেয়ারম্যান মার্ক মিলিকেও তলব করা হয়েছিল শুনানিতে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন বলে স্বীকার করেছেন মিলি। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সেই পরামর্শ মানার আহ্বান জানিয়েছিলেন বলেও শুনানিতে উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সামরিক উপদেষ্টা। দুই সেনা কর্মকর্তার স্বীকারোক্তির ফলে বাইডেনের সাম্প্রতিক একটি দাবি কার্যত মিথ্যা বলে প্রমাণিত হলো। গত ১৯ আগস্ট মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছিলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কেউ তাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেনি। যদি কেউ পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করত, সেক্ষেত্রে হয়তো বিশৃঙ্খলা অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব। যদি দুই সেনা কর্মকর্তা বাইডেনকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে এবিসিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইডেন মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছেন কি না- শুনানিতে মার্ক মিলিকে এই প্রশ্ন করেন আলাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর ড্যান সুলিভান। তবে মিলি এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। সিনেটের শুনানির পর সাংবাদিকরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হোয়াইট হাউসে যোগাযোগ করেছিলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকিও স্বীকার করেন, মার্কিন দুই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার বক্তব্য সত্য। তবে তিনি বলেছেন, সে সময় এই পরামর্শ মেনে চলার মতো পরিস্থিতি ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দফতরের প্রেস সেক্রেটারি এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রেসিডেন্ট সেনাবাহিনী ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের অকপট পরামর্শকে সবসময়ই মূল্যায়ন করেন। তবে তার মানে এই নয় যে সবসময় তিনি তাদের পরামর্শ মেনে চলবেন।

যদি আগস্টের পরও আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি থাকত, সেক্ষেত্রে তালেবানদের সঙ্গে ফের যুদ্ধ শুরু হয়ে যেত যুক্তরাষ্ট্রের।বাইডেন এই ঘোষণা দেওয়ার একমাস পর আফগানিস্তান দখলের অভিযান শুরু করে তালেবান বাহিনী এবং মাত্র তিন মাসের মধ্যে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে দেশটির প্রায় সবগুলো প্রদেশ নিজেদের আয়ত্তে নেওয়ার পর গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলও দখল করে নেয় তালেবান।

এদিকে, আফগানিস্তান থেকে বিশৃঙ্খল প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার সমালোচনা ও ‘জবাবদিহিতা’ দাবি করায় যুক্তরাষ্ট্রের এক মেরিন সেনা কর্মকর্তাকে আটক করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। অভিযুক্ত ওই সেনা কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে দেশটির নেতৃত্বের সমালোচনা করেছিলেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে বিশৃঙ্খল প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে ‘জবাবদিহিতা’র দাবি করায় এক সেনা কর্মকর্তাকে প্রি-ট্রায়াল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন মেরিন সেনা বিভাগ। অভিযুক্ত ওই মার্কিন মেরিন সেনা কর্মকর্তার নাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্ট স্কেলার জুনিয়র।

সংবাদবিষয়ক ওয়েবসাইট টাস্ক অ্যান্ড পারপোজ’কে দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন মেরিন সেনা দফতরের ট্রেনিং অ্যান্ড এডুকেশন কমান্ড’র মুখপাত্র ক্যাপ্টেন স্যাম স্টেফেনসন জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার জ্যাকসনভিলে মেরিন কর্পস বেজ ক্যাম্প লেজুন নামে একটি সামরিক ঘাঁটিতে বর্তমানে বন্দি আছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্ট স্কেলার জুনিয়র। বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আগে তাকে সেখানে আটক রাখা হয়েছে।’ ক্যাপ্টেন স্যাম স্টেফেনসন আরও জানান, বিচারের তারিখ ও স্থান এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে যখনই বিচারের মুখোমুখি করা হোক, স্কেলারের সকল অধিকার নিশ্চিত করা হবে।

অভিযুক্ত ওই মার্কিন সেনা কর্মকর্তার বাবা স্টুয়ার্ট স্কেলার সিনিয়র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে সেনাসহ বেসামরিক মানুষদেরকে প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য জবাবদিহিতা দাবি করেছিলেন তার ছেলে।

সিনিয়র স্কেলার বলেন, ‘আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে আমার সন্তান এমন একটি প্রশ্ন সামনে এনেছেন, যেটি আসলে সবাই সবাইকে জিজ্ঞেস করছিলেন, কিন্তু ভয়ে কেউই মুখে উচ্চারণ করতে পারছিলেন না।

আফগানিস্তান ইস্যু নিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্ট স্কেলার জুনিয়রকে চুপ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি মুখ খুলেছেন এবং তাকে আটক করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম আরটি বলছে, আফগানিস্তানে প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে কাজ করেছে সেটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করার পর কার্যত রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্ট স্কেলার জুনিয়র।