কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ‘ধর্ষণ ও হত্যার’ অভিযোগে তার বোনের দায়ের করা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের আগাম জামিনের আবেদনে সাড়া দেননি হাইকোর্ট।
গতকাল বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আনভীরের আবেদনটি আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। তবে আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েমের আবেদন মঞ্জুর করে তাকে এ মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ। আদালত বলেছে, মুনিয়ার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ‘আঘাতের চিহ্ন’ থাকায় আনভীরের বিষয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ আপাতত হস্তক্ষেপ করবে না।
আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, এম হাসান ইমাম ও বদিউজ্জামান তরফদার আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন শুনানিতে মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়ার করা ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ মামলা থেকে আনভীরের অব্যাহতি পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, বাদী পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করে।
আসামির বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক তা জানতে চাইলে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন মামলার অভিযোগ থেকে পড়ে শোনান। পরে আদালত রষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য জানতে চাইলে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কোন অবস্থান নেই।’ বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম তখন বলেন, ‘আগাম জামিনের আবেদনকারী ১-এর (সায়েম সোবহান আনভীর) বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, ২-এর (আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েম) বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। আমরা শুধু দুই নম্বরকে দিচ্ছি, ছয় সপ্তাহ।’
এরপরও আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন শুনানি চালিয়ে যেতে থাকলে বিচারক বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা হস্তক্ষেপ করব না। শুধু একজনকে জামিন দেব। আমরা আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে ডিলিট করে দিচ্ছি।’ এরপরও ইউসুফ হোসেন হুমায়ন তার শুনানি চালিয়ে যেতে থাকলে আদালত পরবর্তী ক্রমিক ডেকে সে মামলার শুনানি শুরু করেন।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বলেন, ‘মিস্টার ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ভিকটিমের চারটা ইনজুরি আছে। অনেক মামলা আছে, এগুলো আমাদের শেষ করতে হবে। আমরা একজনকে দিচ্ছি। আরেকজনকে ডিলিট করে দিচ্ছি। আরও পরে আসেন, এখন না।’ মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া এর আগে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ মামলা করেছিলেন বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর ‘ধর্ষণ ও হত্যার’ অভিযোগ এনে আনভীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা করেন তানিয়া।
ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মাফরুজা পারভীন গত ৬ সেপ্টেম্বর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ১৫ আশ্বিন ১৪২৮ ২১ সফর ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ‘ধর্ষণ ও হত্যার’ অভিযোগে তার বোনের দায়ের করা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের আগাম জামিনের আবেদনে সাড়া দেননি হাইকোর্ট।
গতকাল বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আনভীরের আবেদনটি আদালতের কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। তবে আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েমের আবেদন মঞ্জুর করে তাকে এ মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ। আদালত বলেছে, মুনিয়ার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ‘আঘাতের চিহ্ন’ থাকায় আনভীরের বিষয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ আপাতত হস্তক্ষেপ করবে না।
আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, এম হাসান ইমাম ও বদিউজ্জামান তরফদার আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন শুনানিতে মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়ার করা ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ মামলা থেকে আনভীরের অব্যাহতি পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, বাদী পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করে।
আসামির বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক তা জানতে চাইলে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন মামলার অভিযোগ থেকে পড়ে শোনান। পরে আদালত রষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য জানতে চাইলে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কোন অবস্থান নেই।’ বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম তখন বলেন, ‘আগাম জামিনের আবেদনকারী ১-এর (সায়েম সোবহান আনভীর) বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, ২-এর (আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েম) বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। আমরা শুধু দুই নম্বরকে দিচ্ছি, ছয় সপ্তাহ।’
এরপরও আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন শুনানি চালিয়ে যেতে থাকলে বিচারক বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা হস্তক্ষেপ করব না। শুধু একজনকে জামিন দেব। আমরা আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে ডিলিট করে দিচ্ছি।’ এরপরও ইউসুফ হোসেন হুমায়ন তার শুনানি চালিয়ে যেতে থাকলে আদালত পরবর্তী ক্রমিক ডেকে সে মামলার শুনানি শুরু করেন।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বলেন, ‘মিস্টার ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ভিকটিমের চারটা ইনজুরি আছে। অনেক মামলা আছে, এগুলো আমাদের শেষ করতে হবে। আমরা একজনকে দিচ্ছি। আরেকজনকে ডিলিট করে দিচ্ছি। আরও পরে আসেন, এখন না।’ মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া এর আগে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ মামলা করেছিলেন বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর ‘ধর্ষণ ও হত্যার’ অভিযোগ এনে আনভীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা করেন তানিয়া।
ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মাফরুজা পারভীন গত ৬ সেপ্টেম্বর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।