নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে সিইসি

সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিইসি বলেন, ‘পরবর্তী কমিশন গঠন রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। অবশ্যই এটা হওয়া উচিত। আমি এটাকে সমর্থন করি। যেন নতুন কমিশন সবার সমর্থনযোগ্য হয়, সেরকম একটি কমিশন হওয়া উচিত।’

এ সময় ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর এবং যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আইন তো তৈরি করে সংসদ। আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের আইনগুলো হয়।’ সাংবিধানিক যে ব্যবস্থা আছে সে অনুযায়ী আইন করার কথা সরকার বলছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘এটা আমরা টেলিভিশন, পত্রপত্রিকায় দেখি। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কোন আলোচনা হয়নি।

ঐকমত্য কীভাবে হতে পারে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এটা তো রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। গতবার তিনি সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ঐকমত্যের বিষয়ে আমাদের কোন ভূমিকা থাকে না।’

আইন হলেই ‘আস্থার সংকট’ দূর হবে কি নাÑএমন প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘কী ধরনের আইন হবে তার ওপর নির্ভর করবে। এ বিষয়ে আগে বলা যাবে না।’ তিনি বলেন, সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে ‘আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে’ নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ প্রদানের নির্দেশনা থাকলেও গত ৫০ বছরে কোন সরকারই এমন একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, জনগণের আস্থা নেই এ কথা বলা যাবে না। জনগণ তো বলেনি আস্থা নেই। রাজনৈতিক দলের লোকেরা যেটা বলেন, অনেক সময় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করে তারা বলেন জনগণের আস্থা নেই। যদি আস্থা না থাকে, যেসব নির্বাচন হচ্ছে তাতে উপচেপড়া ভোটার থাকে কীভাবে? লাইন থাকে, ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ লোক ভোট দেয়। এটা আস্থার জায়গা। এ সময় রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন সিইসি।

আরও খবর
নারীদের বাদ দিয়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুবিধা অর্জন সম্ভব নয় : স্পিকার
গণটিকায় নারীদের উপস্থিতি ছিল বেশি
দেশের ৫০ শতাংশ মানুষকে ডিসেম্বরের মধ্যে টিকার আওতায় আনা হবে
দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮ ইউপিতে ভোট ১১ নভেম্বর
আগাম জামিন পাননি বসুন্ধরার এমডি আনভীর
পরীমনির রিমান্ড নিয়ে দুই বিচারকের কাছে ফের ব্যাখ্যা চাইলেন হাইকোর্ট
সংসদীয় আসন ও ১০ পৌরসভার ভোট ২ নভেম্বর
ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ৬৭
আরব আমিরাতে যেতে বাধা কাটলো প্রবাসীদের
নিম্ন আদালতের সব রায় প্রকাশ্যে দেয়ার নির্দেশ
অপহরণ মামলার তদন্তে সন্ধান মিললো ছিনতাই চক্রের আস্তানার
৬ কর্মকর্তার সমন্বয়ে কমিটি গঠন ঢাকা ওয়াসার
যে গ্রামে ছিল হানাহানি সেখানে এখন বইছে সুবাতাস

বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ১৫ আশ্বিন ১৪২৮ ২১ সফর ১৪৪৩

নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে সিইসি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিইসি বলেন, ‘পরবর্তী কমিশন গঠন রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। অবশ্যই এটা হওয়া উচিত। আমি এটাকে সমর্থন করি। যেন নতুন কমিশন সবার সমর্থনযোগ্য হয়, সেরকম একটি কমিশন হওয়া উচিত।’

এ সময় ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার, অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর এবং যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আইন তো তৈরি করে সংসদ। আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের আইনগুলো হয়।’ সাংবিধানিক যে ব্যবস্থা আছে সে অনুযায়ী আইন করার কথা সরকার বলছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘এটা আমরা টেলিভিশন, পত্রপত্রিকায় দেখি। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কোন আলোচনা হয়নি।

ঐকমত্য কীভাবে হতে পারে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এটা তো রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। গতবার তিনি সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ঐকমত্যের বিষয়ে আমাদের কোন ভূমিকা থাকে না।’

আইন হলেই ‘আস্থার সংকট’ দূর হবে কি নাÑএমন প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘কী ধরনের আইন হবে তার ওপর নির্ভর করবে। এ বিষয়ে আগে বলা যাবে না।’ তিনি বলেন, সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে ‘আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে’ নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ প্রদানের নির্দেশনা থাকলেও গত ৫০ বছরে কোন সরকারই এমন একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, জনগণের আস্থা নেই এ কথা বলা যাবে না। জনগণ তো বলেনি আস্থা নেই। রাজনৈতিক দলের লোকেরা যেটা বলেন, অনেক সময় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করে তারা বলেন জনগণের আস্থা নেই। যদি আস্থা না থাকে, যেসব নির্বাচন হচ্ছে তাতে উপচেপড়া ভোটার থাকে কীভাবে? লাইন থাকে, ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ লোক ভোট দেয়। এটা আস্থার জায়গা। এ সময় রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন সিইসি।