দেশের ৫০ শতাংশ মানুষকে ডিসেম্বরের মধ্যে টিকার আওতায় আনা হবে

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।

গতকাল বিকেলে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের এক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা টিকা ক্যাম্পেইনে ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দিয়েছি। এটা আমাদের জন্য বিশাল কৃতিত্বের বিষয়। আমাদের টিকা কার্যক্রমকে এভাবেই আমরা চালিয়ে নিয়ে যাব এবং আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, চলতি বছরের মধ্যে প্রায় ২০ কোটি ডোজ টিকা দেশে পৌঁছে যাবে। যেগুলো আমরা প্রায় ১০ কোটি মানুষকে দিতে পারব।

হার্ট দিবস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে আশঙ্কাজনকহারে হার্টের রোগী বাড়ছে। শুধু যে শহরের আর ধনী লোকদের এ রোগ হচ্ছে তা নয়, গ্রামের গরিব লোকরাও হার্টের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর কারণ আমাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং বাজে নেশা।

সচিব বলেন, হার্টের অসুখের অন্যতম কারণ ধূমপান। এই ধূমপানের পক্ষে বলার মতো কোন কারণ নেই। তবুও এ অকাজের জিনিসটা যে কেন মানুষ খায়, আমি জানি না। ক্ষতিকারক জিনিসের প্রতি যেন মানুষের আগ্রহ বেশি। মাদকাসক্তিতে কেন যে আমাদের ছেলেরা জড়ায়, কী কারণে যে এটার প্রতি তাদের এতো আগ্রহ, এর পক্ষে যদি কোন একটা কারণ বলতে পারতো, তাহলে আমরা বিবেচনা করে দেখতাম। শিক্ষক, চিকিৎসকরা যেখানে এর বিরুদ্ধে বলছে, আর ছেলেরা এটাতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, তখন ধূমপান যারা করে, তাদের খুবই আনস্মার্ট এবং বাজে ভাবতাম। না করলেই বরং স্মার্ট মনে করতাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ঠিক উল্টাটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক (অব.) আবদুল মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, লাইন ডিরেক্টর (এনসিডিসি) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।

image

শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন গতকাল বনানীর এরশাদ বিদ্যালয় টিকাকেন্দ্রে করাইল বস্তিবাসীর দীর্ঘ লাইন -সংবাদ

আরও খবর
নারীদের বাদ দিয়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুবিধা অর্জন সম্ভব নয় : স্পিকার
নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে সিইসি
গণটিকায় নারীদের উপস্থিতি ছিল বেশি
দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮ ইউপিতে ভোট ১১ নভেম্বর
আগাম জামিন পাননি বসুন্ধরার এমডি আনভীর
পরীমনির রিমান্ড নিয়ে দুই বিচারকের কাছে ফের ব্যাখ্যা চাইলেন হাইকোর্ট
সংসদীয় আসন ও ১০ পৌরসভার ভোট ২ নভেম্বর
ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ৬৭
আরব আমিরাতে যেতে বাধা কাটলো প্রবাসীদের
নিম্ন আদালতের সব রায় প্রকাশ্যে দেয়ার নির্দেশ
অপহরণ মামলার তদন্তে সন্ধান মিললো ছিনতাই চক্রের আস্তানার
৬ কর্মকর্তার সমন্বয়ে কমিটি গঠন ঢাকা ওয়াসার
যে গ্রামে ছিল হানাহানি সেখানে এখন বইছে সুবাতাস

বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ১৫ আশ্বিন ১৪২৮ ২১ সফর ১৪৪৩

দেশের ৫০ শতাংশ মানুষকে ডিসেম্বরের মধ্যে টিকার আওতায় আনা হবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন গতকাল বনানীর এরশাদ বিদ্যালয় টিকাকেন্দ্রে করাইল বস্তিবাসীর দীর্ঘ লাইন -সংবাদ

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।

গতকাল বিকেলে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের এক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা টিকা ক্যাম্পেইনে ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দিয়েছি। এটা আমাদের জন্য বিশাল কৃতিত্বের বিষয়। আমাদের টিকা কার্যক্রমকে এভাবেই আমরা চালিয়ে নিয়ে যাব এবং আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, চলতি বছরের মধ্যে প্রায় ২০ কোটি ডোজ টিকা দেশে পৌঁছে যাবে। যেগুলো আমরা প্রায় ১০ কোটি মানুষকে দিতে পারব।

হার্ট দিবস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে আশঙ্কাজনকহারে হার্টের রোগী বাড়ছে। শুধু যে শহরের আর ধনী লোকদের এ রোগ হচ্ছে তা নয়, গ্রামের গরিব লোকরাও হার্টের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর কারণ আমাদের অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং বাজে নেশা।

সচিব বলেন, হার্টের অসুখের অন্যতম কারণ ধূমপান। এই ধূমপানের পক্ষে বলার মতো কোন কারণ নেই। তবুও এ অকাজের জিনিসটা যে কেন মানুষ খায়, আমি জানি না। ক্ষতিকারক জিনিসের প্রতি যেন মানুষের আগ্রহ বেশি। মাদকাসক্তিতে কেন যে আমাদের ছেলেরা জড়ায়, কী কারণে যে এটার প্রতি তাদের এতো আগ্রহ, এর পক্ষে যদি কোন একটা কারণ বলতে পারতো, তাহলে আমরা বিবেচনা করে দেখতাম। শিক্ষক, চিকিৎসকরা যেখানে এর বিরুদ্ধে বলছে, আর ছেলেরা এটাতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, তখন ধূমপান যারা করে, তাদের খুবই আনস্মার্ট এবং বাজে ভাবতাম। না করলেই বরং স্মার্ট মনে করতাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ঠিক উল্টাটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক (অব.) আবদুল মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, লাইন ডিরেক্টর (এনসিডিসি) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।